Kaithi (কাইথি) মুভি রিভিউ। এক বাবা ও মেয়ের হৃদয় বিদায়ক গল্প।।
বাংলা ভাষাভাষীদের এক মিলন মেলা।।
হ্যালো বাংলা ভাষাভাষী বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আবহওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গতকাল বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তুু আজকেও বৃষ্টির দেখা পেলাম না। কবে বৃষ্টি হবে তাও জানি না। গরম তো কমছেই না,বরং বাড়ছে। যায়হোক আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি তামিল মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে।
মুভির কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য-
- মুভির নাম-Kaithi (কাইথি)
- পরিচালনা- লোকেশ কানাগরাজ
- প্রযোজক-এস. আর. প্রকাশবাবু
- অভিনয় করেছেন- কার্তিক শিবকুমার, নারাইন, অর্জুন দাস, জর্জ মেরিয়ান, হরিশ উথামান, ধীনা, রমনা, হরিশ পেরাদি, মালবিকা অবিনাশসহ আরও অনেকে।
- সময়- ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট
- মুক্তির তারিখ- ২৫ অক্টোবর ২০১৯
- ভাষা-তামিল
- দেশ-ভারত।
মুভির সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
লোকেশ কনকরাজ পরিচালিত খুবই আলোচিত একটি মুভি হলো কাইথি। কাইথি ২৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে দিওয়ালী উপলক্ষে মুক্তি দেওয়া হয় ৷ মুভিটি মুক্তির পর থেকেই এর অ্যাকশন সিকোয়েন্স, গল্প, অভিনয় ও চিত্রনাট্যের জন্য দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দর্শকদের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার ফলে, সিনেমাটি ব্যবসায়িক ভাবে দারুন সফলতা পেয়েছে। কোন নায়েকা বিহীন মুভিটিতে অভিনয় করেছে কার্তিক শিবকুমার, চলচ্চিত্র জগতে যিনি কার্তি নামে পরিচিত।
২০১৯ সালে মুভিটি রিলিজ হওয়ার পরে প্রচুর ভিউ হয়েছে। আমি মুভিটি Goldmines চ্যানেলে ইউটিবের মাধ্যমে দেখেছি। সেখানে ২০২৩ সালের মে মাসে মুভিটি আপলোড করা হয়। সেই চ্যানেলে এখন পর্যন্ত ১৯ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। তবে মুভির আয়ের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় প্রায় ১০৫ কোটি ভারতীয় রুপি ইনকাম করেছে। তাছাড়া অভিনেতারা ও মুভিটি বেশ কিছু পুরষ্কার লাভ করেছে।
মুভিটির মধ্যে মূলত বেশি ফোকাস করো হয়েছে মাদকদ্রব্যের দিকে। শহরের কিছু প্রভাবশালী সন্ত্রাসীর বড় একটি মাদকের চালান পুলিশের হাতে আটকা পড়ে। পুলিশ খুবই বিচক্ষণ ভাবে সেই মাদক দ্রব্য গুলো একটি পুলিশ স্টেশনের গোপন সুরুঙ্গে লুকিয়ে রাখে। সেই পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই আটকা ছিল সন্ত্রাসীদের বড় লিডার রাঙ্গা। তবে রাঙ্গা নামের কেউ একজন আছে সেটা সবাই জানে,তবে কেউ তাকে সরসরি দেখে নাই। সে খুবই ভয়ানক একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীদের দলে পরিচয় গোপন করে একজন পুলিশ অফিসার কাজ করে। আবার পুলিশের মধ্যে একজন ঘুষখোর বেইমান পুলিশ অফিসারও আছে। সে অর্থের লোভে রাজনৈতিক বড় লিডারদের কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়। মাদকের বড় চালানটি জব্ধ করে সব পুলিশ অফিসাররা আইজিপির বাড়িতে পার্টি করার সময় বিশ্বাসঘাতক সেই পুলিশ মদের সাথে একটি ড্রাগ মিশিয়ে দেয়। যার ফলে সবাই মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এখন এখানে অর্জুন নামের একজন সৎ পুলিশ অফিসার ছিল যে ঔষুধ খাওয়ার ফলে মদ খায়নি। সে সবাইকে একটি লরীতে করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তুু লরীর ড্রাইভার না থাকায় কার্থিকে তার মেয়ের সাথে দেখা করানোর ওয়াদা করে লরী চালাতে বাধ্য করে। কার্থি আবার বারো বছর জেল খেটে বের হয়ে রং সাইটে গাড়ি পার্কিং করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে, আইজিপির গাড়িতে আটকে ছিল।
