স্বরচিত কবিতা-“নিন্দুক’’।। By joniprins
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়,আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে সকাল থেকে চিন্তা করতেছি একটি কবিতা শেয়ার করবো। যে চিন্তা সেই কাজ,দুপুরের খাবার খেয়ে কবিতাটি লিখে ফেললাম। নিচে কবিতার সারমর্মটা বর্ণনা করছি।
পাড়া মহল্লা, গ্রাম-গঞ্জে, শহরে বন্দরে, অফিস আদালতে সব জাগায় এক শ্রেণীর মানুষ দেখা যায়। এই শ্রেণীর মানুষ গুলোর নাম হলো নিন্দুক,সমালোচক, অপবাদকারী,কুত্সাকারী। তারা কখনো অন্যের ভাল দেখতে পারে না। অন্যের উন্নতি,উন্নয়ন,প্রমোশন দেখলে নিন্দুকদের শরীর চুলকায়। তারা এক জনের কথা অন্য জনের নিকট না বললে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। তারা সবসময় অন্যের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। তারা কথা ট্রান্সফারের অপেক্ষায় থাকে। কখন একজন মুখ থেকে কথা বের করবে আর সাথে সাথে সেই কথা অন্য মানুষের নিকট পৌছাবে।
আরেকটি বিষয় হলো তারা অন্যের দুষটাও বেশি দেখে। নিজেকে সাধু মনে করে আর বাকি যারা আছে তাদের পাপী মনে করে। দুই জনের মধ্যে জগড়া লাগিয়ে তারা খুব আনন্দ অনুভূব করে। শয়তান তো প্রকাশ্যে দেখা যায় না। তাদের ছায়ায় শয়তান বাস করে। গত কাল আমার অফিসে আমার বিষয় নিয়ে একজন এমন সমালোচনা করেছে। যার কাছে সমালোচনা করেছে সে আবার আমার কাছে বলেছে। যায়হোক সমালোচনা করে বা নিন্দা করে কেউ কারো ক্ষতি করতে পারে না আবার কারো উন্নয়নও আটকাতে পারে না। এই বিষয়টা নিয়ে আজকে একটি কবিতা লিখলাম। চলুন আবৃতি করি।
নিন্দুক
আমি চলি আগে আগে
নিন্দুক চলে পিছে,
আমি কথা না বলিলেও
নিন্দুক কথা বলে।
নিন্দুক অনেক ভাল মানুষ
মনে মনে ভাবে,
নিজে নিজে সাধু সাজে
বাকি সবাই বাজে।
এই বাড়ির কথা নিয়ে
ঐ বাড়িতে লাগায়,
ঘরে ঘরে জগড়া হলে
খুবই মজা পায়।
নিন্দুক সে নিন্দা করে
পিছে পড়ে আছে,
যার নামে নিন্দা করে
সে আগে চলে গেছে।
পরের পিছে নিন্দা করে
সময় করলো পার
বেলা শেষে সব হারিয়ে
কাধেঁ নিরুপায়।
এখনও সময় আছে
বুঝে শুনে চলো
পরের পিছে নিন্দা ছেড়ে
নিজের পুজিঁ করো।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই, এখান থেকেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। আশাকরি কবিতাটি পড়ে আপনাদের কাছে বিন্দুমাত্র হলেও ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে,তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক ভাল ভাল কবি,লেখক আছে। তাদের সবার থেকে ভাল কিছু উপদেশ আশা করি ।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP














Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ্ খুবই সুন্দর লিখেছেন তো আপনি আপনার আজকের এই কবিতাটি। আমার কাছে উপরের এই লাইন গুলো পড়তে একটু বেশি ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর একটা টপিক নিয়ে আপনি আজকে নিন্দুক কবিতাটি লিখে আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। অসম্ভব ভালো ছিল কবিতাটি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন। খুই ভাল লাগলো।
আপনার কবিতার বিষয়বস্তু এবং লাইনগুলো দারুন লেগেছে আমার কাছে। সত্যিই নিন্দুক নিয়ে পারা মুশকিল। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জী ভাইয়া নিন্দুকদের জন্য জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তাই কবিতাটি লিখলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার একটা কনসেপ্ট বেছে নিয়েছেন ভাই 👌👌। এই নিন্দুক টাইপ মানুষগুলোর জন্য জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেল বলা চলে। সুযোগ পেলেই অন্যের কানে গিয়ে কথা লাগিয়ে বসে থাকে। নিজের দিকে কোন খেয়াল নেই। ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। তবে ভাইয়া ছোট্ট একটা টিপস, এই ধরনের কবিতাগুলোতে ছন্দটা যদি পুরোটাই মিল থাকে তাহলে আরো বেশি মজা লাগে পড়তে। পরের বার অবশ্যই ছন্দ মিলিয়ে লেখার ট্রাই করবেন।
জী ভাইয়া বাধ্য হয়ে এই বিষয়টা বেছেঁ নিয়েছি। ধন্যবাদ টিপস দেওয়ার জন্য।