স্বরচিত কবিতা-“অভিমানী বৃষ্টি’’।। By joniprins

বর্তমানে প্রত্যেকটা সৃষ্টিজীব,প্রতেকটা প্রাণী তীর্থের কাকের মত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে। কবে বৃষ্টি হবে,সেই আশায় আকাশ পানে তাকিয়ে থাকে। গতকালকে আমাদের দিকে তাপমাত্রা ছিল মাত্র ৩৪ ডিগ্রাী। কিন্তুু এমন একটা ভাপসা গরম ছিল যে মনে হয়েছে পৃথিবী ছেড়ে পালিয়ে যায়। তিনবার গোসল করেছি। শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়েছে। সন্ধার পরে হালকা বাতাসের ছোঁয়া পেয়েছিলাম। আকাশেও মেঘ জমেছিল। ভেবেছিলাম এই বুঝি মুষলধারে বৃষ্টি নামবে। মনের সুখে বাসার ছাদে বৃষ্টিতে ভিজবো। কিন্তুু কিছুক্ষন পরেই দেখলাম আকাশের মেঘ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। তখন বুঝতে পেরেছি মেঘ আমাদের সাথে লোকচুরি খেলছে। আসবে আসবে বলে আমাদের অপেক্ষায় রাখছে। কিন্তুু বৃষ্টি আসতেছে না। বৃষ্টি অপেক্ষার থাকতে থাকতে অবশেষে হতাশ হয়ে রাতে ঘুমাতে গেলাম।

এইযে বৃষ্টি হচ্ছে না,অনাবৃষ্টিতে নদী-নালা, খাল-বিল সব শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাড়ে গেলে মনে হয় সাহরা মূরুভূমিতে গেছি। নদীর নৌকা গুলো পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে। এগুলো কিন্তুু আমাদেরই কর্ম। আমরাই বৃষ্টি হতে বাঁধা প্রদান করছি। আমরা গাছ পালা কেটে মরুভূমি বানাচ্ছি, নদী দূষণ করছি,পাহাড়, পরিবেশ ধ্বংস করার প্রতিযোগিতায় নেমেছি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাগায় বেজাগায় নদীর গতিপথ আটকিয়ে দিয়েছে। পানি দূষণ করছি,বাতাস দূষণ করছি। এগুলোর কারনেই কিন্তুু বৃষ্টি হয় না। কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী করছি যার ফলে পৃথিবীর গরম হাওয়া বাহিরে যেতে পারছে না। শহরের আকাশের দিকে তাকালে আর গ্রামের আকাশের দিকে তাকালে পার্থক্যটা সহজ ভাবে বুঝা যায়। যেসব এলাকায় গাছ পালা বেশি,দূষণ কম সে সব এলাকায় এত গরম নেই। আর পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টিপাত হয়। বর্তমানে গরমে এমন অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে যে,মানুষ পারছে না শহর থেকে পালিয়ে যেতে। গরমে মানুষ ছটফট করছে। সবাই একটু বৃষ্টির আশায়,একটু শীতল বাতাসের আশায় চাতক পাখির মত আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। কবে মনুষ্য জাতির পাপের কারনে অন্যান্য প্রাণীরা কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। কবে বৃষ্টি হবে, কবে মাঠি ঠান্ডা হবে। কবে বসুন্ধরা আবার শীতল হবে। এই সব বিষয়কে সামনে রেখেই কবিতাটি রচনা করা হয়েছে।