প্রিয় @RME দাদা শুভ হোক আপনার প্রতিটি দিন। Happy Birthday 🎂

Banner Created by @hafizullah

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমাদের সবার সম্মানিত ফাউন্ডার @RME দাদার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবো। আমি ইচ্ছা করলে আরো আগেই ব্লগটি শেয়ার করতে পারতাম। আমি জানি দাদার জন্মদিন এবং বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের স্পেশাল হ্যাংআউট হবে। সেই অনুভূতি সহ একবারে প্রকাশ করবো। সেই জন্যই আজকে আমার ব্লগটি শেয়ার করা।

আমাদের সবার ভালোবাাসর আরেক নাম হলো @RME দাদা। এই মানুষটার সম্পর্কে যত কিছুই বলি না কেন সেটা কম হয়ে যাবে। আমি প্রায় সময় বলি দাদার মত এত মহৎ হৃদয়ের মানুষ খুব কমই আছে। হয়তো প্রতি যুগে কিছু মানুষ এরকম জন্মগ্রহন করে। আমার ধারনা পৃথিবীর একশত প্রগ্রামারেরে লিস্ট করা হলে দাদা নামটা অবশ্যই থাকবে। কারন তিনির চিন্তা চেতনা,কাজের ধারা সব কিছু আলাদা। প্রবাদ আছে,মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। আমরা একদিন থাকবো না,দাদাও একদিন থাকবে না। কিন্তুু দাদার কাজ,দাদার মহৎ উদ্যোগ সবসময় দাদাকে বাচিঁয়ে রাখবে। দাদার প্রতিষ্ঠা করা আমার ব্লগ কমিউনিটিতে আমি এখন কাজ করছি। আমার পরে আমার ফেমিলির মেম্বাররা কাজ করবে। তারা আবার তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কাজ করার রাস্তা খুলে দিবে। এভাবেই যুগের পর যুগ আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে দাদা সবার হৃদয়ে বেঁছে থাকবে।

দাদা এইযে কমিউনিটি গড়ে তুলেছে সেটা কিন্তুু এমনি এমনি হয়নি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পরে আজকে কমিউনিটি এই পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে। দাদার থেকে আমরা সবসময় একটি শিক্ষা পায়। সেটা হলো কাজ করতে হবে,লেগে থাকতে। দাদা কিভাবে এই কমিউনিটির সবাইকে আগলে রেখেছে তার একটি উদাহরণ আমি বলি। গত বছর এমন ডিসেম্বর মাসে দাদা সিকিম ভ্রমনে গিয়েছিলেন। আপনারা হয়তো সবাই জানেন যে সিকিম কতটা শীতল স্থান। সেখানে শীতে মাইনাস ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকে। আবার নেটের কানেকশনও তেমন পাওয়া যায় না। তো সেখানে যারা ঘুরতে যায়। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতে বিশ্রাম নেয়। আমি সাধারনত ১২টার পরেই ঘুমিয়ে যায়। ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন না হলে সাতটা বা আটটার আগে ঘুম থেকে উঠি না। তো একদিন রাতে তিনটা বা সাড়ে তিনটা বাজে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে মোবাইলটা হাতে নিলাম। তারপর ভাবলাম স্টিমিটে ঢুকে একটু প্রফাইলটা চেক করে দেখি। আমি প্রফাইলে গিয়ে দেখে মাত্র দশ মিনিট আগে আমার একটি পোষ্টে সাইফক্সের ভোট পড়েছে। তারমানে দাদা সিকিমে থেকে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে এত রাতে জেগে জেগে কাজ করছে,আমাদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছে।

