কাজিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু মুহূর্ত।।
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আমি গত বৃহস্পতিবারে একটি পোষ্টে বলেছিলাম যে গত বুধবারে আমার কাজিনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়েছে শুক্রবারে বিয়ে হবে। আর সেই বিয়ের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সেই কমিটমেন্ট অনুযায়ী আজকে চলে আসলাম বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। চলুন শুরু করি।
শুক্রবারে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে,হালকা নাস্তা করে আমি আর আমার বউ মালিবাগের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। শুক্রবারে সাধারনত ঢাকা শহরের রাস্তায় তেমন জ্যাম থাকে না। তারপরও যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভারের উপরে হালকা একটু জ্যামে পড়েছিলাম। তারপর আর তেমন কোন বড় জ্যাম পড়ে নাই। খুব সুন্দর ভাবেই আমরা মামার বাসায় চলে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর আত্নীয় স্বজন যারা এসেছে তাদের সাথে কৌশল বিনিময় করলাম। কিছুক্ষন পরে মামানি আমাদেরকে একটি রুমে ডেকে নিয়ে খাওয়ার জন্য মিষ্টি আর ফলফ্রুট দিলেন। আমরা হালকা হালকা সব কিছুই খেলাম। এখানে বেশি খেলে তো বিয়েতে গিয়ে খেতে পারবো না,হি হি হি। আমার বউও তেমন বেশি কিছু খায় নি। আমরা খেতে খেতে দেখলাম ধীরে ধীরে সবাই বরযাত্রী হিসাবে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েতেছে।
গায়ে হলুদ যে সেন্টারে করেছিলো সেটা তুলনা মূলক ছোট ছিল তাই ঐ মালিকেরই আরেকটি বড় কমিউনিটি সেন্টার আছে মালিবাগে। সেখানে বিয়ের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। আমরা সবাই রেডি হয়ে বরের সাথে বরযাত্রী হিসাবে রওয়ানা দিলাম। বর যদি না যায় তাহলে তো আবার খাবার দিবে না, হি হি হি। আগের থেকে এই কমিউনিটি সেন্টারটি অনেক বড়। সবাই খুব সুন্দর ভাবেই সবতে পারলো,ঘুরাঘুরি করলো,ছবি তুললো। আমাকে তো আমার বউ ছাড়েই না। সারাক্ষন হাত ধরে রাখে। তার কারন হলো এক তো নতুন জায়গা আবার সে তেমন কাউকে চিনে না। যার কারনে তেমন বেশি ফটোও তুলতে পারি নাই। যায়হোক সেটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নাই।
গেইটের মধ্যে চার হাজার টাকা চাঁদা (বকশিস) দিয়ে জামাইকে নিয়ে ভিতরে গেলাম। যাওয়ার সাথে সাথে সবাই নিজ দায়িত্বে চেয়ার নিয়ে বসে গেলাম। বসার সাথে সাথেই নান রুটি আর কালো ভুনা দিলো। নান খাওয়ার পর দিলো পোলাও,দুই প্রকারের রোস্ট, টিকা,মাছ,মাংস,দই, সালাদ,পানি,ড্রিংকস সহ অনেক খাবার। সব কিছুই আমাদের সামনে টেবিলে পর্যাপ্ত পরিমানে দিয়ে রাখলো। সবাই নিজেদের ইচ্ছা মত খাবার গ্রহন করলো।
খাওয়া দাওয়া শেষ করার পড়ে শুরু হলো মালা বদল আর ফটোশট। জামাইয়ের স্টেজটা খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। স্টেজটা দেখে খুব ভাল লাগলো। সবাই যার যার মত ফটোগ্রাফি করলো। আমি জামাই আর বউয়ের কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম।
সর্বশেষ আসলো বিদায়ের পালা। কন্যা অনেক কান্না কাটি করে তার বাবা মা ভাই বোন থেকে বিদায় নিলো। ঐ মুহূর্তে সবার চেহেরা একটু মলিন হয়ে গেল। আত্নীয় স্বজন কান্না কান্না কণ্ঠে কন্যাকে বিদায় দিলো। আমরা সবাই যে যার মত গাড়িতে উঠে বউকে নিয়ে বরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের আয়োজন। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | মালিবাগ, ঢাকা |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনার কাজিনের আগামী জীবন অনেক সুন্দর হউক।শুভকামনা রইল তাদের জন্য।দুজনকে সুন্দর লাগছে অনেক।আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন অনুষ্ঠানে গিয়ে।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
