বাসায় গ্যাস না থাকায় জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো।।
মাতৃভাষায় অনুভূতি প্রকাশ করার একমাত্র প্লাটফর্ম।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। এই সমস্যাটি খুবই মারাত্বক। বর্তামানে ঢাকা সহ ঢাকার আশে পাশের সব ফেমিলির মানুষ সেই সমস্যায় ভুগতেছে। চলুন তাহলে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
আমি যখন ব্যচেলর লাইফ ছেড়ে প্রথম ফেমিলি বাসা খুঁজ করি তখন থেকেই আমার মাথায় তিনটি বিষয় ছিল। গ্যাস,পানি,বিদ্যুৎ। এই তিনটি বিষয় সঠিক ভাবে পাওয়া না গেলে মানুষের বেচেঁ থাকা কঠিন হয়ে যায়। এই তিনটি বিষয় এমন না যে সর্ট পড়লে দোকান থেকে একটু কিনে নিয়ে আসলাম। এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে অনেক খুঁজাখুজি করে একটি বাসা পেলাম। সিলিন্ডার গ্যাসের বাসা পেয়েছিলাম অনেক গুলো তবে সিলিন্ডার অনেক রিক্স। তাই সে গুলো থেকে যত দুরে থাকা যায় ততই ভালো। যে বাসায় বর্তমানে অবস্থান করতেছি সে বাসাটা খুবই সুন্দর,সম্পূর্ণ ফ্লাট টাইলস করা,বারান্দা আছে,রুম গুলো বড় বড়। বাসাও নিরিবিল গ্যাস,পানি,বিদ্যুৎ কোন কিছুর সমস্যা ছিল না। মাঝে মাঝে অন্যান্য জাগায় গ্যাসের সমস্যা দিলেও আমাদের বাসায় কোন সমস্যা ছিল না। বেশি সমস্যা হলে সারাদিনে চার পাঁচ ঘন্টা গ্যাসের সমস্যা থাকতো। আবার স্বাভাবিক হয়ে যেত।
গত পরশুদিন থেকে মারাত্বক ভাবে গ্যাসে সমস্যা শুরু হয়। ঐদিন সকালে গ্যাস ছিল, সকাল ১০টা থেকে ১টা এই চার ঘন্টা গ্যাস ছিল না। আবার বিকাল পাঁচটা থেকে সাড়ে দশটা এই সাড়ে পাঁচ ঘন্টা গ্যাস ছিল না। রাতে যেহেতো গ্যাস এসেছে হালকা রান্না বান্না করে খেয়ে ঘুমিয়ে গেছি। গতকাল সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি গ্যাস খুবই কম। রুটির পরিবর্তে তারাতারি করে চাউল ধুরে চুলায় বসালাম। কিছুক্ষন পরে হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর আবার আগুন জ্বালালাম পাঁচ সেকেন্ড পরে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। মানে গ্যাস একবার আসে আরেকবার চলে যায়। এভাবে তো ভাত রান্না হয় না। কোনরকম কষ্ট করে শুধু চাউলের পানিটা গরম হয়েছে আর অমনি একেবারে গ্যাস চলে গেছে। তখন বাজে সাড়ে সাতটা। চাউল গুলো জাষ্ট সাদা হয়েছিল। অবশেষে চাউলের পানি ফেলে দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলাম। মনে মনে চিন্তা করলাম এতদিনে আমাদের উপরে মানুষের বদদোয়া লেগেছে।
গত কাল আর বাসায় নাস্তা করা হলো না। গোসল করে ফ্রেশ হয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম। বাসায় ছোট ভাই ছিল তাকে বললাম যদি গ্যাস আসে তাহলে যেন চাউল গুলো চুলায় বসিয়ে দেয়। আর তাকে নাস্তা খাওয়ার টাকা দিয়ে বের হয়ে গেলাম। অফিসের সামনে এসে হোটেল থেকে সকালের নাস্তা করলাম। অফিসে গিয়ে এগারেটা বাজে এবং বারোটা বাজে দুইবার কল দিলাম গ্যাস এসেছে কি না সেটা জানার জন্য। তখনও গ্যাস আসে নাই। ধীরে ধীরে লাঞ্চের সময় হয়ে গেল। তখনও গ্যাস আসে নাই। বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে লাঞ্চ করলাম আর ছোট ভাইকেও বলে দিলাম হোটেল থেকে খাবার খেয়ে নিতে। সারাদিন চলে গেল গ্যাস আসে নাই। রাতের বেলা গিয়েও দেখি গ্যাস নাই। কেমন লাগে তখন। শরীরটা খুবই ক্লান্ত লাগছিলো বিছানায় শুয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেছিলাম। রাত এগারোটার সময় ঘুম ভাঙ্গলো,দেখলাম তখনও গ্যাস আসে নাই। পেটেও খিদা লাগছে। বাহিরে যেতে আর মন চাইলো না। তাই বাসায় চিড়ে ছিল, সে গুলো কলা আর চিনি দিয়ে খেলাম।
