স্বরচিত কবিতা-মায়াবীনি By joniprins
আজ সোমবার , ২২ই ফাল্গুন-১৪২৯ বাংলা, বসন্তকাল
০৬ ই মার্চ। এই মাস বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মাস
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে নতুন একটি কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে।
হ্যালো প্রিয় বাংলাভাষাভাষী বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি প্রতি সাপ্তাহে কমপক্ষে একটি করে কবিতা শেয়ার করে থাকি। সেই সুবাদে আজকে “মায়াবীনি” নামে নতুন একটি কবিতা নিয়ে
আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে কেউ কিছু বলতে পারে না। জীবনের কখন কোন সময়টা কার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকে সেটা কেউ বলতে পারে না। কখন কাকে কোথায় ভাল লেগে যায় সেটাও কেউ জানে না। এমনি একদিন কবি তার কলেজ প্রঙ্গনে নীল শাড়ি পড়া এক মায়াবী রমনীকে দেখতে পায়। তার দিকে তাকিয়ে কবি রীতিমত মূর্তি হয়ে যায়। তার জবান,তার হাটা চলা সব বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করে কবির কল্পনা ভেঙ্গে যায়। কল্পনা ভেঙ্গে যাওয়ার পরে মায়াবীনিকে আর দেখতে পায় না। এর পর থেকে কবি তাকে খুজতে থাকে।
এক সময় এক ফুল বাগানে কবি সেই মায়াবী রমনীকে আবার দেখতে পায়। তাকে দেখে কবির ভিতরে উত্তাল ঢেউ শুরু হয়ে যায়। তার মায়াবী চোখ,মৃদু বাতাসে উড়তে থাকা তার কালো কেশ, গোলাপের পাপঁড়ির মত তার ঠোঁট,ফুলের সাথে হেলে দুলে কথা বলার ধরন,ফুলের উপর পড়া থাকা শাড়ীর আচঁল এই সব কিছু দেখে কবি সেই মায়াবী রমনীর প্রেমে পড়ে যায়। সেখানেই কবি কবিতার মাধ্যমে তার মনের ভাব প্রকাশ করে। চলুন কবিতাটি আবৃতি করি-
মায়াবীনি
সেই দিন প্রভাত বেলা কলেজ প্রাঙ্গণে
দাড়িয়ে ছিলে তুমি, নীল শাড়ি ছিল পড়নে।
বিকেল বেলা দেখিছি তোমায় ফুল বাগানে
হাসিঁ ছিল রাঙ্গা ঠোটে, মায়া ছিল দুই নয়নে।
প্রতি মূর্তে হৃদয় সাগরে বয়ছিলো উত্তাল ঢেউ
কে ছিল সেই মায়াবী রমনী তোমরা বল না কেউ।
তুমি ছিলে আমার মনের রাজ্যের রাজ কুমারী
ঠিক যেন সদ্য ফুটা গোলাপ ফুলের কলি।
মৃদু বাতাসে উড়ছিলো তুমার মাথার কালো কেশ
সেই দৃশ্য দেখে হৃদয় আমার হয়ে গেছে নিরুদ্দেশ।
বাগানের ফুলের সাথে তুমি হেলে দুলে কথা বলছিলে
দুর থেকে তোমায় আমি দেখছিলাম চুপে চুপে।
তোমার প্রতি স্পর্শে ফুল যেন নতুন জীবন পায়
তোমার শাড়ির আচলঁ তলে আমি আশ্রয় চায়।
আকাঁবাকা পথ দিয়ে হেটে চলছো তুমি
তোমার মোহে সব কিছু ভুলে গেছি আমি।
বারবার বলতে ইচ্ছে করছিলো তোমায় ভালভাসি
তোমার হাসিঁতে ঝড়ে পড়ছিলো হাজারো ফুলের পাঁপড়ি।
হৃদয়ের দুয়ার খুলে তোমায় বার বার কাছে ডাকি
শুধু তুমি,শুধু তুমি ছিলে আমার চোখে সেরা সুন্দরী।
সেদিনের পর তাকে আর কোন দিন দেখিনি
উড়ে গেছে পাখির মত হৃদয়ে নীড় বাধেঁনি।
সেকি প্রেম ছিল না কি মোহ আজও বুঝিনি
ভালবাসি ভালবাসি তাকে পাগলের মত ভালবাসি।
বন্ধুরা আজকে এপর্যন্তই। কেমন হলো আজকে আমার স্বরচিত কবিতাটি, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। । আবার দেখা হবে। নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। অগ্নি ঝরা মার্চে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতেছি। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
দারুন কবিতা লিখলেন পড়ে খুব ভাল লাগলো। কবিতার লাইনগুলো বেশ মিলিয়ে মিলিয়ে লিখেছেন। ভালবাসা ভরপুর ছিল কবিতায়।কিছু কিছু শব্দ ভুল ছিল এছাড়া ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছেন।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আসলেই কবিতার মধ্যে মায়া আছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই বাতাসে মাথার কালো কেশ ওড়া স্বাভাবিক। ভাই শাড়ির আঁচলের তলে কেউ আশ্রয় দিতে চায় না কিন্তু খুব কম মানুষই আশ্রয় পায় যে আশ্রয় পায় সে অনেক ভাগ্যবান। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া বাতাসে মেয়েদের মাথার কালো কেশ উড়লে দেখতে অনেক ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে হঠাৎ দেখা রূপের কন্যা গুলো সারা জীবন স্মৃতি হয়ে থাকে চোখের পাতায়।। যদিও ওটাই প্রথম দেখা ওটাই শেষ আর কখনো পথের বাঁকে দেখা হয় না। তারপরেও এমন মায়াবিনিকে দেখলে মন যেন একটা কবি কবি ভাব ধরে লিখতে চাই কবিতা ছন্দে মিলিয়ে।।
