মতির অসহায় জীবন-পর্ব (৪)
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন ,আর আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। তবে একবার ভাবছিলাম যে অন্য কোন পোস্ট দিব আবার ভাবলাম যে কালকে যে আমি যে গল্পটি লিখেছি সেটা সময়ের অভাবে খুবই কম কিছু লেখা দিয়েছিলাম। আশা করি আজকে বড় একটি পর্ব যেটা আপনাদের পড়তে অনেক ভালো লাগবে। তো আর কথা না বলে আমরা আমাদের পোস্টে চলে যাই।
আসলে যদিও আমরা কেউ চাই না যে আমি বিপদে পড়ি তবে আমরা সবাই প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এই প্রিয়জনদেরকে যদি আমরা সঠিকভাবে রাখতে না পারি তাহলে তো আর তারা প্রিয় জন থাকে না তারা হয়ে যায় পর। এজন্য সব সময় আমাদেরকে আসলে আমাদের প্রিয় মানুষগুলোকে ভালো রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। এই চেষ্টাটা এই মতির জামাই করেনি সেই জন্যই আজকে সে বাধা পড়েছে তার শ্বশুরবাড়ি মানুষের হাতে।
যখন তাকে তার শ্বশুরবাড়ির মানুষ একটি গাছের সাথে বেধে ফেলল তখন তাকে দেখতে আসলে খুবই অসহায় লাগছিল। আর তখন কিন্তু তার স্ত্রীকে তার সামনে আনা হয়নি এতে তার মায়া লাগতে পারে আর যা পরিকল্পনা করা হয়েছে তার বিপরীত দিক হতে পারে। সেই জন্যই তাকে ঘরে রাখা হয়েছে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন কেন সেই লোকটাকে বাধা হল। আসলে মতির জামাই যতই মতি কে মারধর করুক না কেন কখনোই সে চায়না তার বউ তাকে ডিভোর্স দেক কিংবা সে সে তার বউকে তালাক দিক।
সবসময় চায় যে তার বউ মারধর খেয়ে তার সাথে থাকবে। আসলে পরিস্থিতি কখনই সেটা বলে না কেননা কখনোই এত মারধর খেয়ে কোন মানুষ অন্য একটা মানুষের সাথে থাকতে পারে না। বাচ্চু মিয়ার ছেলেরা এবং তার ভাইয়ের ছেলেরা মিলে তার মেয়ের জামাইকে মোটামুটি ভালই মারধর করল। এরপর মুরব্বিরা আছে তাদেরকে থামালো দাবিয়ে বল এখন এভাবে বেঁধে রাখো কালকে সালিশে বসানো হবে। পরের দিন সকালবেলা উঠে সবাই ফ্রেশ হয়ে এরপরে গ্রামের মেম্বার চেয়ারম্যান থাকে তাদেরকে আনা হলো।
জামাইয়ের যে মা আর বোন আছে তাদেরকেও ফোন করে আনা হলো এই বাড়িতে। তাদেরকে নিয়ে আসার পরে তাদেরকে সব ঘটনা খুলে বললো। আসলে তারা আগে কখনোই এ ঘটনাগুলো জানতো না। আর আজকে শুনে তারা খুবই আক্ষেপ করল। কিন্তু আর কিছুই করার নাই এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে তাই কোন কিছু বলে আর রাখতে পারবেনা। সেটা তারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল। এরপরে আরো কিছু কথা বলার পরে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার আইনগতভাবেই মতির দ্বারা তার স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়া হলো।
মতি হয়তো তার স্বামীকে ডিভোর্স দিবে কিন্তু মতির জামাই কখনোই তাকে সাহস দিবে না। সেজন্য মতির ধারা দেওয়া হল এবং এরপরে মতির জামাই ছিল তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। আর শুরু হলো মতিন আরেকটা জীবন যে জীবনে তার শুধু পরিশ্রম আর চিন্তা থেকেই শুরু হলো. তার এই জীবন নিয়েই সে সামনে এগোতে থাকলো। তো আসলে বাচ্চু মিয়া যেহেতু খুবই গরীব ছিল যদিও তার ছেলেরা এখন কিছু টাকা আয় রোজগার করে কিন্তু তাতেও তার সংসার তেমন একটা ভালো চলে না। তাই মতি তখন চিন্তা করলো যে তার মেয়েদেরকে তার মার কাছে রেখে সে একটা কিছু করবে।
এজন্য তার বড় ভাই একটি বড় খাবার হোটেলের মিষ্টির কারিগর ছিল এবং খুবই ভালো কারিগর ছিল। তো সেই হোটেলে তাকে কাজ দেওয়া হলো। তবে মতির বংশ যেহেতু খুবই ভালো -তারা আসলে গরীব হতে পারে কিন্তু তারা মান-সম্মান নিয়ে খুব চিন্তা করে। সে জন্যই তাকে তার কাজের জন্য হোটেলের সামনে আসতে হবে না। হোটেলের পিছনে বসে সবকিছু করে দিতো। আর তার ভাই তো সেখানে ছিল এভাবেই তার জীবন আসলে মোটামুটি ভালই কাটছিল তবে.......
@kawsar
খুব সুন্দর হয়েছে গল্পের পর্বটি। একটি মেয়ে তার আপনজনদের ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। আর স্বামীর কর্তব্য তাকে আগলে রাখা। তার দায়িত্বগুলো ঠিকভাবে পালন করা। গল্পের পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।