পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-ষষ্ঠ পর্ব (পাহাড়ের কিনারে আদিবাসি মার্কেটে যাওয়ার অনুভূতি)।।
যারা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে চান,তাদেরকে আমাদের এই কমিউনিটিতে স্বাগতম-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার রাঙামাটি ভ্রমন ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করবো। এই পর্বের মাধ্যমে পাহাড়ের কিনারে আদিবাসি মার্কেটে যাওয়া,কেনাকাটা করা ও বিভিন্ন জিনিষ পত্রের ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন।
গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে পাহাড়ের মিষ্টি মিষ্টি আনারস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম। এত মিষ্টি আনারস আর কোথাও খায়নি। আমরা পাহাড়ের উপরে আনারস খেয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম। তারপর পাহাড়ের নিচে আদিবাসি মার্কেটে গেলাম। বিশাল বড় পাহাড়ের সাইট দিয়ে কেটে হাটা চলার মত রাস্তার তৈরী করা হয়েছে। আর বিভিন্ন বাশঁ কাঠ দিয়ে পিলার বানিয়ে টিন ও কাঠের সাহায্যে দোকান গুলো বানানো হয়েছে। দোকান গুলো খুবই সুন্দর পরিষ্কার পরিছন্ন গুছানো ছিল। সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির মত দোকান হবে। এখানে পুরুষের পাশাপাশি মেয়ে ও মহিলারাও বেচাকেনা করতে পারে। এখানে কোন বিদ্যুৎ নেই। কিছু দোকানে স্যুলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব গুলো দোকানেই তাদের নিজের হাতে তৈরী করা বিভিন্ন ধরনের জিনিষ পত্র ছিল। তবে দামটা তূলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি ছিল। যেহেতো পাহাড়ে দূর্গম এলাকায় এই দোকান গুলো বসে তাই জিনিষ পত্রের দাম কিছুটা বেশি হবে এটা স্বাভাবিক।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী। এখানে রয়েছে চন্দন,ক্রিম,সাবান সহ আরো অনেক কিছু। যে গুলো নাম আমাদের আপু মনিরা বলতে পারবে। তারপর দ্বিতীয় ছবিতে দুইটি চিরনি দেখতে পাচ্ছেন, এগুলো কাঠের চিরনি,গাছের কাঠ দিয়ে খুব সুন্দর ও নিখুঁত ভাবে অরিজিনিাল চিরনির মত বানানো হয়েছে। এগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি অনেক দিন টেকশই হয়। তারপর আরো রয়েছে সুতা ও কাপড় দিয়ে বানানো বিভিন্ন হাত ব্যাগ, ব্রেসলাইট সহ মেয়েদের কিছু কসমেটিক্স জাতীয় আইটেম। যেহেতো গরম ছিল তাই কিছু দোকানে কোমল পানি ও নরমাল পানিও রয়েছে।
এছাড়াও দোকান গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পোষাক দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দর সুন্দর চাদর,থ্রি পিচ,শাড়ি ও লুঙ্গি রয়েছে। এছাড়াও উপজাতিদের নির্ধারিত কিছু পোষাক রয়েছে। আমি দেখতে পেলাম এখানে বেশি অংশ শীতের পোষাক রয়েছে। আর সব গুলো পোষাকই কটন সুতার দিয়ে বানানো হয়েছে। পোষাক গুলো পড়লে অনেক আরাম লাগবে। বাচ্ছাদের অনেক সুন্দর সুন্দর পোষাক রয়েছে। আমাদের বাবুর জন্য কিনতে চেয়েছিলাম তবে তার সাইজে কোন কাপড় পায়নি। কিছু দোকানে আবার আচার বিক্রয় করতেও দেখলাম।
এখানে একটিই মার্কেট দেখলাম। তবে মার্কেটে অনেক গুলো দোকান রয়েছে। আমরা যারা সেখানে ঘুরতে গেলাম সবাই নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জিনিষ পত্র দেখতে ও কিনতে লাগলাম। এই মাকের্টে আমাদের সব থেকে বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। সবার যার যার মন ইচ্ছামত সময় কাটাতে লাগলো। আমি হাটতে হাটতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। শেষের দিকে গিয়ে দেখি কিছু আদিবাসি বাচ্ছা খেলাধুলা করছে। বাচ্ছা গুলো খুব দুষ্ট,আমাকে দেখে কেমন অঙ্গিভঙ্গি করলো। আমিও সাথে সাথে ক্যাচ ক্যাচ করে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। আর সেই সাথে আমাদের গ্রুপের এডমিনের দেওয়া নির্ধারিত সময় অতিক্রম হয়ে গেলো। আমি আর আমার কলিগ নিজ দায়িত্বে নৌকায় চলে গেলাম।
নৌকায় গিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই। সবাই তখনও মার্কেটে ঘুরছে। আর রোদের তাপ ছিল প্রচন্ড। যার ফলে আমি নৌকাতে এসে ড্রেস চেন্জ করে নিলাম। কারন এখান থেকে আমরা শুভলং ঝর্ণার দিকে রওয়ানা দিবো। এডমিনের দেওয়া নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও অনেকই নৌকাতে আসতেছে না। আমরা কিছুটা বিরক্ত হলাম। কারন এখানে এত সময় অতিক্রম করে ফেললে অন্য স্পট গুলো দেখতে পারবো না। হাসবেন্ড ওয়াইফ একসাথে থাকলে বা মেয়েরা মার্কেটে গেলে লেইট হবেই। কারন তাদের এটা পছন্দ হলে ও টা পছন্দ হয় না। এটা নিবে না, ওটা নিবে সিদ্ধান্তই নিতে পারে না। এখানেই আমাদের সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। কিছুক্ষণ পরেই তো জুম্মার নামাজের আজান হবে। তাই এডমিনকে তারাতারি নৌকা ছাড়তে তাগিদ দিলাম। সবাইকে নিয়ে আমাদের নৌকা শুভলং ঝর্ণার দিকে চলতে লাগলো....চলবে...।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-ষষ্ঠ পর্ব (পাহাড়ের কিনারে আদিবাসি মার্কেটে যাওয়ার অনুভূতি)।। |
স্থান | আদিবাসি মার্কেট,রাঙামাটি, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হ্যাঁ ভাইয়া আমি তো পূর্বে শুনেছি দূর-দূরান্ত থেকে পাহাড়ের উপর যখন বিভিন্ন মালামাল নিয়ে এসে মেলা বসানো হয় বা বিক্রয় করা হয় তখন তার দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে প্রয়োজনে মানুষের কিনতে হয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট সাজিয়েছেন এবং এই ভ্রমণ বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার এই পর্ব দেখে।
জী আপু পাহাড়ে জিনিষ পত্রের দাম কিছুটা বেশি। তবে আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। ধন্যবাদ।
রাঙ্গামাটি খুব সুন্দর একটি জায়গা এবং এখানে অনেক কিছুই রয়েছে যা আমাদেরকে সব সময় মুগ্ধ করে তুলে৷ আজকে আপনি এই রাঙামাটি ভ্রমণ করে এর সৌন্দর্য উপভোগ করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি অনেক কিছুই আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
জী ভাইয়া রাঙামাটি রঙের মতই সুন্দর। যারা একবার যায় তার বারবার যেতে মন চাইবে। ধন্যবাদ।
https://x.com/ArianKh29670721/status/1785345436221628432