গ্র্যান্ড মালেক রেস্টুরেন্টে কিছু সময়।।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আমার বাংলা ব্লগ
বাংলা ভাষা ছড়িয়ে দাও সবার মাঝে
-

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে গ্র্যান্ড মালেক রেস্টুরেন্টে কিছু সময় কাটানোর অনুভূতি শেয়ার করবো।

ঈদের পরে টানা দুই দিন বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোন বৃষ্টির দেখা নেই। যার ফলে প্রতিদিন প্রচন্ড রোদে উঠতেছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে গরম বাড়ছে। রোদের তীব্রতা দেখলে ঘর থেকে বের হতে ভয় লাগে। দিন দিন গরমের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরেও অনেক সাহস করে প্রতিদিন বিকেলবেলা এদিক সেদিক যাওয়া হচ্ছে। সারাদিন ঘরে বসে থাকতেও ভালো লাগেনা। গতকাল প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে গিয়েছিলাম। রোদের কারণে আসরের নামাজের অনেক পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।

বাসার সামনে থেকে রিক্সা নিয়ে সোজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হকার্স মার্কেটে চলে গেলাম। হকার্স মার্কেট আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে খুবই পরিচিত একটি মার্কেট। সেখানে গিয়ে কিছু কাপড়-চোপড় কেনাকাটা করলাম। অর্ধেক কেনাকাটা করার পরে মার্কেটের ভিতরের প্রচন্ড গরমের কারণে বাবু কান্নাকাটি করা শুরু করে দিলো। যার ফলে আমি দ্রুত মার্কেট থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর বাবুকে ঠান্ডা করার জন্য আমরা দ্রুত একটি রেস্টুরেন্ট খুঁজতে লাগলাম। তারপর একটি রিক্সা নিয়ে মসজিদ রোডের গ্র্যান্ড মালেক রেস্টুরেন্টে গেলাম। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্টটি খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো। আমরা দুই তলাতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের একটি কর্ণারে গিয়ে বসলাম।

আপনারা উপরের ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রেস্টুরেন্টটি অনেক বড়। বিভিন্ন ধরনের লাইটিং করে রেস্টুরেন্টি সাজানো হয়েছে। এসি থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকটি টেবিলের মধ্যে আলাদাভাবে উপরে ফ্যান লাগানো আছে। আমরা ভিতরে গিয়ে বসার সাথে সাথে রেস্টুরেন্টের ওয়েটার মেনু কার্ড নিয়ে আসলো। আমার ওয়াইফ বললো এ রেস্টুরেন্টের সবকিছু অতিরিক্ত দাম রাখে। সেজন্য আগে নরমাল কিছু অর্ডার করে টেস্ট করে পরে আবার অন্য কিছু অর্ডার করতে। এজন্য আমি প্রথমে আইসক্রিম অর্ডার করলাম।

অর্ডার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুইটি কাপে করে আইসক্রিম নিয়ে আসলো। দামের তুলনায় আইসক্রিমের পরিমাণ দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। বাহিরের দোকানের একটি কোন আইসক্রিম খেলেও ভালো ছিল। লাচ্ছি অথবা গোল্ড ড্রিংক্স অর্ডার করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দামের তুলনায় তাদের রেস্টুরেন্টের খাবার খুবই কম। সেজন্য আর কিছু অর্ডার করি নাই। এখানে কিছুক্ষণ বসে আইসক্রিম খেয়ে বের হয়ে গেলাম। তাদের সার্ভিস ভালো হলেও খাবারের দামের তুলনায় কোয়ান্টিটি খুবই কম।

রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আবার খুবই সুন্দর ছিল। আসার সময় দেখলাম রেস্টুরেন্টের এক কর্নারে বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলার অনেক জিনিসপত্র দেখলাম। যারা সাথে করে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে যায়, এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে। এ বিষয়টা আবার আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমরা সেখান থেকে বিল মিটিয়ে আবার হকার্স মার্কেটে গেলাম। কিন্তু হকার্স মার্কেটের ভিতরে প্রচন্ড গরম থাকার কারণে আমরা পাশের আরেকটি মার্কেট থেকে আনুষঙ্গিক কিছু কেনাকাটা করলাম।

সবকিছু কেনাকাটা করতে করতে রাত প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেল। যার ফলে আমরা রিক্সা নিয়ে সোজা কাউতুলি মোড়ে চলে আসলাম। সেখানে গ্র্যান্ড চিল নামক আরেকটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। এখানে আমরা কি কি খেলাম এটা অন্য একটি পড়বে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

তো বন্ধুরা আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম, আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।।

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলrealme-53
শিরোনামগ্র্যান্ড মালেক রেস্টুরেন্টে কিছু সময়।।
স্থানমসজিদ রোড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ,চট্টগ্রাম , বাংলাদেশ।
তারিখ২৩/০৬ /২০২৪
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@joniprins

