একটি ব্যাগের কারনে আমার ট্রেন মিস।।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করো তোমার মনের কথা-
আমি বর্তমানে যেখানে চাকরি করছি,সেখানে আমাদের গ্রামের তিন জন মানুষ আছে। প্রথম জন ২০০২ সালে এখানে এসে চাকরিতে জয়েন করেন। তিনি বর্তমানে ম্যানাজার পোস্টে আছেন। তিনির মাধ্যমেই আমার এখানে চাকরি হয়। তিনি সম্পর্কে আমার চাচা লাগে, তার বাড়ি আবার আমাদের পাশের বাড়ি। তো ছোট থেকেই চেনা জানা সেই সুবাদেই আমার চাকরিটা হয়। তাছাড়া রেফারেন্স ছাড়া সাধারনত চাকরি হয় না। যায়হোক চাকরি হওয়ার পর থেকে খুব কমই আমি বাড়িতে যাওয়া আসা করি। দরকার ছাড়া বাড়িতে তেমন যেতাম না। এমনকি মাঝে মাঝে ঈদের সময়ও ঢাকায় ঈদ করতাম। তবে যত বার বাড়িতে যেতাম, সেই কাকার বাড়ি থেকে কোন না কোন কিছু দিয়ে একটি ব্যাগ নিয়ে আসতে হতো। এই যেমন ধরেন ঈদের পরে আসলে মাংস নিয়ে আসতাম, চাউল নিয়ে আসতাম,আমের সিজনে আম নিয়ে আসতাম,দুধ নিয়ে আসতাম,যখন যেটা দরকার হতো সেটাই আনতাম।। বাস দিয়ে ভ্রমন করলে আমার মাথা ব্যাথা করে। বিপদে না পড়লে আমি বাসে যাতায়ত করি না। তবে কাকার বাড়ি থেকে কোন কিছু দিলে তখন বাসে আসতে হতো। কারন জিনিষ পত্র, ব্যাগ ক্যারি করা অনেক কষ্ট। এগুলো নিয়ে ট্রেনে উঠা আরো বেশি কষ্ট। তারপর ট্রেন থেকে নেমে অনেকটা পথ ক্যারি করে আবার বাসে উঠতে হয়ে। তো এগুলো আনতে আনতে বিরক্ত হয়ে গেলাম।
গত বুধাবারে বাড়িতে যাওয়ার সময় কাকা জিঙ্গেস করলো বাড়ি থেকে কবে আসবো। আমি বললাম বৃহস্পতিবারেও আসাতে পারি আবার শুক্রবারেও আসতে পারি। সিউর দিয়ে বলতে পারছি না। কারন সিউর দিয়ে বললেই বলবে বাড়ি থেকে এটা ওটা নিয়ে এসো। তারপরও তিনি বলে ফেললেন তিনির বোনের বাড়ি থেকে কিছু আম দিতে চেয়েছেন। তিনি আমাকে সরাসরি আম আনতে বলেন নাই,তবে ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন। একথা বলার পরেই বুঝে গেছি বাড়ি থেকে আসার সময় আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। যায়হোক অবশেষে বাড়িতে বৃহস্পতিবারে গিয়ে সন্ধার সময় চলে আসতে চেয়েছিলাম। তবে আম্মু আর আসতে দেয়নি। ফলে শুক্রবারে বিকাল পাঁচার সময় বাড়ি থেকে বের হলাম। বাড়ি থেকে ট্রেন স্টেশন আসতে সময় লাগে এক ঘন্টা। আর ট্রেন ছাড়বে ৬:৪৫ মিনিটে তারমানে আমার হাতে এক ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিট সময় আছে। সুতরাং স্টেশনে গিয়ে বসে থাকতে পারবো। দুই দিনে সেই কাকার বোনের বাড়ির আমের কথা আমার বারবার স্বরন হচ্ছে। কিন্তুু আমি কাকাকে ফোন করে বলি না। যদি ফোন করে বলি যে আমি শুক্রবারে বিকালে ঢাকা আসতেছি,তাহলে কমপক্ষে বিশ কেজি আম ধরিয়ে দিবে। আর তখন সে গুলো নিয়ে ঢাকায় আসতে আসতে কমপক্ষে অমাার দুই মাস হায়াত কমে যাবে।
