Domino's Pizza তে কিছু সময়।।
স্টিমিট প্লাটফর্মে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য এক অনন্য কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি Domino's Pizza তে পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আমাদের জীবনটা অদ্ভুত একটা চক্র। আজকে এখানে আছি তো আগামীকাল অন্য খানে। ধীরে ধীরে এভাবেই সময়গুলো অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে। আমরা কাজের মধ্যে ডুবে থাকার কারণে কখন কিভাবে সময়গুলো অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে সেটা ঠিক বুঝতে পারিনা। তাছাড়া দায়িত্ব এমন একটা জিনিস যেটা পালন করতে গিয়ে আশেপাশের অনেক বিষয় ভুলে যেতে বাধ্য করে। মাথার মধ্যে সবসময় দায়িত্বরত বিষয়টা কাজ করে।
আপনারা সবাই জানেন যে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরের শ্রমিকরা আট ঘন্টা কর্মের দাবিতে সর্বপ্রথম আন্দোলন করেছিল। সে আন্দোলনের মধ্যে পুলিশ বাহিনীর নির্যাতনের মাধ্যমে বেশ কিছু শ্রমিক নিহত হয়। পরের বছর থেকে পহেলা মে তে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করে এই দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও সরকারিভাবে পহেলা মে তে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঐদিন আমাদের অফিস বন্ধ থাকায় আমি ও আমার ওয়াইফ বিকালবেলা মার্কেটে গিয়েছিলাম বাবুর পিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য।
তাছাড়া প্রচন্ড গরম থাকার কারণে নারায়ণগঞ্জ শহরে রাসেল পার্ক নামের একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখানে মোটামুটি ভালই বাতাস ছিল। সেখানে আমরা মাগরিব পর্যন্ত মাঠের মধ্যে বসেছিলাম। জায়গাটা খুবই সুন্দর এ বিষয়ে পরে একদিন একটি ব্লগ শেয়ার করবো। তো আমরা পার্ক থেকে বাহির হওয়ার পরেই বাবু কান্নাকাটি শুরু করে দিলো। আমরা মনে মনে চিন্তা করলাম বাবু হয়তো গরমে এমনটা করছে। তাই আমরা একটি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার চিন্তা করলাম। যে রেস্টুরেন্টে এসি আছে এমন একটি রেস্টুরেন্টে গেলে বাবুর কান্না হয়তো থামানো যাবে। সেই চিন্তা করে আমরা প্রথমে হোয়াইট হাউজ নামক একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানে মানুষের এত পরিমাণ ভিড় ছিল যে আমরা কোথাও বসার জায়গা পাইনি। যার ফলে পাশে আর একটা রেস্টুরেন্ট ছিল, Domino's Pizza। আমরা সেটাতে গেলাম। সেখানে তেমন মানুষজন ছিল না। ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই বাবুর কান্না থেমে গেলো। তখন আমরা ভাবলাম যেহেতু ভিতরে প্রবেশ করেছি কিছু একটা খাওয়া যাক।
সেখানে কর্নারে খালি একটি টেবিলে আমরা বসলাম। বসার সাথে সাথে ওয়াটার আমাদের সামনে একটি ওয়ান টাইম মেনু কার্ড নিয়ে আসলো। তারপর আমি মেনু কার্ড টি নিয়ে ছোট সাইজের একটি পিজ্জা আর কোল্ড ড্রিংক্স অর্ডার করলাম। কারণ বাচ্চা বাচ্চা থাকার কারণে দীর্ঘ সময় নিয়ে বেশি কিছু খাওয়া যাবেনা। ওয়াটার বললো আগে বিল পে করতে হবে। আমি বিল দেওয়ার পরে তারা বললো ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আমরা বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললাম। বাবু যেন কান্না না করে সেই চেষ্টা করতে লাগলাম। আর রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম।
রেস্টুরেন্টি মোটামুটি অনেক সুন্দর। পরিবেশটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে এখানে গ্রাহক খুবই কম ছিল। হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্টে মানুষের জন্য বসার মত জায়গা খুঁজে পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে জায়গা নিতে হচ্ছিলো। আর এই জায়গার মধ্যে আমরা এ রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে দেখি মাত্র একটি টেবিলে একজন লোক বসা আছে। আর বাকি সব টেবিল খালি পড়েছিল। এর কারণ হলো এখানে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি। যার ফলে মানুষ এখানে আসতে চাই না।
দশ মিনিট পরেই আমাদের অর্ডার করা খাবার চলে আসলো। আমরা এক পিস করে পিজ্জা খাওয়ার পরেই বাবু আবার কান্না শুরু করে দিলো। খুব তাড়াতাড়ি পিজ্জা আর কোলড্রিংস খেয়ে বাবুকে নিয়ে বের হয়ে চলে আসলাম। কারণ ততক্ষণে রেস্টুরেন্টে বেশ কিছু কাস্টমার প্রবেশ করে ফেলেছে। তারা হয়তো বাবুর কান্নার কারণে ডিস্টার্ব ফিল করতে পারে। এজন্য আমরা তেমন কোন ফটোগ্রাফিও করতে পারি নাই। বিল আগে দিয়ে ফেলেছিলাম, তাই দ্রুত আমরা রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করলাম। বাহিরে আসার পরে বাবুর কান্না আবার থেমে গেলো। রেস্টুরেন্টের নিচ থেকেই রিকশা নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। তবে বাবু রাস্তায় তেমন কোন কান্না করে নাই।
ছোট বাচ্চাদেরকে কোথাও নিয়ে গেলে একটু প্রবলেমই হয়। কখন কান্নাকাটি শুরু করে দেয় বলা যায় না। তারপরেও এই গরমের মধ্যে সারাদিন রুমে বন্দি থাকে। বিকালবেলা একটু বাহিরে বের না হলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে। যতই ঝামেলা থাকুক এই গরমের মধ্যে রুমের মধ্যে মানুষ আটকে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে যাবে। আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করি বিকালবেলা, বাসার ছাদে,স্টেডিয়ামে অথবা খোলা মাঠে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার জন্য। তাহলে মনটা ফ্রেশ থাকে।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। সামনের দিকে আর বাড়াচ্ছি না। এখান থেকেই বিদায় নিতেছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই গরমে বেশি বেশি পানি খাবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | Domino's Pizza তে কিছু সময়।। |
স্থান | বঙ্গবন্ধু রোড,নারায়নগঞ্জ,ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৫ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/ArianKh29670721/status/1786445429204496443