আপনার কবিতার ভাষা পড়েই বুঝতে পারলাম কতটা ভালো লেগেছিল কবির চোখে সেই মেয়েটিকে।।
বিশেষ করে উপরের লাইনগুলো অসাধারণ ছিল।।
জী ভাইয়া মায়াবীনি দেখলে কবি কবি ভাব আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মায়াবি কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই কবিতার মধ্যে অনেক মায়াবী রয়েছে। সত্যি অসাধারণ কবিতা।
ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন।
চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন ভাই ৷ আপনার স্বরচিত মায়াবীনি কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার ৷ কবিতার প্রত্যেকটি লাইন দারুণ ছিলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য ৷
আপনাদের ভাল লাগলেই আমার সার্থকতা। ধন্যবাদ।
আমার চোখের সামনে এখনো পর্যন্ত একজন সুন্দরীর নীল শাড়ি পরা রমণী দেখতে পারলাম না। যদি পারতাম, তাহলে হয়তো আমিও ভালো একজন কবি হতে হতাম। 🤭🤭
খুব সুন্দর লিখেছেন কবিতাটা। বেশ একটা প্রেম প্রেম ভাব পাচ্ছে আমার।
তবে শাড়ির আঁচলের তলে গিয়ে কি করবেন ভাই, ওর থেকে ফ্যান চালিয়ে মাথার নিচে নরম বালিশ দিয়ে আরাম করে ঘুমান, ভালো লাগবে। 😂
পড়বে পড়বে ভাইয়া একসময় আপনার সামনেও নীল শাড়ি পরা রমনী পড়বে। অপেক্ষায় থাকেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলছেন এমন কিছু হঠাৎ দেখা আছে এবং হঠাৎ মায়া লেগে যায় তারপর কোথায় হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া মায়াবিনীকে খুঁজতে খুঁজতে জীবন শেষ করে দেয় অনেকে আছে। সৃষ্টিকর্তার যদি লেখা থাকে একদিন তার সাথে দেখাও হতে পারে। অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন সে মায়াবিনীকে নিয়ে। পড়ে অনেক ভালো লেগেছে কবিতার লাইনগুলো অনেক সহজ সরল ভাবে লিখেছেন।
জী আপু মায়াবীনির খুজে বের হবো,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
আপনি দিন দিন অনেক সুন্দর কবিতা লিখতেছেন দেখতেছি। আমার কাছে এরকম কবিতাগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। মায়াবিনি কবিতার নামটা যতটা সুন্দর কবিতাটি অসাধারণ সুন্দর। কবিতা অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন দেখতাম। অসম্ভব সুন্দর এই কবিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক ভাল লাগলো।
বাস্তবে জীবনে আমরা সবাই কবি। এবং আমাদের সবার জীবনেই এইরকম মায়াবীনির আগমন হয়। কিন্তু সবাই তার মনের ভাব এইভাবে প্রকাশ করতে পারে না। কবিতা টা বেশ সুন্দর এবং চমৎকার ছিল। অনেক সুন্দর লিখেছেন কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
জী ভাইয়া সবার জীবনেই মায়াবীনি আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে যায় তা কেউ বলতে পারে না।জীবনের কখন কোন সময় টাকার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকে এবং কখন কাকে ভালো লেগে যায় তা আমরা কেউই জানিনা। আপনি কিন্তু আজকে বেশ ভালোই একটি টপিক নিয়ে কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতাটি পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেল।
উপরের এই লাইনগুলো পড়তে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা লাইন আপনি খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন এবং ফুটে উঠেছে।
জী আপু এরকম মায়াবীনিরাই স্মৃতি হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপু।