বাসার পাশে স্বপ্ন সুপার শপে একদিন।।

এখন জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র কেনার জন্য দূরে যেতে হয় না। ঘরে বসেই অনলাইনে সব কিছু কেনাকাটা করা যায়। অনলাইনে কেনকাটা করার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে সব থেকে জনপ্রিয় দু্টি সাইট হলো দারাজ আর চালডাল ডটকম। এই দুইটি অনলাইন সাইটে মানুষ কেনাকাটা বেশি করে। এমন কোন জিনিষ নেই সেখানে পাওয়া যায় না। অনলাইন কেনাবেচায় মানুষের আগ্রহ দেখে এখন কোরবানীর গরু ও অনলাইনে কেনাবেচা হয়। গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে গরু ছাগল বিক্রির প্রচলনটা শুরু হয়েছে। তবে আমি এখনো অলাইনে কেনাকাটা করি নাই। কারন বাংলাদেশের অনলাইন সাইটকে আমার বিশ্বাস হয় না। যদিও এখন কিছুটা বিশ্বাস অর্জন হচ্ছে। তারপরেও আরো যাচাই বাছাই করতে হবে। আরো কিছু বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

আজকে আমি অনলাইন নয়,অফলাইনে কেনাকাটা করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আপনারা সবাই জানেন যে বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি শপ হলো স্বপ্ন সুপার শপ। অনেকেই এই স্বপ্ন সুপার শপ থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। আমিও মাঝে মাঝে স্বপ্নতে যায়। আমি একমাত্র আমাদের বাবুর কোন জিনিষ পত্র লাগলেই স্বপ্নতে যায়। এছাড়া তেমন স্বপ্নতে যাওয়া হয় না। আমাদের বাসার নিচে বিশাল বড় একটি শপ আছে,সেখানেও স্বপ্ন সুপার শপের মত সব কিছু পাওয়া যায়। সেখান থেকেই কেনাকাটা করা হয়। বাসার নিচে সব কিছু পেলে দুরে কে যায়।

তারপরেও কিছুদিন আগে বাবুকে গ্রামের বাড়িতে দিয়ে আসার আগে বাবুর দুই তিনটি জিনিষ দরকর পড়ে। সে জন্য স্বপ্ন সুপার শপে গিয়েছিলাম। এই শপটা আমাদের বাসার পাশেই নতুন হয়েছে। এর আগে এখানে শপটা ছিল না। স্বপ্ন সুপার শপের কাস্টমার দিনে দিনে বাড়ছে। যার ফলে তারা তাদের শপের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। আমাদের দিকে আরো কিছু পরিচিত শপ আছে। যেমন বিগ বাজার,মিনা বাজার,আরএফল এর বেষ্ট বাই, এগুলো খুবই পরিচিত শপ। আর দিনে দিনে এসব শপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আমি সন্ধার পরে অফিস থেকে বের হয়ে স্বপ্ন সুপার শপে গিয়েছিলাম।

সুপার শপটা নতুন হলেও বড় জায়গা নিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। উপরে সাইনবোর্ডের মাধ্যমে কোন দিকে কি পন্য রাখা হয়েছে সে গুলোর দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদের প্রয়োজীয় যা কিছু দরকার সব কিছুই শপের মধ্যে রয়েছে। এক সাইটে দেখলাম চাল, ডাল, তেল, ডিম, মসলাপাতি সহ সকল আইটম সাজিয়েছে। আরেক পাশে দেখলাম নুডুলস, সস, চিপস, সেমাই, পাস্তা, পিঠা,পপকন, ভুট্টা সহ এই জাতীয় আইটেম গুলো। আরেক পাশে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়, কেক, বিস্কিট, আটা, চানাচুর, দুধ চিনি জাতীয় জিনিষ পত্র। তারপর আরো রয়েছে কসমেটিক্স ও পারফিউম, টিসু জাতীয় জিনিষ পত্র। অথার্ৎ এমন কোন জিনিষ নেই যে,সেখানে পাওয়া যায় না। কিছু শপে আমি মাছ মাংস ও সবজি বিক্রয় করতেও দেখেছিলাম। তবে এখানে শপটা নতুন হওয়ার কারনে সব পন্য এখনো তুলা হয়নি।

সন্ধার পরে গরমের মধ্যে গিয়ে শপে প্রবেশ করেছি। শপে এসির ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগিয়ে শরীরটা একটু ঠান্ডা করে নিলাম। তারপর আমি সম্পূর্ণ শপটা ঘুরে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে বেবি আইটেম গুলোর দিকে গেলাম। সেখানে বেবি আইটেমের সব কিছুই রয়েছে। আমি বাবুর জন্য কডোমো ব্যান্ডের বেবী পাউডার , শ্যাম্পু , ক্রিম ও সাবান নিলাম। বাবুর চুল যদিও ছোট তেমন বড় হয়নি। এখন থেকেই নাকি শ্যাম্পু দিতে হবে। তাই একটি শ্যাম্পু ও নিলাম। শপটা নতুন হিসাবে কিছুটা ডিস্কাউন্ট দিলো। আবার যেন যায় সেই জন্য ধন্যবাদ ও দিলো। যেহেতো বাসার পাশে স্বপ্ন সুপার শপ হয়েছে,তাই মাঝে মাঝেই যাওয়া হবে।

শপের জিনিস গুলো যেমন তেমন দাম দেখলে চোখ কপালে উঠে যায়। যে হারে জিনিষ পত্রের দাম বাড়ছে,জীবন অতিবাহিত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে জিনিষ পত্রের দাম ততই বাড়ছে। অথচ সেলারি কিন্তুু বাড়ে না,ইনকাম বাড়ে না। সেলারি আগের জাগায় রয়েছে। এখন নতুন বাজেট দিয়েছে,বাজেটের অর্ধেকই ঋণ করে বাজেট পুরন করতে হবে। আর সেই ঋণের দায় জনগনের উপর চাপিয়ে দিবে। যার ফলে জিনিষ পত্রের দাম রকেটের গাতিতে বাড়ছে। স্বপ্ন শপ থেকে বের হয়ে সামনের জীবনের কথা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা ভাবতে ভাবতে আমাদের বাসার দিকে পা বাড়ালাম। বাসার নিচে এসে আমাদের পরিচিত শপ থেকে আরো কিছু জিনিষ পত্র কেনাকাটা করে বাসায় গেলাম। জীবন বড়ই কঠিন।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না। এখন থেকেই বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল আপনাদের মাঝে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো,ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।