বন্ধুর সাথে ইফতারির পার্টিতে কিছু সময়।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি
কেমন আছেন সবাই,
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। বর্তমানে গরমের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। রোদের তাপের কারনে বাহিয়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তার উপর আবার রমজান মাস চলেতেছে। শত কষ্ট হলেও রোজা তো রাখতে হবে। যারা বাহিরে কাজ করে তাদের একটু কষ্ট হয়ে যায়। আশা করি সৃষ্টিকর্তা এর উত্তম প্রতিদান দিবেন। চলুন আজকের পোষ্টের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে রমজান মাস চলতেছে। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধায় সবাই মিয়ে ইফতারি করার মজাই আলাদা। সবাই নিজেদের সাধ্য মত ইফতারির আয়োজন করে থাকে। গত কালকে আমার এক কলিগের সাথে তার অফিসে গিয়েছিলাম ইফতারি করতে। মোটামুটি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন মানুষের আয়োজন করেছিলো। ইফতারির আইটেম ছিল অনেক গুলো। খুব মজা হয়েছিলো ইফতারি পার্টিতে।
আমি গত কাল আমার বন্ধুর সাথে চারটার সময় তার অফিসে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি প্রথম দিকে তার অফিসটা পর্যবেক্ষন করলাম। তারপর আছরের নামাজ আদায় করে ইফতারির মূল কাজ শুরু করা হলো। গত দুই দিন যাবৎ বন্ধু অনেক ব্যস্ত ছিল। কারন আমার বন্ধু সহ আরো এক জনের উপর ইফতারি আয়োজন করার দায়িত্ব ছিল। ইফতারির প্রধান আইটেম ছিল তেহারি। সকাল থেকেই সব কিছু আয়োজনের তোরজোর চলছিলো।
গত পরশু দিনই আমার বন্ধু সাইফুল সমস্ত টাকা তুলে বিরিয়ানীর সমস্ত আইটেম কিনে ফেলেছিলো। বিরিয়ানীর রান্না করা হয়েছিলো তাদের অফিসের ক্যান্টিনে। খাওয়ার ব্যবস্থা ও করা হয়েছিলো তাদের অফিসের ক্যান্টিন রুমে। তাদের ক্যান্টিন রুমটা মোটামুটি অনেক বড় ছিল। একশত মানুষের মত এক সাথে বসে ইফতারি বা খাবার গ্রহন করতে পারবে।
ইফতারির আইটেমে কয়েক প্রকারের ফল ছিল। আপেল,মালটা,আঙ্গুর,আনারস পেয়ারা,কলা আর ছিল খেজুর। খেজুর ছাড়া তো কোন ইফতারি পার্টি পূর্ণ হতে পারে না। কার রিজিকে কখন কোথায় কি খাবার আছে সেটা কেউ বলতে পারে না। তা ছাড়া রমজানে ইফতারির সময় খাবারের অভাব হয় না। যে কোন ভাবেই হোক আল্লাহ তায়ালা খাবারের ব্যবস্থা করে দেন।
আমি আছরের নামাজ পড়ে আমার বন্ধুর সাথে কাজে লেগে গিয়েছিলাম। যে কোন খাবারের পার্টিতে কাজ করতে আমার খুব ভাল লাগে। তারা কেউ আমাকে কাজ করতে বলে নাই। আমিই নিজ থেকে কাজ করা শুরু করে দিয়েছিলাম। মানুষকে খাওয়ানোর মাঝে,আপ্যায়ন করার মাঝে অনেক মজা আছে। সবাই হয়তো এটা অনুভূব করতে পারে না। তবে আমি খুব সুন্দর ভাবেই সেটা অনুভূব করতে পারি।
প্রথমে ছোট ছোট নাস্তার প্লেটে ফলমূল দেওয়া হলো। বেশ কয়েক প্রকারের ফলমূল থাকার কারনে এক পিছ করে দিলেই প্লেট ভরে যাচ্ছে। তারপর প্রত্যেক প্রকার থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলমূল দেওয়া হলো। সব কিছু আগেই কেটে কেটে পিছ পিছ করে রাখা হয়েছিলো। যার ফলে প্লেট সাজাতে বেশি সময় লাগে নাই। অল্প সময়ের মাঝেই সব কিছু সাজানো হয়ে গিয়েছিলো।
টেবিলে টেবিলে খাবার সাজাতে সাজাতে অনেক মানুষ এসে পড়ছিলো। যারা আগে আগে চলে এসেছে তাদেরকে এক সাইট দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা এসেছে সবাই রোজাদার মানুষ। সবাই টুপি পান্জাবী পড়ে খুব সুন্দর ভাবেই এসেছে। সবাই যখন এক সাথে বসেছে তখন দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। সবাই মিলে এক সাথে যে কোন খাবার খেলেই অনেক মজা লাগে।
এটি হলো শরবতের গোডাউন। আমি বেশি অংশ শরবতরে মধ্যে সময় দিয়েছি। শরবত বানানো,শরবত বিতরন করা সব কিছুই আমি করেছি। ইফতারির সময় সবাই এত পরিমানে শরবত খেয়েছে যে শেষে সর্ট পড়ে গিয়েছিলো। যায়হোক সবাই পর্যাপ্ত পরিমানে শরবত খেয়েছে। শরবতে অনেক প্রকারের আইটেম দেওয়ার কারনে অনেক মজা হয়েছিলো। সবাই আমার খুব প্রশংসা করেছে।
শেষ কথা: গতকাল ইফতারির পার্টিতে ভরপুর ভাবে বিরিয়ানী খেয়েছিলাম। পর্যাপ্ত পরিমানে থাকার কারনে আমি তিনবার নিয়েছিলাম। খাওয়ার সময় তো অনেক মজা লেগেছিলো তাই অনেক পরিমানে খেয়েছিলাম। কিন্তুু খাওয়ার পরে এমন গরম লাগলো হাটতেও পারি না বসতেও পারি না,হা হা হা। পার্টিতে কোমল পানিও দিয়েছিলো। আমি আবার বের হয়ে বাসার নিচের দোকান থেকে স্প্রিট খেয়েছি। তারপরও গরম কমছে না। শেষে কোনরকম বাসায় গিয়ে লেবুর শরবত,জল জিরার শরবত,ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেয়ে কিছুটা আরাম অনুভূব করলাম। এখান থেকে শিক্ষা নিলাম যে মজা লাগলেও বেশি কোন কিছু খাওয়া যাবে না।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের ছোট আয়োজন,অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এখান থেকেই বিদায় নিলাম। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থা থাকবেন।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| ক্যামেরা | রেডমি নোট-৮ |
