কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।
আমার প্রাণের কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। সবার সুস্বাস্থ কামনা করে আজকে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে। ভাবলাম আজকে সে গুলো শেয়ার করে ফেলি। খুবই মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি, আশা করি সবার কাছেই ভালো লাগবে।
এক সাপ্তাহ ধরে কাজ না করে কেমন যেন জিমিয়ে গেছি। আসলে কোন একটি কাজ রানিং থাকলে সেটার প্রতি একটা দায়িত্ব বা গুরুত্ব থাকে। যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, দিন শেষে সবাই একটি পোষ্ট করার চেষ্টা করি। আর এই কাজ গুলো করতে ভালোই লাগতো। নিজের দৈনন্দিন জীবনের বিষয় গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারলে আমাদের নিজের কাছেও হালকা লাগে। ধীর্ঘ এক সাপ্তাহ পরে গত কাল থেকে আবার কাজ শুরু করেছি। এভাবে সবাই ধীরে ধীরে কাজে মনযোগ দিবে। যদিও এখন পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট আসে নি। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের প্রাণের কমিউনিটি আবার আগের মত হাঁসবে।
আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো, সে গুলোর মধ্যে বিভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি রয়েছে। আসলে ফটোগ্রাফি করার মত অনেক কিছুই আছে। কিন্তুু সবসময় সব কিছু করতে ইচ্ছা করে না। আর কি গরম আবহাওয়া যাচ্ছে,সবাই তো বুঝতেছেন। গরমের কারনে কিছুই ভালো লাগে না। গরমে খেয়ে শান্তি নাই,ঘুমিয়ে শান্তি নাই। এক দিক দিয়ে হিসাব করলে শীত আবার ভালো। কাজ করে শান্তি পাওয়া যায়। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অধিকাংশই দুপুরের খাবারের ফটোগ্রাফি। সকালে হালকা নাস্তা করলেও দুপুরে একটু ভালো মন্দ খাওয়া দাওয়া হয়।
দুটো দেশি হাঁসের ডিম। গ্রামে থাকলে সকাল বেলা সিদ্ধ ডিম দিয়েই নাস্তা শুরু হয়। এটা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে খাওয়ার আগে ক্যাপচার করেছিলাম। তবে ঈদের পরে শরীরে প্রচন্ড এলার্জি দেখা দিয়েছে। হোমিওপ্যাথি ঔষুধ খাচ্ছি, ডাক্তার বলেছে এলার্জি বৃদ্ধি পায় এমন কোন কিছু খাওয়া যাবে না। হাঁসের ডিম,হাঁসের মাংস, চিংড়ি মাছ,গরুর মাংস এগুলো খেতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে। তাই এবার বাড়িতে গিয়ে হাঁসের ডিম খাওয়া হয়নি। শ্বশুর আমার জান্য তেলতেলা একটি মাদি হাঁস এনেছিল। দুঃখের বিষয় খেতে পারলাম না,হা হা হা।
লোভনীয় টেংরা মাছ ভুনা। দেখতেই পাচ্ছেন কত সুন্দর করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা দিয়ে ভুনা করেছে। দেখলেই খেতে মন চাই। এগুলো তিতাস নদীর দেশি টেংরা মাছ। আমি আবার এসব মাছের কাটা ফেলি না। কাটা সহকারেই খেয়ে ফেলি। এত ছোট মাছের কাটা ফেলানোর সময় নেই। কাটার ভিতরে মাছের ক্যালসিয়ামটা লুকিয়ে থাকে,হি হি হি।
বর্ষার শেষের দিক দিয়ে আমাদের দিকে খালবিলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। সবাই যে যার মত মাছ ধরার অস্ত্র নিয়ে খালবিলে ঝাপিয়ে পড়ে। তখন পুটি,টাকি, শিং কৈ, মাগুর মেনি মাছও ধরা পড়ে। এত মাছ ধরা পড়ে যে,খেয়ে শেষ করা যায় না। তখন অল্প টাকায় অনেক মাছ পাওয়া যায়। আব্বু বেশি মাছ আনলে আমার আম্মু কিছু মাছ শুটকি দেয় আর কিছু মাছ খায়। এভাবে তেলের মধ্যে কড়কড়া করে ভেজে খেতে দারুন লাগে।
মাছ মাংসের পাশাপাশি মাঝে মাঝে আলুর ভর্তাও খাওয়া হয়। মাঝে মাঝে লাঞ্চের সময় আট থেকে দশ পদের ভর্তা করা হয়। কোরবানির ঈদের পরে এটা বেশি করা হয়। কারন তখন কেউ মাংস খেতে চাই না। কয়েকদিন লাগাতার মাংস খেয়ে অরুচি হয়ে যায়। তখন বিভিন্ন পদের ভর্তার আয়োজন করা হয়।
এইযে দেখেন এটা আরেক প্রকারের ভর্তা। সকাল বেলা রুটি দিয়ে এই শুটকি ভর্তা খেতে দারুন লাগে। সবসময় তো খাওয়া হয় না। তবে মাঝে মাঝে খেলে ভালোই লাগে। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ঝাল খুবই কম খায়। বেশি ঝাল খেলেই পেট ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তবে আরেকটি কথা হলো ঝাল জিনিষ খেতে বেশি স্বাদ লাগে।
এটা হলো দেশি শিং মাছ ভুনা। দেখলেই খেতে মন চাই। তিতাস নদীতে সবসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। যদিও আগের থেকে মাছের পরিমান কমে গেছে,তবে এখনও পাওয়া যায়। যখন বর্ষা চলে যায়, খাল বিল নদী শুকিয়ে যায় তখন শিং মাগুর বেশি পাওয়া যায়। তখন বিভিন্ন গর্তের পানি নিষ্কাশন করে এই মাছ গুলো ধরা হয়।
বন্ধুরা, দেখতে দেখতে অনেক গুলো খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে দিলাম। সবার কাছে তো সব কিছু ভালো লাগে না। একেক জনের রুচি একেক রকম। কেউ ডাল ভাত পেলেই খুশি, কেউ মাছ ভাত, কেউবা আবার মাংস ভাত। একেক জনের বৈশিষ্ট্য একেক রকম। যায়হোক বন্ধুরা আর বাড়াবো না। এখনই বিদায় নিলাম,সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২০/০৬/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যখন নিয়মিত কাজগুলো করা যায় তখন একটি ধারাবাহিক নিয়ম থাকে। কাজ থেকে যখন ছিটকে পড়ে যায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। আর কিছুদিন বসে থাকার পরে কাজের প্রতি অলস ভাব চলে আসে যা আমার নিজের অলসতা চলে এসেছে। ইন্টারনেট পেয়ে সবাই এখন অনেক বেশি আনন্দিত প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। বেশ মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
জী আপু সবার ভিতরে কেমন যেন একটা ভাব চলে এসেছে। আশা করি মোবাইল নেট ফেরত আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
আপনার শ্বশুর এত খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে আপনার জন্য অথচ আপনি খেতে পারলেন না। যাই হোক খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে। যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার দুই ধরনের ভর্তার ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই বর্ষাকালে অনেক রকমের মাছ পাওয়া যায়। তেলে এরকম কড়া করে ভেজে মাছগুলো আমার নিজের কাছেও দারুন লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আগে হাঁসের মাংস খেতাম। কিন্তুু এখন এলার্জির কারনে খাচ্ছি না।
ভাইয়া আজ আপনি বেশ কিছু মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক লোভ লাগছে। বিশেষ করে ভর্তা খেতে ভালো লাগে। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক চমৎকার হয়েছে। প্রতিটি ছবির খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।