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqrigHRpcui9esXgmzET2bzsQeMg4RmCSqymiE62YF9FX9CSeYHcZbStqFqiFen18HjyXNbtXG.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7J8W9NZEbNsUTLEMkrtgqwUMHmRbAh6UqX4xVw4ivcS7bbpBquT2w2543nYruerj3XBGzuKvCPijibJe6h1hHzcjF.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 4 months ago 

বেশ গরম পড়েছে। আর এমন গরমে বাচ্চাদের দরকার একটু স্বস্থি। যাই হোক গ্রান্ড মালেকের কান্ড দেখে তো আমিও অবাক। এত কম আইসক্রিম কি করে দেয়। তবে আপনার সাথে আমিও একমত যে এখানকার পরিবেশ বেশ ভালো। বাচ্চাদের জন্য আবার খেলাধুলার জায়গাও আছে। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পোস্টের।

 4 months ago 

জী আপু গ্র্যান্ড মালেকের দামের তুলনায় খাবারের কোয়ান্টিটি খুবই কম ছিল। যার ফলে আর তেমন কিছু অর্ডার করি নাই। তবে পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল।

 4 months ago 

রেস্টুরেন্ট টি মনে হচ্ছে বেশ ভালো মানের।বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে সাথে আইস্ক্রিম আর পরিমাণ টাও অনেক ছিল দামের তুলনায়।ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

জি আপু রেস্টুরেন্টি মোটামুটি অনেক ভালো। অপর দিক দিয়ে খাবারের মূল্য ও অনেক বেশি। ধন্যবাদ।

 4 months ago 

ঠিক বলেছেন যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে বেঁচে থাকা বেশ কষ্ট হয়ে পরছে।বাহিরে যাওয়ার কথা শুনলেই ভয় লাগে।বাচ্চাদের তো আরো গরম।যাই হোক কেনাকাটা করে মাঝে মাঝে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে যেতে ভালোই লাগে🤣🤣।

 4 months ago 

জী আপু ঠিক বলেছেন যা কিছু খাওয়া হয় বা না হয় ঠান্ডা তো হওয়া যায়, হা হা হা।

 4 months ago 

বৃষ্টির পর আসলেই এখন অনেক গরম পড়ছে সব জায়গাতেই। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটা রেস্টুরেন্টে আইসক্রিম খেতে গিয়েছেন। রেস্টুরেন্টের লাইটিং টা বেশ দারুন লাগছে দেখতে। এসব রেস্টুরেন্ট এরকমই হয় ওয়ান স্কোপ আইসক্রিমের দাম অনেক বেশি রাখে। আর যদি কয়েকটা ফ্লেভার মিক্স হয় তাহলে তো আরো বেশি দাম থাকে। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন।

 4 months ago 

জী আপু কয়েকটা ফ্লেভার ছিল। যার ফলে দামের তুলনায় কোয়ান্টিটি কম ছিল। ধন্যবাদ

 4 months ago 

কদিন হলো বেশ গরম পড়েছে। আর এই গরমে বাহিরে যাওয়ার কথা মনে হলেই ভয় লাগে। আপনি ছোট বাবুকে নিয়ে মার্কেটে গিয়ে গরমে বেশ কষ্ট করেছেন। স্বস্তির জন্য একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে আইসক্রিম খেতে হল চড়া দামে। গরমের ভিতরে আমরা বড়রা কেনাকাটা করতে পারি। কষ্ট শুধু ছোট মানুষের জন্য। রেস্টুরেন্টে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা করার আয়োজন ছিল জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া গরমের ভিতর হলেও পরিবার নিয়ে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।।

 4 months ago 

জী আপু সেজন্যই ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।

 4 months ago 

ভাই আপনি খুব চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আপনি ঠিকই বলেছেন যে হারে গরম পড়ছে তাতে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এমন গরমে বাচ্চাদের দরকার একটু স্বস্তি। রেস্টুরেন্টা অনেক সুন্দর আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে আইসক্রিম খেতে আমি সেই লেভেলের পছন্দ করি। আইসক্রিম দেখলে মাথায় কাজ করে না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

জী আপু আইসক্রিম খেতে ভালোই লাগে, কি দিয়ে যে আইসক্রিম তৈরি করা হয়, এত স্বাদ লাগে কেন বুঝি না। ধন্যবাদ।

 4 months ago 

জি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন আইসক্রিম যে কি দিয়ে তৈরি করে সেটা যদি জানতে পারতাম তাহলে এখনি বাসায় তৈরি করে ফেলতাম। সুস্বাগতম জানাচ্ছি।

 4 months ago 

এই রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা যে অনেক সুন্দর ছিল, সেটা আপনার এখানে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিগুলো দেখেই বুঝতে পারলাম ভাই। রেস্টুরেন্টের ভিতরে বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলা করার ব্যবস্থা রয়েছে, এরকম রেস্টুরেন্ট আমাদের এইখানে তো একদম দেখা যায় না । তাছাড়া ভাই, এখনকার রেস্টুরেন্ট গুলোতে সার্ভিস ভালো দিলেও খাবারের কোয়ান্টিটি কম দেয় । এই ব্যাপারটা আমি সব জায়গাতেই দেখেছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67779.88
ETH 2396.01
USDT 1.00
SBD 2.32