লেকচার- Dysentery বা আমাশয় ।।

হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ডিএমএস কোর্সের নতুন একটি লেকচার আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। আজকের লেকচারে থাকবে Dysentery বা আমাশয় রোগ সম্পর্কে। এই রোগটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। আশা করি এই বিষয়ে ধারনা থাকলে আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সরাসরি মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

সংজ্ঞাঃ
আমাশয় বা Dysentery মানব অন্ত্রে রোগজীবাণুর সংক্রমণজনিত একটি রোগ। সাধারণত এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা অথবা শিগেলা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের পরিপাক তন্ত্রে সংক্রমণ করলে এই রোগ হয়ে থাকে। অন্ত্রের সংশ্লিষ্ট অংশে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, পেট ব্যথা করে এবং পিচ্ছিল আম যুক্ত ও রক্তসহ পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এটি আমাদের দেশে খুবই কমন একটি রোগ।

আমাশয় বা Dysentery দুই প্রকার।

• ০১/ অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি (Amoebic Dysentery)
• ০২ ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি (Bacillary Dysentery)

অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি (Amoebic Dysentery)

এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা প্রোটাজোয়ার মাধ্যমে যে আমাশয় হয় তাকে অ্যামিবিক আমাশয় বলা হয়। সাধারনত মল ত্যাগের মাধ্যমে এই জীবানু আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীর থেকে বের হয় এবং খাদ্র,পানি ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

এই রোগ হলে বুঝায় উপায় কি..?

সাধারনত কয়েকটি লক্ষন দেখা গেলে অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। যথা- ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়া,পায়খানার সাথে রক্ত ব্যতীত পিচ্ছিল মিউকাস বা আম যাওয়া,পেট মোচরানো বা কামরানোর মত ব্যথা হওয়া,শরীর দূর্বল বা মাথা ব্যথা হওয়া,হালকা পানি শুন্যতা দেখা দিবে। বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।

ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি (Bacillary Dysentery)

ব্যাকটেরিয়া শিগেলা,সালমোনেলা, অ্যানথ্রাক্স ইত্যাদির মাধ্যমে যে আমাশয় হয় তাকে ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি বলে। এটিও মল ত্যাগের মাধ্যমে এই জীবানু আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীর থেকে বের হয় এবং খাদ্র,পানি ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

এই রোগ হলে বুঝায় উপায় কি..?

উপরে বর্ণিত অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি থেকে ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রির লক্ষন গুলো কিছুটা আলাদা। যথা- ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হবে,পেট ব্যথার সাথে পায়খানা হবে, পায়খানার সাথে মিউকাস ও রক্ত যাবে। পেটে ব্যাথা থাকবে। জ্বর কমপক্ষে ১০২ ডিগ্রী থাকবে। মাথা ব্যথা থাকবে,টিনেসমাস তথা পায়খানা শেষ হওয়ার পরেও আরো মল ত্যাগের ব্যর্থ চেষ্টা থাকবে। ডিহাইড্রেশন বা পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে।

ঔষুধ বা পরামর্শ

যদি কারো শরীরে উক্ত লক্ষন গুলো দেখা যায়। তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্য হতে হবে। সেলাইন এবং বেলের শরবত খেলে উপকার পাবে।

বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের ব্লগের বিষয় বস্তুু। স্যার যেভাবে ক্লাসে পড়িয়েছে,আমি যে ভাবে ডাইরীতে লিখেছি এবং এগুলোর উপর বিস্তারিত পড়াশোনা করে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছি। আশা করি কোথাও আপনাদের বুঝতে সমস্যা হবে না। সবাইকে ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।