সে জন্য আমাদের গ্রামের বাস স্টেশন থেকে সিএনজিতে উঠে চাচাকে ফোন দিয়ে বললাম যে, আমি সিএনজিতে আছি,আপনার বোন আম দিলে বলেন রাস্তার পাশে নিয়ে আসতে। তিনির বোনের বাড়ি আবার হাইওয়ে রোডের পাশে। আমার ফোন পাওয়ার পরে চাচা বললো তুমি আমাকের আগে বলবা না...? তাহলে আমি আগে বলে রাখতাম। আমি তখন বললাম আমার মনে ছিল না। সিএনজিতে উঠে হঠাৎ মনে হয়েছে। তখন তিনি তার বোনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন,কিন্তুু যোগাযোগ করতে পারলেন না। তিনির বোনের বাড়ির দূরত্ব আমাদের গ্রামের বাস স্টেশনের পরে মাঝখানে তিন স্টেশন পরে। পাঁচ থেকে ছয় মিলোমিটার দুরত্ব হবে। আমি তিনির বোনের বাড়ির স্টেশনে এসে আবার কাকাকে ফোন দিলাম। তিনি জানোলো তার বোন ফোন ধরছে না,যদি আমি পারি তাদের বাড়ি থেকে গিয়ে যেন আম নিয়ে আসি। এ কথা শুনার পরে কেমন লাগে চিন্তা করেন। এদিকে ট্রেন আসার সময়ও হয়ে যাচ্ছে।
চিন্তা করলাম যদি আম না নিয়ে যায়,তখন বলবে ছেলেটাকে একটি কথা বললাম শুনলো না। মনে মনে অনেক কিছু ভাবতে পারে, সে জন্য তিনির মনের কথা চিন্তা করে সিএনজি থেকে নেমে গেলাম। তারপর অল্প একটু হেঁটে সেই ফুফুর বাড়িতে গেলাম। যাওয়ার পরে দেখলাম সেখানে কাকার আপন ছোট ভাই মানে আমার ছোট কাকা তাদের বাড়িতে বসে আছে। তিনিও ঢাকায় থাকেন, এক অনুষ্ঠানে এটেন্ট করতে শুক্রবারে সকালে বাহ্মণবাড়িয়া গেছেন,রাতের বেলা আবার ঢাকায় ফেরত আসবেন। তখন আমি চিন্তা করলাম তিনির আপন ছোট ভাই বোনের বাড়িতে বসে আছে, তাকে দিয়ে আম ঢাকায় নিবে না। আমার মাধ্যমে কষ্ট করে আম নেওয়াবে। ফুফু আমাকে দেখে অনেক খুশি হলেন,আমাকে ঘরে বসিয়ে খাওয়ার জন্য আম কেটে দিলেন। তারপর ফুফুর ঘরে যে আম ছিল সে গুলো দিলেন আর কিছু আম গাছ থেকে পেরে সাত আট কেজির মত একটি ব্যাগে ভরে দিলেন। আমি তারাতরি করে সেই ব্যাগ নিয়ে সিএনজিতে উঠে টেন স্টেশনের দিকে যেতে লাগলাম। আমি স্টেশনে ৭:০২ মিনিটে পৌছালাম। আর মহানগর গোধূলী ট্রেনটি ৬:৫০ মিনিটে ছেড়ে চলে গেছে।
এই সেই আমের ব্যাগ যেটার জন্য আমার ট্রেন মিস হয়েছে। অটো থেকে নেমেও অনেকটা পথ হেটে স্টেশনে আসতে হয়। স্টেশনে দাড়ানোর পরে শরীর দিয়ে বৃষ্টির মত ঘাম জড়তে লাগলো। তারপর ৮:০৫ মিনিটে আসবে পারাবত এক্সপ্রেস, সেটার জন্য দাড়িয়ে রইলাম। পারাবত আসতে আসতে ৮:৪০ মিনিট বেজেছে। এটা প্রায় পয়ত্রিশ মিনিট লেইট করেছে অথচ মহানগর গোধূলী বার মিনিটের জন্য মিস করলাম। একেই বলে ভাগ্য। সবসময় আমি যখন স্টেশনে আসতে লেইট করি তখন ট্রেন ঠিক টাইমে চলে আসে,আর আমি যখন স্টেশনে ঠিক টাইমে আসি তখন ট্রেন আসতে লেইট করে। এটা আমার সাথে আরো অনেক বার হয়েছে। সেই জন্য আমি ভাগ্যকে মেনে নিয়েছি।
যায়হোক প্রচন্ড গরম আর ভিড়ের মধ্যে অনেক কষ্ট করে আমের ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে উঠলাম। সিট তো নাই,স্টেন্ডিং টিকেট নিলাম। আমের ব্যাগ এক জাগায় রেখে দাড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষন ডিস্কর্ডে চ্যাটিং করলাম। ট্রেনের স্পিড যখন বেড়ে গেলো তখন মোবাইলের নেট আর কাজ করে না,ম্যাসেজও সেন্ড হয় না। তখন চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম, কিছুক্ষন পরপর হকার ভাইগণ এসে ডিস্টার্ব করে। কিছু বলার নেই, এগুলো করেই তাদের সংসার চলে। শহর বন্দর গ্রাম পেরিয়ে ট্রেন চলতে লাগলো। আমি মাঝে মাঝে গুগল ম্যাপ দেখি টঙ্গী আসতে আর কত মাইল বাকি আছে। যদিও নেট স্লো থাকার কারনে অনেক কষ্টে আপডেট বের করতে হয়।
