আমার আজকে করা, কিছু পছন্দের কাজ।
কাজ এমন একটা জিনিস সময়ের টা সময়ে না করলে দ্বিগুণ বেড়ে যায় বেড়ে যায়। তবে, আমরা যারা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকি, তাদের কিন্তুু কোন ভাবেই কাজ রেখে বসে থাকার উপায় নেই। আগে কি বা পরে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়।
কিছু কিছু কাজ আছে আমার করতে বেশ ভালো লাগে। আবার কিছু কাজ আছে যেগুলো করতে একদমই মন চায় না মনের বিরুদ্ধেই করতে হয়। তবে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যে কাজগুলো করতে আমার ভালো লাগে। বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে আছি,এখনে কাজের চাপ বেশী থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে কাজের এর মধ্যে ও কিছু কাজ আছে যেগুলো করতে ভালো লাগে, চলুন আজকের কাজের মধ্যে কিছু কাজ আছে যেগুলো আমার বেশ ভালো লাগে,তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ডিম ভাজি করা,
সকাল বেলা শাশুড়ি আম্মা বলছিলো ডিম ভাজি করার জন্য, আমি ডিম খেতে বেশ পছন্দ করি ডিম সিদ্ধ করা বা পোচ করা যেটাই বলে না কেন, আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর সেই সাথে ডিম ভাজি বা সিদ্ধ এটা করতে আমার বেশ ভালো লাগে এত বেশি কম সময় লাগে যে খুব দ্রুতই হয়ে যায়।।
নিজেদের বাগান থেকে সবজি তোলা,
এরপরে আসি, সবজি বাগান থেকে সবজি তোলা, নিজেরদের লাগানো সবজি বাগান থেকে যে কোনো ধরনের সবজি তুলতে বেশ ভালো লাগে আমার, টাটকা টাটকা সবজি তোলার আনন্দটাই অন্যরকম। আজ গিয়ে ছিলাম সবজি বাগানে শাক তুলতে পুঁইশাক,, এত বেশি ফ্রেশ গাছ থেকে তুলে নিয়ে আসলাম এ কাজটাও আমার বেশ ভালো লাগে।।
মাছ কাটা,
মাছ কাটা কে কেমন পছন্দ করেন আমি জানিনা,তবে আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে, বিরক্ত লাগলেও কিছু করার নেই কারণ, আমার শ্বশুরের এত এত পুকুর মাছ যখন ধরে তখন সবার সাথে কাটতে বসাই লাগে। তবে, আমার কাছে সবচেয়ে চিংড়ি মাছ কাটতে বেশি ভালো লাগে,খুব সহজেই কাটা হয়ে যায়, আমি চিংড়ি মাছ খেতে যেমন পছন্দ করি, কাটতে ও বেশ পছন্দ করি।
আমাদের পালিত মোরগ,
এই মোরগ টা আমার শাশুড়ি আম্মা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পালন করে আসতেছেন। ৬ কেজি ওজন হয়েছে, আমরা যেহেতু বাড়িতে এসেছি তাই এই মোরগ টা কে আজ ধরা হয়েছে, তিনি আমাদের জন্যই এই মোরগ টা রেখে দিয়েছিলেন।
আমাদের কে খাওয়ানোর জন্য,,আজ এটা কে কাটার পরে, আমি ও আমার শাশুড়ি আম্মা দুই জনে মিলে এটাকে পরিষ্কার করেছিলাম কারণ, একা করা সম্ভব ছিল না। আর হাঁস মুরগি পরিষ্কার করতেও আমার বেশ ভালো লাগে তবে, যদি হয় নিজেদের পালিত। কারণ দোকানের হাঁস মুরগি গুলোকে এত বেশি ফিশ মিল খাওয়ানো হয়, যেটার গন্ধ আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে।
তেলের পিঠা,
আজ বিকালে শাশুড়ি আম্মা তেলের পিঠা তৈরি করার জন্য সব কিছু প্রস্তুত করলেন,,, যদিও আমি এর আগে নিজে থেকে কখনো তেলের পিঠা তৈরি করিনি, তাই এই কাজটা আমার কাছে বেশ কঠিন। কিন্তুু আমার শিখতে বেশ ভালো লাগে।। যেহেতু আমি পিঠা টা বেশ পছন্দ করি।
তাই, শাশুড়ি আম্মার একটা পিঠা তৈরি করলেন, আর বাকি সব পিঠা গুলো আমি নিজের হাতেই তৈরি করেছি। দেখে বুঝতে পারছেন পিঠা গুলো কতটা লোভনীয় হয়েছে। আজকে সারাদিনে কাজের মধ্যে আমি এই কাজটা করে বেশ আনন্দ পেয়েছি। কারণ আমরা যখন নতুন কিছু শিখি তখন নিজের ভিতরে আনন্দ কাজ করে।
যাই হোক, এত কাজের মধ্য দিয়ে আপনার কোন কাজটা বেশি ভালো লেগেছে জানাতে কিন্তুু ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।।