জী আপু অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেক মজা করেছি। ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কাজিনের বিবাহর দারুন একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিস্তারিত আলোচনার সাথে আপনি প্রত্যেক পর্যায়ের ফটোগ্রাফি করে দেখেছেন এবং তা পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেছেন এই পোস্টের মধ্যে। শুভ কামনা করি আপনার কাজিনের জন্য। যেন তারা দীর্ঘ সুখী হন।
জী ভাইয়া তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। তারা যেন সুখী হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাজীনের বিয়েতে দারুণ কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ৷ আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ বর আর কোণেকে বেশ দারুণ মানিয়েছে ৷ ওনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
জী ভাইয়া অনেক মজা করেছি। খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে বিয়ে বাড়িতে যেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার কাজিনের বিয়েতে অনেক মজা করেছিলাম এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। বর বউকে অনেক সুন্দর মানিয়েছে। যাই হোক শেষে বিদায়ের মাধ্যমে আপনারা বউকে বাড়িতে এনেছেন। অবশ্যই পরবর্তী পর্বগুলো শেয়ার করবেন আশা করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু কাজিনের বিয়ে মানে অনেক আনন্দ। ধন্যবাদ আপু।
আপনি আপনার কাজিনের বিবাহতে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সবাই সম্মিলিতভাবে সুন্দর খাবার খাচ্ছে। আসলে বিয়ে মানেই সুন্দর সুন্দর খাবার আর এসব খাবার দেখলে তো ইচ্ছে করে খেতে। আমি কিন্তু ভাই বিয়ে বাড়িতে আবার একটু বেশিই খেয়ে থাকি। বর কণে দেখে বেশ ভালো লাগছে বেশ সুন্দর মানিয়েছে দুজনাকে। তাদের নতুন জীবনের শুভ কামনা করছি।
জী ভাইয়া বিয়ে বাড়িতে একটু বেশিই খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাজীনের বিয়েতে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগছে বর আর কোণেকে। দুজনের জন্য নতুন জীবনের অনেক অনেক শুভকামনা রইল। শেষ পর্বটা কান্নাকাটির হয়ে থাকে। বেদনাময় সময় তখন।
জী আপু বর কনেকে খুব সুন্দর মানিয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার কথা অনুযায়ী কাজিন এর বিয়ের দিন টা শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। বিয়ের অনুষ্ঠানে জয়েন করতে ভীষণ ভালই লাগে। আপনারা দেখছি ভীষণ আনন্দ করেছেন। আপনার স্ত্রী আপনার সাথে সাথে ছিল এটাই ভালো হয়েছে। যেহেতু উনি এখানকার কিছুই চেনে না। তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগলো।
জী আপু আরেকটি পর্ব আছে সেটাও শেয়ার করবো। ধন্যবাদ আপু।
আসলে ভাবি আপনার হাত ছাড়ে নাই নাকি আপনিই ভাবির হাত ছাড়েন নাই ভাবি হারিয়ে যাবে বলে সেটাই তো ভাবনার বিষয় ভাই,হাহাহা। যাইহোক মজা করলাম। তবে কাজিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝতে পারছি। আর বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে না গেলে তো হবেই না মজার মজার খাবার তো খেতে হবে,হাহাহা।নবদম্পতির জন্য প্রার্থনা রইলো তারা যেন সুখে থাকে।
জী ভাইয়া কাজিনের বিয়ে হলে তো আনন্দ একটু বেশিই হয়। আমার হাত ছড়ে নাই,হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
🤣🤣🤣🤣
কাজিনের বিয়েতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই । বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আপনার বউ আপনাকে ছাড়ছিলই না নতুন জায়গায় বলে তাছাড়াও বউয়ের ভয় ছিল বরকে যদি অন্য কেউ নজর দেয় কারণ বিয়ে বাড়িতে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েরা আসে তারা যদি কেউ আপনাকে পছন্দ করে ফেলে, আপনার ফোন নাম্বার চেয়ে নিয়ে যায় সেইসব ভয়ও থাকে বউদের মধ্যে। জামাইকে ভিতরে ৪০০০ টাকা দিয়ে নিয়ে গেলন আমাদের এইখানে আরো বেশি লাগে, না হলে গেট ছাড়ে না। কন্যা বিদায়ের সময় আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক ভাই।
ভাইয়া আমাদের বাজেট ছিল ১০ হাজার বাট তারা চার হাজার পেয়েই ছেড়ে দিয়েছে, ছয় হাজার বেচে গেছে,হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।