বাংলাদেশে এখন স্বার্থের খেলা চলছে ।।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। স্বার্থের এই পৃথিবীতে কিভাবে আর ভালো থাকা যায়। চোখের সামনে যা দেখতেছি, যা গঠতেছে,সে গুলো বিশ্বাস করা যায় না। তারপরও বিশ্বাস করতে হয়। মানুষের রুপ বদলাতে,মত বদলাতে এক সেকেন্ড সময় লাগে না। সঠিক মানুষকে চেনা বড় দায়। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বার্থে খেলা চলছে। আর আমরা দর্শক হয়ে সেই খেলা দেখতেছি।
আপনারা সবাই জানেন যে গত ১৫ই নভেম্বর ২০২৩ই তারিখে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। যদিও এই নিবার্চনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহন করছে না। বরং তারা বর্তমান তফসিল বাতিল করে আগামী জানুয়ারীতে নতুন তফসিল ঘোষনা করার জন্য আন্দোলন করছে। এই মাসের প্রথম থেকেই তারা প্রতি সাপ্তাহে চারদিন করে আন্দোলন করে আসতেছে। মাঝে মাঝে হরতাম আবার মাঝে মাঝে অবরোধ পালন করছে। যার ফলে সাধারন মানুষের জীবন যাত্রায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। যেদিন হরতাল অবরোধ থাকে সেদিন দূরপাল্লার কোন বাস ঢাকা শহর সহ বিভাগীয় শহরে যাচ্ছে না বা আসছেও না। এই হরতাল অবরোধের দোহায় দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দামও বাড়ছে। আমাদের দেশে একটি প্রবাদ, “এমনি নাচনে ওয়ালী বুড়ি,তার মাঝে আবার ঢোলের বারি”। অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীরা তো কোন কারন ছাড়াই মন ইচ্ছামত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়িয়ে দেয়,সেই জাগায় যদি হরতাল অবরোধের ই্যসু পায়,তখন কি করবে চিন্তা করা যায় না। যায়হোক আজকে আর সেদিকে যাচ্ছি না।
বলতেছিলাম বাংলাদেশের তফসিল আর নির্বাচনের কথা। আমি বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরীক। আমি কোন রাজনীতি করিনা, রাজনীতিবিদও নয়,রাজনীতির কিছু বুঝিও না। তবে বর্তমানের কিছু হাল চাল দেখে বুঝতেছি এগুলো তো রাজনীতি না। এগুলো হলো স্বাথের খেলা। একজন সারাজীবন এক দলের রাজনীতি করেছে,এখন মুহর্তের মধ্যে দল চেন্জ করে ফেলেছে। একজন গত দশ পনের বছর এক আসনের এমপি ছিল,এবার নিজ দল থেকে নমিশন না পেয়ে সেই দলের বিরোধী হয়ে গেল। অনেক পাতি নেতা এত দিন একজনের পিছনে ঘুরেছে,যখন দেখলো তার ক্ষমতা শেষ,তার পিছন ছেড়ে তার বিরুদ্ধে লেগে গেল। আবার একজন এতদিন যে এলাকার এমপি ছিল,এখন নমিশন অন্যের হাতে চলে যাওয়ার কারনে সে নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। এলাকায় গেলে মার খাবে,সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারবে না,এমন হুমকি ধামকি পাচ্ছে। আবার কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় বেইমান ঘোষনা করা হচ্ছে। কি এক অবস্থা চলছে বিশ্বাস করা যায় না। এসব বিষয়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক,ইউটিউবে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যেদিকে যায় সেই দিকেই শুনি, এবেইমান,ওবেইমান, এ চামচা,ও মুনাফেক,একজন দালাল,এক গৃহপালত প্রাণী,একদল অন্যদলকে ক্ষমতায় নেওয়ার মই হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবার প্রধান কয়েকটি দল নির্বাচনে না যাওয়ার কারনে অধিংকাংশ মানুষের মনে তেমন নির্বাচনের কোন উত্তেজনা নেই। এক সময় নির্বাচনকে সবাই উৎসব হিসাবে নিতো। তবে সেইদিন এখন হারিয়ে গেছে। তার জন্য দায়ী আমরা জনগনই। ক্ষমতার লোভে কিছু মানুষ পাগল