অবকাশ পার্কে অবসর যাপন।

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি । আমি প্রতিদিনই আপনাদের সাথে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করার চেষ্টা করি। সেই সুবাদে আজকেও সম্পূর্ণ নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

গতকাল আমি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একমাত্র অবসর যাপন পার্ক অবকাশে গিয়েছিলাম। কাউতলী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরে প্রবেশ করতে হাতের বাম পাশে এ পার্কটি অবস্থিত। অন্যভাবে বলতে গেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে দুই মিনিট হাটলেই হাতের ডান পাশে পার্ক টির অবস্থান। অবকাশ পার্কের সাথে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইসলামিক পাবলিক লাইব্রেরি। বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে পার্কটি অবস্থিত। এ পার্কটিতে প্রবেশ করতে কোন ফি দিতে হয় না।

সব সময় সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত। যখন তখন যে কাউকে নিয়ে পার্কে প্রবেশ করা যায়। তবে বর্তমানের নীতিমালা অনুযায়ী রাত আটটার পরে ছেলে মেয়ে একসাথে পার্কে প্রবেশ করতে পারে না। শুধু ছেলেরা রাত আটটার পরে পার্কে বসতে পারে। পার্কটিতে বিনোদনের ব্যবস্থা সহ বসে গল্প করার অনেক জায়গা রয়েছে।

আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করতেছি। তাই বিকাল বেলা মুক্ত হাওয়া শরীরে লাগানোর জন্য চলে গেলাম অবকাশ পার্কে। পার্কের মধ্যে দুটি কফি শপ রয়েছে। এছাড়াও তাদের নিয়ন্ত্রণে দুইটি ফুচকা ও চটপটির দোকান রয়েছে। মানুষ চটপটি আর ফুচকা কত যে খেতে পারে তার কিছুটা চিত্র আপনারা উপরের দুটি ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন। পেট যতই ভরা থাকুক না কেন ফুচকা আর চটপটি দেখলে মনকে আর মানানো যায় না

আমরা ফুচকা আর চটপটি খাওয়ার পর বিল মিটিয়ে গেলাম পুকুরের পাড়ে। প্রতি প্লেট ফুচকা আর চটপটির দাম ৫০ টাকা প্লেট রেখেছিল। যে পরিমাণ ফুচকা আর চটপটি দিয়েছিল সে অনুযায়ী দাম কিন্তু বেশি রাখে নাই। তাছাড়া একদিকে ঈদের বাজার আবার অন্যদিকে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। সুতরাং ৫০ টাকা প্লেট রাখাই আমার কাছে দামটা ঠিকই মনে হলো। পার্কের পশ্চিম পাশে বিরাট বড় একটি পুকুর রয়েছে। আমরা সেই পুকুর পাড়ে বসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম আর বাদাম খেলাম।

পুকুরে অন্যান্য সময় থেকে পানির পরিমাণ অনেক কম।যদিও এখন বর্ষাকাল তারপরও নদ নদীর পানি এখানে আসার কোন সুযোগ নেই। পার্কটির চারপাশে বিশাল বিশাল উচু উঁচু দালানকোটা রয়েছে। এই পুকুরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল বৃষ্টি। বৃষ্টি ছাড়া এই পুকুরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আর কোন রাস্তা নেই। আমরা যখন পুকুর পাড়ে বসে ছিলাম তখন মোটামুটি ভালোই ঠান্ডা বাতাস আসতেছিল। আমরা যখন বসেছিলাম তার কিছুক্ষণ পরে মসজিদের মাইকে মাগরিবের আজানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। তখন আমরা পার্ক থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় নতুন একটি জিনিস দেখলাম। এক বৃদ্ধ লোক একটি ঘোড়া নিয়ে পার্কে এসেছে। বাচ্চাদেরকে ২০ টাকার বিনিময়ে ঘোড়াতে তুলে পার্কের এপাশ থেকে ওপাশে নিয়ে যাচ্ছে আবার নিয়ে আসছে। বাচ্চারা খুব আনন্দের সাথে ওই বৃদ্ধ লোকের ঘোড়ায় উঠছে। দৃশ্যটি দেখে আমার কাছে একটু অবাক লাগলো। মানুষ কত উপায়ে টাকা ইনকাম করে। আবার কত মানুষ কত উপায়ে টাকা ব্যয় করে। এই দুনিয়াটা সত্যিই একটা রঙ্গমঞ্চ।

বন্ধুরা আজকে এখান থেকেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে নতুন কোনদিনে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।