| ফটোগ্রাফার | @joniprins |
| অবস্থান | কাঠেরপুল,নারায়নগঞ্জ |
| কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
| তারিখ | ১২.০৪.২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP























Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মাশাআল্লাহ এতো দারুন ইফতার আয়োজন করেছিল। সত্যিই আল্লাহ পাক রমজানে বেশি বেশি খাওয়ার তৌফিক দান করেন। বিরিয়ানি, ফল সহ অনেক আইটেম ছিল দেখলাম। সবথেকে বড় বিষয় বেশ তৃপ্তি এবং আনন্দ নিয়ে ইফতার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই বিষয়টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জী ভাইয়া সেই দিন ইফতারি পার্টিতে অনেক মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বন্ধুর অফিসে গিয়ে বন্ধুদের সাথে ইফতারি করলেন বিষয়টা শুনে খুবই ভালো লাগলো। সত্য কথা বলতে প্রিয়জনদের সাথে ইফতারের সময় টা কাটাতে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে।
জী ভাইয়া সবাই মিলে এক সাথে ইফতারি করলে আলাদা একটি আনন্দ লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রমজান মাসে সবার সাথে ইফতারি করা সত্যিই অনেক আনন্দের। সেই সাথে অনেক ভালো একটি ব্যাপার। আসলে সবার সাথে একসাথে ইফতারি করলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। অনেক মজার মজার সব খাবার গুলো দেখে ভালো লাগলো। আপনি ইফতারের সময়টা অনেক উপভোগ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জী আপু রমজান মাসে ইফতার আর সেহরী রোজাদারদের অনেক আনন্দ দেয়। ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যার সময় সবাই মিলে ইফতারি করার মজাটাই আলাদা। আপনারা সবাই মিলে দেখছি বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। এভাবে সবাই মিলে ইফতারি করার মত অন্যরকম একটা ভালো লাগা রয়েছে। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রত্যেকটা খাবার সবার মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট দেখে এবং পড়ে।
জী আপু সারাদিন রোজা রেখে সবার সাথে ইফতার করতে অনেক আনন্দ হয়। ধন্যবাদ আপু।
বাহ! ইফতারের আইটেম দেখে তো বুঝা যাচ্ছে অনেক খাওয়া-দাওয়া করেছেন সবাই মিলে। আসলে রোজার দিনে অনেক ভালো লাগে সবাই মিলে এভাবে ইফতার করলে অনেকগুলো আইটেম থাকে। অনেক ধন্যবাদ বন্ধুর অফিসে সবাই মিলে ইফতার করার সেই মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু ইফতারিতে অনেক আইটেম ছিল। সব মিলিয়ে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
দেখে বুঝতে পারছি বন্ধুদের সাথে ইফতারি করার সময় খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনাদের ইফতারি করার এত সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। সম্পূর্ণ পোস্টটা খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন আপনি। খাবারের ফটোগ্রাফিগুলো ও খুবই সুন্দরভাবে করেছেন তাহলে। বলতে গেলে এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই ইফতারি করার পোস্ট।
জী ভাইয়া বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ করেছি। ইফতার পার্টিতে অনেক আইটেম ছিল। খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বন্ধুদের সাথে আপনি ইফতারির মুহূর্তটা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনারা কিভাবে কোথা থেকে ইফতারি করেন সেই সম্পর্কে ধারণা পেলাম এবং দেখতে পারলাম এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে, তাই অনেক খুশি লাগলো আমার।
ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর যথার্থ মন্তব্য করেছেন। কমেন্ট পড়ে অনেক ভাল লাগলো।
বন্ধুর অফিসে গিয়ে দেখছি ভালো ইফতারের আয়োজন করেছেন। আর বেশ খাওয়া-দাওয়া করছেন জমিয়ে। যার কারণে এত অসুবিধা এতকিছু খাওয়ার পরও গরম কমছে না। আসলে একসাথে অনেকগুলো খাবার খেয়েছেন তো যার কারণে মনে হয় শরীরটা নিতে পারিনি। যাই হোক খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার বন্ধুর কলিগদের সঙ্গে ইফতার পার্টির মহূর্ত পড়ে।