রাত একটা পর্যন্ত আমি গ্যাসের অপেক্ষায় সজাগ ছিলাম। তখনও গ্যাস আসে নাই। তারপর ভাবলাম সকালে হয়তো আসতে পারে, তাই পাঁচটার সময় এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। পাঁচটার সময় উঠেও দেখি গ্যাস আসে নাই। মেজাজ খুবই খারাপ। অবষেশে ছাদের উপরে ইট দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ফ্রিজে রাখা তরকারি গরম করে অফিসে নিয়ে আসলাম। হোটেল থেকে ভাত কিনে খেতে হবে। কারন গত কাল হোটেলের খাবার খেয়েই পেট ব্যথা করেছিল। বাহিরের কোন তৈলাক্ত খাবার খেলেই আমার পেট কেমন যেন করে। তাই কষ্ট করে তরকারি গরম করে নিয়ে আসলাম। এখন রাতেও যদি গ্যাস না আসে জানি না কি করবো। আজকে সকালেও হোটেল থেকে নাস্তা করতে হয়েছে।
গতকাল সন্ধায় বাসায় যাওয়ার সময় অনেক ফেমিলির মানুষকে দেখলাম রাস্তায় ইট দিয়ে রান্না করতেছে। কি করবে চিড়ে মুড়ি,কেক,রুটি কয়বার খাওয়া যায়। আর ফেমিলির সদস্য যদি বেশি হয় তাহলে এক দিনেই অনেক টাকা চলে যায়,আর মাসও শেষ,সবার হাত খালি। তাই মানুষ বাধ্য হয়ে ইটের উপর পাতিল বসিয়ে লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে। আমিও তাদের থেকে বুদ্ধিটা নিয়ে ছিলাম,হা হা হা। বাসায় গ্যাস না থাকায় জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। সবাইকে ধন্যবাদ
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ভাইয়া আমার বাসায় প্রায় অনেকদিন ধরে সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত গ্যাস খুব সামান্য থাকে। তা দিয়ে ডিম ও ভাজা যায় না।তবে বাকি সময়ে আর যায় না।কিন্তু আপনার এলাকার অবস্থা তো বেশ শোচনীয়। অনেক কষ্ট শহরে গ্যাস,কারেন্ট আর পানি না থাকলে।যাই হোক এখন চুলার গ্যাসের জন্য ইট বিছানো চুলায় রান্না করলে একটা পিকনিক পিকনিক আমেজ পাওয়া যাবে।আপনি খুব কষ্টে আছেন।কষ্ট ভুলে গিয়ে ছেলেবেলার মতো সবাই মিলে পিকনিক করেন সময়টা বেশ ভালোই কাটবে।
জী আপু ঠিক বলেছেন। একটা পিকনিক পিকনিক আমেজ কাজ করে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
স্যার অঞ্চলে থাকতে হলে সব থেকে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ। আপনি ঠিক কথা বলেছেন। আমাদের ম্যাচে একদিন পানির লাইন ছিল না,সেদিন পানির জন্য কত খোঁজাখুঁজি হাঁটাহাঁটি করলাম। কোথাও পানি পেলাম না ১০ মাইল দূরে যেয়ে গোসল করে আসলাম। সিলিন্ডারে অনেক রিস্ক।শহরাঞ্চলে তো আগুন ধরতেই আছে প্রতিনিয়ত। গ্যাস না থাকলে তো অনেক সমস্যা।শহর অঞ্চলে কেউ কাউকে জায়গা দেয় না, এটাই বেশ খারাপ লাগে। ভাত রান্না তো অনেক সমস্যা হচ্ছে আপনার দেখতেছি। মালিকপক্ষ গুরুত্ব দেয় না এসব কাজে। তখন খুবই খারাপ লাগে। হোটেলের খাবার খেলেই পেটব্যথা করে, হোটেলে খাবার কেমন একটা লাগে আমার কাছেও।কিছু করার নেই ভাইয়া, বাস্তবতা মেনে নিতে হবে অনেক কষ্ট করছেন দেখছি.
