The Diary Game | A Normal Day | 1 November 2022
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে ভাল এবং সুস্থ আছেন। প্রতিদিনের মতো নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
আজকের ব্লগে আমি আজকের দিনে যা যা করলাম সেই বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আপনারা ইতিমধ্যে জানেন আমরা যেখানে থাকতাম সে বাসা গত কয়েকদিন ধরে পরিবর্তনের জন্য মালামাল আনা নেওয়া করছিলাম। এ মালামাল আনানামা করতে গিয়ে শরীর প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়ে গেছে।
কারণ এ ধরনের ভারি কাজ সাধারণত আমরা করে থাকি না। হঠাৎ করে যখন করতে হয়েছে তো শরীর সেটা অ্যাডজাস্ট করতে পারিনি। যারা নিয়মিত এই কাজগুলো করে বা ভারী কাজ করে তাদের জন্য এটা কোন বিষয় না, কিন্তু হঠাৎ করে যারা করে তাদের জন্য সমস্যা।
মোটামুটি বিধ্বস্ত অবস্থা আমার। যাইহোক মূল কথায় চলে আসি। ইতিমধ্যে আমি নতুন বাসায় চলে এসেছি গতকাল থেকে। আমার বউ-বাচ্চা বাবার সাথে আমার গ্রামের বাড়ি কিছুদিন থাকার জন্য চলে গেছেন মালামালের গাড়িসহ। যার কারণে নতুন বাসায় বর্তমানে আমি একা। নতুন বাসায় আজকে আমার দ্বিতীয় দিন। সকাল ৮ঃ৪৫ মিনিটে ঘুম থেকে উঠি। উঠে ব্রাশ করে গোসল করি। যেহেতু নতুন বাসাটা অফিসের নিচেই। তাই অফিসে যেতে খুব একটা বেশি এখন আর সময় লাগবে না।
ঠিক নয়টার সময় রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম।। ৯ টা ৫ এ অফিসে ঢুকলাম। তবে ব্যাগটা অফিসে রেখে আবার নিচে চলে আসলাম সকালে নাস্তা করার জন্য। তো অফিসের নিচে যেই হোমমেড খাবারের দোকানটা করা হয়েছিল তারা একদিন বলেছিল তাদের সকালের পরোটা খুব ভালো হয়। তাই আজকে যেহেতু সুযোগ হয়েছে সেটির স্বাদ নেওয়ার জন্য সেখানে চলে গেলাম। পরোটা আর ডাল ভাজি অর্ডার করলাম। আসলে ডাল বাজে অর্ডার করিনি পরটা দিতে বলছিলাম তারা সাথে ঢাল বাজিটাও দিল। খেয়ে দেখলাম আসলেই পরোটা মজা ডাল বাজিও।
নাস্তা করে অফিসে ফিরে এলাম।। আবার যেহেতু গতকালকে আমার প্রকল্পের মাসিক সভা হয়েছে এবং মাস শেষে প্রোগ্রামের ডাটা গুলো ডোনারের সার্ভারে এন্ট্রি দেওয়া লাগে তো সেগুলো করতে বসে গেলাম। ১১ঃ০০ টার সময় লিগ্যাল এইড অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। ১১:২০ মিনিটের দিকে অফিস থেকে বের হয়ে লিগ্যাল এইড অফিসে গেলাম। লিগ্যাল এইড অফিসে যাওয়ার মূল কারণ হলো গত ২৭ তারিখ বিচারকদের নিয়ে একটা সভা হয়। সে সবার আয়োজন করা হয়েছিল আমাদের প্রকল্পের পক্ষ থেকে। যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের উপস্থিতির নেওয়ার জন্যই মূলত লিগ্যাল এইড অফিসে আসা পাশাপাশি সেখানে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল সেই খাবারের বিলগুলো সংগ্রহ করা কিন্তু আসার পরে দেখলাম সেই স্বাক্ষর সিট অফিস সহকারী তার বাসায় রেখে এসেছে। তো কি আর করা যে কাজে আসলাম সেটা হলো না। লিগ্যাল এইড অফিসে যখন এসে পড়েছি কিছু না কিছু কাজ তো করা দরকার। তাই তাদেরকে একটা কাজ ধরিয়ে দিলাম যেটা করতে পারলে আমার প্রকল্পের একটা এচিভমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে।
আবার অফিসে ফিরে আসলাম সাড়ে বারোটার দিকে। আজকে যেহেতু যুব দিবস ছিল। ইপসার পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় যুব দিবস পালন করা হচ্ছিল। তেমনই ইপসার অন্য একটি প্রকল্পে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য আমার দাওয়াত ছিল। আজকে তাদের অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল জারা কনভেনশন হলে। সেখানকার কলিগ ফোন দিল দ্রুত আসার জন্য।