যখন কার্থি লরীর মধ্যে অজ্ঞান সব পুলিশ অফিসারকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন,তখনই রাস্তায় কয়েক দফায় সন্ত্রাসীদের আক্রমনের শিকার হয়। প্রথম দুই দফা আক্রমন অনেক কষ্টে মোকাবেলা করেন। লরীর মধ্যে একজন বিশ্বাসঘাতক পুলিশ অফিসার ছিল। সে অজ্ঞান অবস্থার অভিনয় করে সন্ত্রাসীদেরকে তাদের লোকেশন জানাচ্ছিলো। যার ফলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বার বার আক্রমন করার সুযোগ পাচ্ছিলো। তৃতীয় দফার আক্রমনটা মারাত্বক ছিল। যেটা অনেক হতাহতের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে। ঐদিকে কার্থির মেয়ে তার বাবাকে বারবার ফোন করছিলো। কারন কার্থির মেয়ে জানেনা যে তার বাবা বেঁচে আছে। আর কার্থিও কখনো তার মেয়েকে দেখে নাই। যার ফলে তাদের মধ্যে একটি উত্তেজনা কাজ করছিলো। সম্পূর্ণ মুভিটা এই রাস্তার মধ্যেই অভিনয় করা হয়েছে। আর একটি পুলিশ স্টেশন যেখানে সন্ত্রাসী রাঙ্গা ও চুরাই চালানে আটকৃত মাদক দ্রব্য গুলো রাখা আছে। কার্থি পরের দিন তার মেয়ের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।
ঐদিকে পুলিশ স্টেশনের সাথে অর্জুনের যোগাযোগ ছিল। সে ঐ থানার সকল পুলিশকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে বলেছিলো। কিন্তুু সেখানের দায়িত্বরত পুলিশ কোন জামেলা হবে বলে সবাই বাসায় চলে গেছিলো। তবে নতুন জয়েন করা একজন পুলিশ ছিল। আর কলেজের কিছু স্টুডেন্ট ছিল,যারা মদ পান করার কারনে থানায় আটক ছিল। অবশেষে তাদের সাহয্যে থানা হেফাজন করার জন্য সমস্ত গেইট,দরজা জানালা বন্ধ করে দিলো এমনকি ভিতরের লাইট অফ করে দিলো। কিন্তুু রাঙার লোক জেনে গেছে,সেখানে রাঙ্গা ও মাল দুইটাই রয়েছে। যার ফলে তারা দলবল নিয়ে থানায় আক্রমন করে। সেখানে কলেজের স্টুডেন্টরা বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করেছিল। মুভিটা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনারা ইচ্ছা করলে মুভিটা দেখতে পারেন। অনেক মজা পাবেন।
নিজের মতামত-
মুভিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। কোন গান ছাড়া কোন নায়েকা ছাড়াও যে মুভি হয় সেটাই এই মুভিতে দেখানো হয়েছে। আর নিজেকে বাঁচাতে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। অপরের উপর ভরসা করলে হবে না। নিজের বুদ্ধি, নিজের সাহস কাজে লাগাতে হবে। আর জীবনে যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুুত থাকতে হবে। লাষ্টে কার্থির সাথে তার মেয়ের দেখা ও কথা গুলো যে কোন মানুষের মনে আচঁর কাটবে। লাষ্টের দিকে বাবা মেয়ের মিলটা দেখে সন্তান তার বাবা মাকে ছাড়া কতটা অসহায় থাকে,সেটা অনুভব করা যায়। বাবা ছাড়া একজন সন্তানের বড় হওয়া কতটা কষ্ট,কতটা অপমানের সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। আর সন্তানকে ঠিক ভাবে দেখভাল না করতে পারলে বাবারা কতটা লজ্জিত হয় সেটাও বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার দেখা সেরা একটি মুভি ভাই। সত্য কথা বলতে একটা রাতের কাহিনী এত দুর্দান্তভাবে ব্লাস্ট করবে কেউ ভাবতেই পারিনি। লোকেশ কানার্রাজ বেশ দুর্দান্তভাবে এটা পরিচালনা করেছেন। মুভিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। পরের পার্টে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। ওটা বেশ ভাল হবে, আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। আপনি বর্ণনা দিয়েছেন একটা বাবা ও মেয়ের কাহিনী নিয়ে দারুন ছিল
জী ভাইয়া সম্পূর্ণ মুভিটা রাতের বেলা করা হয়েছে। কাহিনী খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ধন্যবাদ।
কাইথি মুভিটি আমি অনেক আগেই দেখেছি। এটি লোকেশ কানাগরাজ ইউনিভার্স এর প্রথম মুভি ছিলো। আপনি বেশ চমৎকারভবে মুভিটি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মুভি রিভিউ করার জন্য।
মুভিটি ২০১৯ সালে মুক্তি পেলেও আমি গতকাল দেখেছিলাম। ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।
অনেকদিন পরে এই সিনেমাটার রিভিউ দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। প্রথমে যখন সিনেমাটা রিলিজ হয় আমি তখনই সিনেমাটা দেখেছিলাম। কিছুদিন আগে ও আমি প্রচুর পরিমাণে তামিল সিনেমা দেখতাম কিন্তু এখন আর সময়ের অভাবে দেখা হয় না।
ভাইয়া আমিও একসময় প্রচুর তামিল ছবি দেখতাম। তবে এখন খুব কম দেখা হয়। ধন্যবাদ।