চিন্তা করেন সিকিমে কত শীত। ভারত বাংলাদেশের সবাই যখন ঘুমে আচ্ছন্য, দাদা তখনো জেগে আছেন। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে কত ক্লান্ত,ঠিক ভাবে নেট পাওয়া যায় না। তারপরও মানুষটা তার দায়িত্ব থেকে এক ইন্চিও নড়ে না। আর আমরা কাজকে ফাকিঁ দেওয়ার ফন্দি খুঁজে বেড়ায়। দাদার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কিছুদিন আগে দাদার পরিবারের খুবই আপন একজন মানুষ দাদার মায়ের স্বাক্ষর নকল করে তিনির একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে চাইছিলো। তখন ব্যাংকে ধরা পড়ে। তাকে পুলিশে নিয়ে যাচ্ছিলো,তারপরও দাদা তাকে ক্ষমা করে দেন। শুনেছি ঐলোকটিকে দাদার ফেমিলি অনেক উপকার করেছে। অর্থনৈতিক ভাবে অনেক সাহায্য করেছে। তারপরও সে তাদের পিছরে ছুরি মারতে চেয়েছিল।

গতকাল স্পেশাল হ্যাংআউটে দাদা খুবই সুন্দর একটি কথা বলেছিলেন। যে কথাটা আমার হৃদয়ে গেঁথে গেছে। সাধারনত পৃথিবীতে মানুষ দুই ভাগে সুখ শান্তি উপভোগ করতে পারে। দাদা একটি উদাহরন দিয়ে বলে যেমন,কোন একজন মানুষ একটি পিৎজ্জা অর্ডার দিয়ে বাসায় একা একা খেতে খেতে টিভি দেখলো বা মুভি দেখে উপভোগ করলো। আর একজন মানুষ সব বন্ধুরা মিলে রুটি কিনে এনে ভাগাভাগি করে,টেনে ছিড়ে আনন্দ করে খেয়ে উপভোগ করলো। দুই জনই কিন্তুু সুখ উপভোগ করেছে। তবে দুইজনের সুখ আলাদা,দুই জনের সুখ উপভোগ করার ধরন আলাদা। দাদা হলো দ্বিতীয় পক্ষের মানুষ। দাদা সবাইকে নিয়ে সুখ উপভোগ করতে চাই। দাদা সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। আর এই শিক্ষাটা আমরা দাদার থেকে প্রতিনিয়ত পেয়ে থাকি। সুতরাং আমাদের মন মানুষিকতার পরিবর্তন করা দরকার।

দাদা আমাদের থেকে কোন বেনিফিট আশা করে না। তিনি আমাদের ভালোর জন্য আমাদের থেকে কাজ চায়। আমাদের নিজেদের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তুলতে চায়। আমাদের অলসতাকে দুর করতে চায়। আমাদের মন-মানুষিকতার পরিবর্তন চায়। তিনি আমাদের উপকার করতে গিয়ে আমাদের মত মানুষের গালিও খেয়েছেন। যার স্বাক্ষী আমরা নিজেই দেখেছি। তারপরেও দাদা কিন্তুু আমাদের থেকে মুখ ফিরেয়ে নেন নি। আমাদেরকে বার বার সুযোগ দিচ্ছেন। অন্য দিকে আরেকজন মানুষের কথা না বললেই নয়। আর সে হলো আমাদের সবার প্রিয় সম্মানিত বৌদি। তিনি শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমাদেরকে সন্তানের মত,ছোট ভাই বোনের মত আগলিয়ে রেখেছেন। সবসময় বট গাছের ছায়া হয়ে রয়েছেন।

এই মানুষ গুলো সম্পর্কে, এই পরিবার সম্পর্কে যতই বলি শেষ হবে না। তারা সবসময় সবার বিপদে আপদে সবার আগে থাকেন। আমাদের কথা চিন্তা করে কমিউনিটিতে সব ধরনের প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। যার জ্বলন্ত প্রমান হলো এবিবি চ্যারিটি। কিছু দিন আগেও আমাদের কমিনিউটির এক ভেরিফাইট মেম্বারকে তার চোখের চিকিৎসার জন্য বিশাল একটি অংক গিফট করেছেন। এছাড়াও প্রত্যক্ষ প্ররোক্ষ ভাবে সবাইকে সহযোগিতা করছেন। সুতরাং তিনির জন্মদিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি,তারা যেন সব ধরনের বিপদ থেকে মুক্ত থাকে,সবাই যেন সুস্থ থাকে। সৃষ্টিকর্তার কাছে সবার জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করি।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।