বর্তমানে আমাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পোস্টার,ব্যানার আর ফেস্টুনে চলে গেছে।।
হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি জনি প্রিন্স আজকে আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো। আশা করি এই ব্লগের মাধ্যমে সবার সাপোর্ট পাবো।
বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমাদের দেশের সরকারি বেসরকারি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নেই। সব জাগায় দলীকরন আর রাজনৈতির ছোবলে শিক্ষার বারোটা বেজে গেছে। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুঝা যায় না। মনে হয় কোন মার্কেটে গেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন কোন গাছ বাদ নেই,যে গাছে ছাত্র নেতারদের পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন লাগানো হয়নি। শুধু গাছ নয় প্রতিষ্ঠানের বেল্ডিং এর মধ্যেও বড় বড় পোষ্টার, ফেস্টুন লাগানো। ছাত্র নেতা ছাড়াও মেম্বার, চেয়ারম্যান,মেয়র,কাউন্সিলর,এমপি মন্ত্রীদের ছবি সহ পোষ্টার, ব্যানার লাগানো আছে। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত গুলো পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন দেখা যায়, এত গুলো পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন মনে হয় বাহিরের কোন উপজেলা বা জেলাতে ও নাই।
আমাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার থেকে নেতামি,চামচামি বেশি চলে। যে যত বড় পোষ্টা লাগাতে পারবে তার পরিচিতি তত বড়। যারা ভালো পড়াশোনা করে তাদের কোন দাম নেই। পোষ্টারে যাদের নাম আছে,ছবি আছে তারাই ভালো স্টুডেন্ট। স্টুডেন্ট শিক্ষকদের মানে না, আবার শিক্ষকরা স্টুডেন্টদের নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। পারবে কিভাবে আমাদের দেশের অনার্স,মাষ্টার্স আর ডিগ্রি পাশ করলেই তো বড় বড় নেতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে জয়েন করা যায় । তারা নিজেরাও তো কিছু পারে না আর স্টুডেন্টেকেও কিছু শিখাতে পারে না। যে দেশে ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্র ছাত্রীেদেরকে রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে নেতাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে সেটা বুঝা আর কিছু বাকি নেয়। অন্য দেশের ছাত্র কমিটি প্রতিষ্ঠানে ভালে একজন টিচার নিতে আন্দোলন করে আর আমাদের দেশের ছাত্র কমিটি সরকারের চামচামি করে।
যখন আমাদের দেশের স্টুডেন্টরা মিছিল,মিটিং নিয়ে ব্যস্ত,আর অন্যদেশের স্টুডেন্টরা গবেষণায়
ব্যস্ত। আমাদের দেশের শিক্ষকেরা রাজনীতি,সমিতি,কমিটি আর চামচামি নিয়ে ব্যস্ত আর অন্যদেশের শিক্ষকেরা বিশ্বমানের তরুণ গড়ায় মগ্ন। অন্য দেশের শিক্ষাখাতে দিনে দিনে বাজেট বাড়ে আর আমাদের দেশের শিক্ষা খাতে বাজেট দিনে দিনে কমে। যতটুকু বাজেট হয় সেটাও নেতাদের পকেটে চলে যায়। যতটুকু বাজেট হয় তার ১০% ও কাজ হয় না। অন্য দেশের সরকার সারা দুনিয়া থেকে ছেঁকে ছেঁকে পিএইচডি করা তরুণ মেধাবীদের ফিরিয়ে নিয়ে নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়। আর আমাদের দেশের মেধাবীদেরকে হল রুমে নির্যাতন করে মেরে ফেলে। অন্য দেশের স্টুডেন্টরা মন্ত্রী এমপিদের অন্যায় দেখলে তর্কযুদ্ধে জড়ায় আর আমাদের দেশের ছাত্ররা সত্য কথা বললে জঙ্গি উপাধি পায়।
এটা যে ছাত্রদের দুষ তা আমি বলবো না। এগুলোর সম্পূর্ণ দুষ এমপি,মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর। আমাদের দেশের কারো শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা নেই। সবাই নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত। দেশ কোথায় গেল,শিক্ষা ব্যবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলে, আমি ডাক্তার হতে পারি নি কিন্তুু ডাক্তারদের মন্ত্রী হয়েছি। চিন্তা করেন যার ডাক্তারীর কোন সার্টিফিকেট নেই সে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। শুধু তাই নয় আমাদের দেশের কৃষিবিদ হয়েও মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হতে পারে। দেশে দেখে বাংলা পড়তে পারে না এমন লোককে সংসদের এমপি হতে দেখেছি। বাউল শিল্পীরাও এমপি হতে পারে। শুধু ডিগ্রী পাশ করেও মন্ত্রী হতে পারে।
সরকারি দল, বিরোধী দল,বাম দল কেউ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবর্তে রাজনীতি ঢুকে গেছে সেটা কারো মাথা ব্যাথা নয়। যে দেশের ভিসিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে মেয়র প্রার্থী হতে চাই,যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ডিগ্রি পাশ করা মন্ত্রী,এমপিদের পা চাটে,সে দেশের শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের কি শিখাবে। যে দেশের নেতাদের আগমনে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিক্ষা বন্ধ হয়ে যায়,যে দেশে ক্লাশ রুমে ক্লাস বাদ দিয়ে রাজনৈতিক মিটিং করা হয়,যে দেশে ক্লাস বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে রাজনৈতিক কাজ কর্ম করানো হয়,যে দেশের ইউনিভার্সিটিতে ভিসির পদে থাকার জন্য ভাড়া করা সন্ত্রাসী দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা করা হয়। সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে এখনো আকাশে উঠে যায়নি সেটাই ভাগ্যের বিষয়। এখনো যে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পোস্টার,ব্যানারে আটকে আছে তার জন্য শুকরিয়া আদায় করা দরকার।
যায়হোক বন্ধুরা আজকে মনের ভিতরে জমে থাকা অনেক গুলো কষ্টের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। জানিনা কার কাছে কেমন লেগেছে। যে যায় বলুক তাতে আমার কিছু আসে যায় না। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আর শিক্ষা নিয়ে বাস্তবে যা গঠছে সে গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন ভাইয়া।ক্ষমতাবান মানুষেরা শিক্ষাকে তাদের খারাপ কাজে লাগিয়ে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক ভুল পথে চালনা করছে।যেটা আসলেই উচিত নয়, ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু আজকে ক্ষমতার নিচে শিক্ষা চাঁপা পড়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।