সেখানে যাওয়ার পর তারা আমাকে কাজ ধরিয়ে দিল প্রথমে। কাজ দিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নিয়ে আসা। তবে তাদের প্রকল্পের গাড়ি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে আনতে উপজেলা অফিসে গেলাম কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর দেখলাম প্রচুর মানুষ জন্ম নিবন্ধন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এত মানুষ দেখে মনে মনে চিন্তা করলাম যে ওনাকে তো নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না, কারণ ওনাকে যদি নিয়ে যাই এতগুলো মানুষ যে অপেক্ষা করছে ওনার সাথে দেখা করে তাদের কাজটা করে নেয়ার জন্য তাদের সাথে অন্যায় করা হবে তারপরও যেহেতু ওনাকে নিতে এসেছি সৌজন্যতা বজায় রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে প্রোগ্রামে যাওয়ার বিষয়ে জানালাম। তখন তিনি যেটা আমরা মনে মনে চিন্তা করছিলাম সে বিষয়টি আমাকে জানালো যে এতগুলো মানুষ মানুষকে রেখে কোনভাবেই সম্ভব না আপনাদের প্রোগ্রামে যাওয়াটা।
তো ব্যর্থ হয়ে উপজেলা থেকে ফিরে আসলাম।। ফিরে এসে আবার তাদের প্রোগ্রামে জয়েন করলাম। সেখানে সকাল থেকে রচনা প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বিষয় ভিত্তিক কুইজ বিভিন্ন কিছু হচ্ছিল। আমরা যখন ফিরে আসি তখন প্রায় দেড়টা বাজে। দুপুরে খাওয়ার টাইম হয়ে গেছে তাই সবাইকে টোকেন দিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য চলে যেতে বলল। আমরা সবাই গেলাম খাওয়া-দাওয়া শেষে একটা কুইজ প্রতিযোগিতা ছিল সেখানে বিচারকের দায়িত্ব হিসেবে আমাকে নির্বাচন করা হলো। কুইজ প্রতিযোগিতা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যারা অংশগ্রহণকারী ছিল এই যুব দিবসে অংশগ্রহণকারীর মাঝ থেকে দুই একজন সংগীত পরিবেশনা করে কিছুক্ষণ আমি সেই সঙ্গীত উপভোগ করি। তারপর অফিসের কাজে আবার অফিসে ফিরে আসি। শেষে চলে যায় বাজার ঘাটা পাইকারি আচারের দোকানে। টাকা নিয়ে আবার ফিরে আসলাম আমার নতুন বাসায়।
আচারগুলো বাসায় রেখে বাহির হলাম আবার পুরনো বাসায় গেলাম। কারণ সব জিনিসপত্র এখন আনতে পারিনি। আব্বা আম্মারা তাদের গুলো নিয়ে গেছে আমার জন্য যে জিনিসগুলো রেখে গেছে তার মধ্যে কিছু কিছু জিনিস এখনো আগের বাসায় থেকে গেছে পুরনো বাসায় গেলাম সেখান থেকে কিছু জিনিস নিয়ে আসলাম। নিয়ে আসার পর সেগুলো রেখে আবার বাহার ছড়া হতাশার মোড়ের দিকে গেলাম। গিয়ে দেখি তেমন কেউ নাই। তারপরে চিন্তা করলাম দাড়িগুলো অনেক লম্বা লম্বা হয়ে গেছে একটু ছাটিয়ে নেই।
দাড়ি ছাটার পর আবার বাসায় ফিরে আসলাম। এসে আগামীকালকের জন্য যে যে অর্ডারগুলো ছিল সেই পার্সেল গুলো রেডি করতে বসে গেলাম। পার্সেল রেডি করার পর রাতে খাওয়ার পালা এর মধ্যে বাসায় ফোন দিলাম আমি বাসায় না মানি গ্রামে আমার কাছে ফোন দিলাম তাদের সাথে কথাবার্তা হল ভাত খেয়েছি কিনা সেটা জানতে চাইলে তো আমি বললাম রাত্রে খাব না। ভাত খেয়ে পেট বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে। রাতে এখন পেঁপে খাব। বিকালে অফিস যখন শেষ হয়ে যাচ্ছিল ফেরার পথে কিছু পেঁপে কিনেছিলাম কিছু বলতে দুইটা পেপে চিন্তা করলাম আজকে একটা খাব আগামী কালকে আরেকটা খাব। এগুলো দিয়ে রাতের ডিনার সেরে নিলাম।
এভাবে মোটামুটি আজকের দিনটা পার হলো। আবার দেখা হবে । সবাই ভালো থাকবেন শুভরাত্রি।
Post Category | Diary Game |
---|---|
Device-Camera | Redmi Note 9s |
Photographer | @joynalabedin |
Community | Steem For Bangladesh |
ধন্যবাদ সবাইকে
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Shifting house is very difficult but it has to be done if necessary. Your diary post is beautifully presented. Looking at ripe papaya makes me want to eat it 🙂🙂
পাঁকা পেপে আমার খুবই একটি প্রিয় খাবার। আমাদের পেপে গাছ আছে আমি ও মাঝে মাঝে কাচা পেপে পাকা বানাই গাছে রেখে।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ডেইরি গেম আমাদের মাঝে সেয়ার করার জন্য