জী ভাইয়া গ্যাস,পানি,বিদ্যুৎ না থাকলে শহরে বসবাস করা অসম্ভব। ধন্যবাদ।
সমস্যা কি গ্যাস নাই? লারকি দিয়ে রান্না করলে তো পিকনিক হয়ে যাবে। এলাকার সবাই মিলে না হয় প্রতিদিন একবার করে পিকনিক করেন। কি আর বলবো? আমি তো অনেক রিক্স নিয়েই রান্না করি। আমার তো সেলেন্ডার গ্যাস। তবে আপনার কষ্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগছে। কি করবেন বলেন আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে এর চেয়ে বেশী কিছু আশা করাটাই ভুল।
জী আপু সবাই মিলে পিকনিক করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না। ধন্যবাদ।
আসলে লাইনের গ্যাস গুলো যদি এমন বিরক্ত করে তাহলে খুবই খারাপ অবস্থা। ঢাকা শহরে হাজার হাজার মানুষ এই গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। যদি গ্যাসে ডিস্টার্ব করে তাহলে এত মানুষের কি বাইরের খাবার কিনে খাওয়া সম্ভব। তাছাড়া বাইরের খাবার গুলো তো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। মানুষ তো অপারগ অবস্থায় খেয়ে থাকেন। আশা করি আজকে আপনি গ্যাস পেয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশা কামনা করি।
জী আপু লাইনের গ্যাস প্রবলেম হলে শহরের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ।
আপনি আপনার সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আসলে বাসায় গ্যাস না থাকলে অনেক সমস্যা।আপনি তাহলে অনেক কষ্ট করছেন।সারাদিন তো রুটি পরাটা খেয়ে থাকা যায় না। তবে এটা ঠিক যে বাইরের খাবার খেলে একটু সমস্যা হয়।যদি আপনি সব সময় বাইরে খেতেন তাহলে সমস্যা হতো না।যেহেতু আপনি হটাৎ করে খাওয়া দাওয়া করছেন এই জন্য পেট ব্যাথা করছে।আপনি যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এটা কম বেশি গ্রাম অঞ্চলে বেশি প্রচালিত।গ্রামের মানুষ এই ভাবে লাকড়ি দিয়ে তরকারি রান্না করে।যাইহোক আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া হোটেলের খাবার খেলে আমার পেঠে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। ধন্যবাদ।
ইদানিং ঢাকায় এই গ্যাসের সমস্যা টা হচ্ছে অনেক জায়গায় থেকে শুনতে পেলাম । অনেকটা সময় গ্যাস না থাকলে রান্নাবান্না নিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়ে যেত। গ্যাস না থাকায় রান্না করতে বসিয়ে দেওয়া চালের জল ফেলে চাল ফ্রিজে রেখে দিতে হলো, এটা বেশ দুঃখজনক বিষয়। আপনাদের ওদিকে পাইপ সিস্টেমের গ্যাসের জন্য, এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। গ্যাস না থাকায় শেষ পর্যন্ত ছাদের উপর ইট দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তরকারি গরম করতে হচ্ছে! খুবই বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আপনাদের যা দেখছি।
জী ভাইয়া কি করবো। গ্যাস না থাকলে চাউল গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। এ ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ধন্যবাদ।
নতুন বাসা খোঁজার সময়েরি আপনি যথেষ্ট আগাম সতর্কতা মেনেই বাসা খুঁজেছেন ভাই। কিন্তু তারপরেও গ্যাসের সমস্যার সম্মুখীন হতেই হলো... আসলেই বাহিরের খাবার একবেলার জন্যই ঠিক আছে। কিন্তু টানা দেড়-দুই দিন গ্যাস না থাকা মানে ভালোই ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এলাকার সবাইকেই!
জী আপু সতর্ক থাকার পরেও বিপদে পড়ে যায়। কে জানে কখন গ্যাস চলে যায়। ধন্যবাদ।