ফটোগ্রাফি- সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম।।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভাল এবং সুস্থ আছি। আজকে অফিসের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে পোষ্ট লিখতে একটু দেরি হয়ে গেছে। মানুষ যতদিন পৃথিবীতে বেচেঁ থাকবে ততদিন তার ব্যস্ততা থাকবেই। সব কিছু ম্যানেজ করেই আমাদের চলতে হয়। জীবনে চলতে গেলে অনেক কিছুই দরকার পড়ে। যায়হোক এসব কথা অন্য আরেকদিন শেয়ার করবো। চলুন আজকে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করি।

আমি এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি ২০১২ সাল থেকে। তবে তখন ফটোগ্রাফি করার এত নেশা ছিল না। যখন মন ভাল থাকতো বা কোন জিনিষ বেশি ভাল লাগলে তখন ফটোগ্রাফি করতাম। কিন্তুু এখন বাসা থেকে বের হলেই ফটোগ্রাফি করার জন্য সুযোগ খুজঁতে থাকি। আর যেটা দেখি সেটাই ভাল লাগে। সত্যি কথা হলো যে যেই জিনিষ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে,কাজ করে তার কাছে সেটাই ভাল লাগে। এই প্রথম আমি কোথাও ঘুরতে গিয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি।

সিলেটে বেড়াতে গিয়ে যেখানে যেখানে ঘুরতে গিয়েছি সেখানেই ফটোগ্রাফি করেছি। ফটো তুলার পরে দেখি ছবি গুলো জাষ্ট অসাধারন লাগে। একদিন সন্ধার পরে আমার ভাগিনার সাথে তাদের বাজারে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। তখন তাদের বাজার থেকে কয়েকটি ফটো তুলেছিলাম। সে গুলো আজকে শেয়ার করবো। এছাড়া দিনের বেলা সিএনজি দিয়ে এক জাগায় যাচ্ছি তখন রাস্তা দিয়ে মহিষ দেখে ফটো তুলেছিলাম। তাছাড়া আরো অনেক ধরনের ছবি আছে,ধীরে ধীরে শেয়ার করবো ইশাআল্লাহ।

প্রথমে আমরা বাজারে গিয়েই দেখি জাতীয় মাছ ইলিশ। সিজন ছাড়া ইলিশের অনেক দাম থাকে। তাছাড়া এই ইলিশ গুলো কিছুটা ছোট সাইজের ছিল। আমাকে জিঙ্গেস করেছিলো ইলিশ কিনবে কি না। আমি তখন না করেছিলাম। কারন সিলেট থেকে ঢাকা নারায়নগঞ্জে ইলিশের দাম অনেক কম। এত দাম দিয়ে ইলিশ খাওয়ার দরকার নেই।

তারিখ : ৯ই মে ২০২৩
সময় : সন্ধা ৭টা ২০ মিনিট
স্থান : ব্রাহ্মণবাজার,কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,সিলেট, বাংলাদেশ।

তারপর আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেখি কয়েক প্রকারের মাছ এক জাগায় বিক্রয় করছে। এখানে রয়েছে রুই,কার্ফু,গ্রাসকার্প মাছ । মাছ গুলো প্রাক্রিতিক ভাবে ভাল থাকার জন্য মাছ গুলোর নিচে বিভিন্ন ঘাস ভিছিয়ে দিয়েছে। এর ফলে মাছ গুলোও তাজা থাকে।

তারিখ : ৯ই মে ২০২৩
সময় : সন্ধা ৭টা ২২ মিনিট
স্থান : ব্রাহ্মণবাজার,কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,সিলেট, বাংলাদেশ।

তারপর দেখলাম বিশাল বড় বড় মৃগেল বা বৃকেট মাছ। এ মাছ গুলো ফটোর মধ্যে অনেক ছোট ছোট দেখা যায়। তবে বাস্তবে অনেক বড়। এগুলো চাষের মাছ। বর্তমানে তো দেশি মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সারা বাজারে শুধু চাষের মাছ দেখলাম। দেশি মাছ কোথাও দেখলাম না।

তারিখ : ৯ই মে ২০২৩
সময় : সন্ধা ৭টা ২৫ মিনিট
স্থান : ব্রাহ্মণবাজার,কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,সিলেট, বাংলাদেশ।

এখানে যে মাছ গুলো দেখা যাচ্ছে সব গুলোই গ্রাসকার্প মাছ। এই এই মাছ গুলোর অনেক স্বাদ। অন্যান্য জায়গার চেয়ে সেখানে মাছের দাম একটু বেশি ছিল। কারন আমি অনেক জাগায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি ঐদিক দিয়ে পুকুর নাই বললেই চলে। কোথাও আমি পুকুর দেখতে পায়নি। এই মাছ গুলো সিলেটের বাহিরের জেলা থেকে গেছে।

তারিখ : ৯ই মে ২০২৩
সময় : সন্ধা ৭টা ৩০ মিনিট
স্থান : ব্রাহ্মণবাজার,কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,সিলেট, বাংলাদেশ।

এই ফটো গুলো নিয়েছিলাম সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে। সেখানে ঐদিন এত মানুষ ছিলে যে বসে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আমার মত শত শত মানুষ দাড়িয়ে বসে আছে আবার কেউ ঘুরছে,অপেক্ষা করছিলো। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবাই শুধু ফটোগ্রাফি করছে। এখন খাওয়ার চেয়ে ফটোগ্রাফি আসল।

তারিখ : ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সদরঘাট, ঢাকা, বাংলাদেশ।

এই ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন মহিষের পাল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমি সিএনজি থেকে ফটো গুলো নিয়েছিলাম। একটা জিনিষ খেয়াল করলাম ঐদিকে প্রচুর মহিষ পালন করে থাকে। সেদিক দিয়ে মহিষের দাম তুলনামূলক কম।

তারিখ : ৯ই মে ২০২৩
সময় : সন্ধা ৫ টা ৩০ মিনিট
স্থান : ব্রাহ্মণবাজার,কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,সিলেট, বাংলাদেশ।

আর এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি ডিসে সুন্দর ভাবে সালাদ সাজানো আছে। টমেটো গুলোর উপরের অংশটা কেটে গোলাপ ফুলের মত বানিয়েছে। সালাদের ডেকোরেশনটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে,তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

তারিখ : ৭ই মে ২০২৩
সময় : সন্ধা ২ টা ৩০ মিনিট
স্থান : ব্রাহ্মণবাজার,কুলাউড়া, মৌলভীবাজার,সিলেট, বাংলাদেশ।

বন্ধুরা আজকে এপর্যন্তই,আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। আশা করি আমার আজকের আয়োজনটা আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফটোগুলো সংগ্রহ করেছি। মূল কথা হলো ইচ্ছা থাকলে যেকোন সময় যে কোন জায়গা থেকে ফটো সংগ্রহ করা যায়। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।