ছোট বোনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিষপত্র কেনা।।

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি অনুভুতি মূলক ব্লগ শেয়ার করবো। আমার ছোট বোনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিষপত্র কিনেছিলাম। সেই অনুভূতিই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

যাদের বোন নেই,তারা হয়তো ভাইবোনের ভালোবাসাটা বুঝে না। যাদের বোন আছে এক মাত্র তারাই সেটা অনূভুব করতে পারে। আমরা তিন ভাই দুই বোন। এক বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। আর সবার ছোট এক বোন আছে। সে বাবা-মায়ের সাথে গ্রামে থাকে। আমি প্রায় সময় বাড়িতে গেলে তার জন্য কিছু একটা হলেও কিনে নিয়ে যায়। আমার বোন যদিও কোন কিছু নিয়ে যেতে বলে না। তারপরও আমি নিজ থেকেই নিয়ে যায়। আমার এক ভাই প্রবাসী। সৌদিআরব থাকে। সেই ভাই বোনের যাবতীয় সব কিছু দেয়। সে হিসাবে আমার না দিলেও চলে। তারপরও বড় ভাই হিসাবে একটি দায়িত্ব ভালোবাসা আছে। সে জন্য নিয়ে যায়।

আমার ছোট ভাই নাঈম, সে আমার সাথেই নারায়নগঞ্জ থাকে। সে আগামী শুক্রবারে বাড়িতে যাবে। তাই ভাবলাম ছোট বোনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিষপত্র কিনে দেয়। সে জন্য গত কাল অফিস থেকে বের হয়ে মার্কেটে গিয়েছিলাম। নারায়নগঞ্জ শহরের দীপু বাজারে সব কিছু পাইকারী রেটে পাওয়া যায়। প্রত্যেকটা পন্যের গায়ের মূল্য থেকে কিছুটা কম রাখে। তা ছাড়া একটি দরকারে সমবায় মার্কেটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দীপু বাজারে যাওয়া। সমবায় মার্কেটে যাওয়ার কারন হলো- আপনারা সবাই জানেন যে শীত কাল আসলে সাধারনত সবাই ব্লেজার পড়ে। আমিও তার ব্যাতিক্রম নয়। যেহেতো একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি। তাই সেখানের পরিবেশ মেনটিন করে চলতে হয়। প্রতিবছর ব্লেজার গায়ে দেওয়ার আগে সমবায় মার্কেট থেকে ড্রাইওয়াশ করি। এবারও নভেম্বরের ত্রিশ তারিখ ব্লেজারটা ড্রাইওয়াশের জন্য দিয়ে এসেছিলাম। গতকাল গিয়ে নিয়ে আসলাম।

দীপু বাজার মার্কেট টা অনেক বড়। এখানে সব কিছু পাওয়া যায়। কসমেটিক্স, কাপড়, চাউল, ডাউল, মাছ, মাংস, মুরুগি,ফল সব কিছু পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয়। আমি প্রায় সময় এখান থেকে বাজার করে থাকি। আর কসমেটিক্স আইটেমের জন্য গোলাম রসূল নামে পরিচিত একটি দোকান আছে। সেখান থেকেই সব কিছু কেনা কাটা করি। এখানে দোকানটা ছোট তবে জিনিষ পত্রের অভাব নেই। আমি দাড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখি ছোট একটি দোকনে কি নেই। দোকানটিতে কসমেটিক্স পন্য ছাড়াও মধু,নডুলস,বাচ্ছাদের পেড,খাতা,কলম, বড় বড় চকলেট, কিচেন রুমের আসবাব পত্র সহ সব কিছু আছে। আর উনার দোকানের ৯০% পন্য হলো ইন্ডিয়ান। বাংলাদেশের মানুষ কসমেটিক্সের পন্য গুলো ইন্ডিয়ান পন্যই বেশি ব্যবহার করে থাকে।

আমি হালকা পাতলা কিছু জিনিষই কিনলাম। যেহেতো শীতের দিন আমাদের ত্বক টানে। তাই লোশন ব্যবহার করতে হয়। আমি একটি পন্সের লোশন নিলাম। আর একটি সেম্পুর বোতল নিলাম। লোশনটা মনে হয় বাংলাদেশি পন্য তবে সেম্পুটা বাহিরের পন্য। আমরা সবাই জানি যে সবার চুলে সব রকমের সেম্পু ব্যবহার করতে পারে না। চুল পড়া থেকে বাঁচার জন্য সেম্পু ব্যবহারে সবাই খুবই সচেতন। আমার ওয়াইফ আর বোন তারা সাধারনত পেইনটিন সেম্পুই ব্যবহার করে থাকে। সে জন্য আমি যতবার তাদের জন্য সেম্পু কিনি চুলের বিষয়টা মাথায় রেখে পেইনটিন সেম্পু কেনার চেষ্টা করি। পেইনটিন সেম্পুটা সুইজারলেন্ডের।

এখানে একটি ফেয়ার এন্ড লাভলি ক্রিম নিলাম আর দুইটি মেডিপ্লাস টুথপেস্ট নিলাম। যারা মুখে ক্রিম দেয়,তারাও খুব সচেতন। সব ক্রিম মুখে দেয় না। কারন ক্রিমের মাধ্যমে মুখে ব্রন উঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবাই নির্ধারিত ক্রিমই ব্যবহার করে। আমার ছোট বোন ফেয়ার এন্ড লাভলি ক্রিমটাই বেশি ব্যবহার করে। তাছাড়া বোন খুবই ছোট এখনো ব্রেন্ড তেমন চিনে না। হয়তো বড় হলে ক্রিম চেন্জ হতে পারে। আর আমরা ঘরের সবাই মেডিপ্লাস টুথপেস্টই ব্যবহার করে থাকি। এটাতে এখন পর্যন্ত কারো কোন সমস্যা হয়নি। যদি প্রবলেম দেখা দেয় তাহলে পরিবর্তন করে ফেলবো। আরো দুই একটি পন্য নিয়েছিলাম। সে গুলো ফটোগ্রাফি করা হয়নি। সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ টাকার মত হবে।

বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আসার সময় সমবায় মার্কেটে নিচ তলা থেকে আরেকটি জিনিষ কিনেছিলাম। সেটা নিয়ে অন্য একদিন কথা বলবো। আজ আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।