অবশেষে টঙ্গী আসার পরে সিট পেলাম। সিটে বসে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললাম। প্রায় সাড়ে দশটার দিকে ট্রেন বিমান বন্দর স্টেশনে পৌছালো। সেখান থেকে কমলাপুর যেতে ৩০ মিনিটের মত লাগলো। কমলাপুর ট্রেন থেকে নেমে আমের ব্যাগ হাতে ক্যারি করে গেইট দিয়ে বের হতে আবার বৃষ্টির মত ঘাম জড়ালাম। ব্যাগ টানতে টানতে খিদা লেগে গেছে। ফুটপাতের দোকান থেকে হালকা নাস্তা করলাম। তারপর অভার ব্রিজ পার হয়ে মুগদা রোডে এসে দাড়ালাম। সেখান থেকে লাব্বাইক বাসে উঠে যানজট ঠেলতে ঠেলতে সাইনবোর্ড এসে নামলাম। এখানেও ব্যাগ ক্যারি করে অভার ব্রিজ পার হলাম। তারপর সাইনবোর্ড থেকে আবার মৌমিতা বাসে উঠলাম। সেখান থেকে বাসে চড়ে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের গেইটে নামলাম। তখন রাত ১২:৩০ মিনিট বাজে। রাস্তার পাশে দুই একটি চায়ের দোকান খোলা ছিল। তেমন কোন মানুষ নেই। সেখান থেকে আবার ব্যাগ ক্যারি করে বাসায় তিন তলায় উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে রাত একটার সময় বিনা অনুমতিতে একটি আম কেটে খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম,হে হে হে😋।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | একটি ব্যাগের কারনে আমার ট্রেন মিস।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ৩১/০৫ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যখন আমরা দূরে কোথাও যাই আর বাড়ির পাশে কোন আত্মীয় থাকলে সে কোন কিছু দিতে চাই তার আত্মীয়কে। আর যদি আমরা নিয়ে যাওয়ার কথা দিয়ে ফেলি একবার তাহলে আর না নিয়ে গেলে নিজের কাছে কেমন খারাপ লাগে। আপনি আপনার কাকার বোনের বাড়িতে আম নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সে আম নিতে নিতে ট্রেন মিস করে ফেলেছেন । তবে পরবর্তী স্টেশনে গিয়ে আবার ট্রেন ধরেছেন। এরপর আস্তে আস্তে বাড়িতে যেতে যেতে আপনার অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে আমের মালিকের না বলে একটি আম খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। যাই হোক আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট করে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া ।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একবার দুইবার বললে নেওয়া যায়। প্রতিবার বললে বিরক্ত লাগে। তারপরেও নিয়েছি।
চাকরি জীবনে কত ধরনের ঘটনা ঘটে। আপনার চাচার রেফারেন্সে আজ চাকরি হয়েছে সেজন্য অনেক কিছু নিয়ে আসতে হয় বাড়ি থেকে ছুটিতে বাড়ি গেলেই। যাইহোক, আজকে আম নিয়ে আসার জন্য ট্রেন মিস করেছেন আসলে আপনার মত আমিও বাসে যেতে তেমন একটা পছন্দ করি না। ট্রেন আমার খুবই প্রিয় খুবই খারাপ লাগলো ট্রেন মিস করেছেন।
জী ভাইয়া আমের ব্যাগ আনতে গিয়ে এক দেড় ঘন্টা লেইট হলো। ধন্যবাদ।
ট্রেন জার্নি এই কারণটার জন্যই আমার ভালো লাগেনা। নির্দিষ্ট টাইম টেবিল খুব একটা মেইন্টেন করতে পারেনা। এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে স্টেশনে এসেও ট্রেন মিস করেছেন আম আনতে গিয়ে। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আমি আপনার জায়গায় হলে তো রাতে দুই তিনটা আম খেয়ে নিতাম বিনা অনুমতিতে। আপনি তো শুধুমাত্র একটাই খেয়েছেন।
ট্রেন জার্নি সময় মত পৌছতে পারলে ভালো লাগে। আর একটু সময় এদিক সেদিক হলেই শেষ। ধন্যবাদ।
চাচার জন্য বেশ কষ্ট করেন। তবে কষ্ট হলেও মুরুব্বি মানুষের কথা শুনতে হয়। মুরুব্বিদের কাজ করে দিলে ভালই লাগে। যদিও সাময়িক কষ্ট ও বিরক্ত লাগে। তবে আমের ব্যাগটি আপনাকে রাস্তায় এনে দিলে ট্রেনটি ফেইল করতে হতো না! যাক নিজে কষ্ট শিকার করে চাচার জন্য বারবার একই কাজ করে চলছেন এবং চাচাও করিয়ে যাচ্ছেন! হয়ত চাচা একদিন আপনার কষ্ট উপলব্দি করবেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জী আপু অনেক চিন্তাভাবনা করে কষ্ট হলেও নিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।
কথাই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়। আপনি যে ভয়টা পাচ্ছিলেন সেই কাজটা হয়ে গেল। অবশেষে আপনাকে এক বস্তা আম ধরিয়ে দিল হা হা হা। মূল কথা হচ্ছে বড় ধরনের সমস্যা কারো সহযোগিতা নিয়ে যখন কোন চাকরি কিংবা কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজ শুরু করা হয় তখন সারা জীবন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়। যখন একদিন করতে ব্যর্থ হবেন তখন সবকিছু উলটপালট হয়ে যাবে। যাক যেয়ে ভালো করলেন আমগুলো নিয়ে এসে উদ্ধার করলেন।
জী আপু অবশেষে আমাকে আম আনতেই হয়েছে। ধন্যবাদ।
এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার ভাই। আমরা দেরি করলে ট্রেন সঠিক সময়ে চলে আসে অথচ আমরা সঠিক সময়ে গেলে ট্রেন কখনও সঠিক সময়ে আসে না। আপনার কলিগ চাচার আম নিয়ে আসতে গিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আপনাকে। এমন অনেকেই আছে বাড়িতে গেলেই কাউকে না কাউকে বলে এটা সেটা নিয়ে আসতে।
জী ভাইয়া একবার রাস্তাঘাটের কথা চিন্তা করে না। এগুলো ক্যারি করা কি যে জামেলা। ধন্যবাদ।
ভাইয়া এক ব্যাগ আমের জন্য যে কষ্ট করেছেন সেই দিক থেকে দেখতে একটা খেয়ে বেশ ভালোই করেছেন।আসলে যারা শহরে থাকেন তাদের গ্রামের বাড়ি যে কারোর মাধ্যমে হোক এটা ওটা পাঠানোর চেষ্টা করে।কষ্ট হলেও ভালো করেছেন আমগুলো নিয়ে গিয়ে।আপনার অনেক খুশি হবেন আমগুলো পেলে।শুভকামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।
জী আপু সেই চিন্তা করেই কষ্ট হলেও আম গুলো নিয়ে গেছিলাম। ধন্যবাদ।