হয়ে গেছে। ক্ষমতা পাওয়ার জন্য যখন ইচ্ছা তখনই দল পরিবর্তন করছে। আবার কিছু কিছু মানুষ কোরবানির গরুর মত বিক্রি হচ্ছে। কাউকে নির্বাচনে আনার জন্য টাকা খরচ করছে আবার কাউকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে ক্ষমতা ও অর্থ ব্যয় করছে। এভাবে আমাদের নির্বাচন হলে আমাদের দেশের ভবিষৎ কি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। সবার মত আমরাও নির্দলীয় নিরপেক্ষ,সবার অংশগ্রহন নিয়ে,উৎসবমুখর একটি পরিবেশে নির্বাচন আশা করি। সবাই যেন নিজের ভোটের অধিকার নিজে প্রয়োগ করতে পারে,সেই পরিবেশ চাই। সবার জন্য সমান অধিকার চাই।
আমি নিজে বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার পরে এখনও ভোট দিতে পারি নাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েও দিতে পারি নাই। আর বাকি যে নির্বাচন হয়েছে সে গুলোতে ইচ্ছে করে যায়নি। কারন আমি ভোট দেওয়ার আগেই জানি যে আমার ভোট গণনা করা হবে না। যে ভোট গণনা করা হবে না, সে ভোট না দেওয়াই ভালো । কারন ভোট দিতে গিয়ে শুধু শুধু সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই না। এই মাসের ১৫ তারিখ দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখ নির্বাচন হবে। সেই দিনও ভোট দিতে যেতে হবে কিনা এখনও শিউর করে বলা যাচ্ছে না। যদিও আমাদের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছে এবার ভোট দিনেই হবে, রাতে হবে না। এই কথা দ্বারা কি বুঝা যায়,আপনারাই বলেন। বর্তমানে জনগনের স্বাথের থেকে দলের স্বার্থ,ব্যাক্তির স্বার্থ বেশি বিবেচনা করা হয়।
আজ ৩০ তারিখ মনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। প্রার্থীতা যাছাই বাছাই করে হয়তো আঠারই ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ দিতে পারে। তার আগে আরো অনেক ঘটনটা গঠতে পারে সে গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। প্রতিক বরাদ্দের পরে কি হয় সেটা এখনো বুঝা যাচ্ছে না। যদি সম্ভব হয় মাঝে মাঝে আপডেট শেয়ার করবো। বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করলাম। আশা করি ব্লগটি পড়লে আপনারাও বুঝতে পারবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি বাস্তবতা নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট লিখেছেন। সত্যি আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক নয় বর্তমান একনায়ক তন্ত্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাছে। যেখানে সাধারণ জনগণ নিজের ভোটটাও দিতে পারছে না।অপেক্ষায় থাকব সামনে এমন আরো আপডেট পোস্টের জন্য।
জী আপু বর্তমান দেশের অবস্থা বলে লাভ নেই। দেখন সামনে কি হয়। ধন্যবাদ।
বেশ জটিল বিষয় নিয়ে আজ আপনি পোস্ট শেয়ার করলেন ।আপনি কিন্তু একটি অত্যন্ত সত্য টাইটেল লিখেছেন। এখন মনে বাংলাদেশের আসলে স্বার্থের জোয়ার বইছে। কি যে হবে আগামীতে সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে যাই হোক আমরা চাইবো যে দেশে ভালো একটি কিছু হোক। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আগামীতে হয়তো দেশ একটি ভালোই ঝাঁকি খাবে। তবে সেটা আমরা চাই না। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে বর্তমানে নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে । সবাই তাদের ক্ষমতায় এবং স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে। জনগণ এবং দেশের স্বার্থে কোন কিছুই করছে না যেটা খুবই দুঃখজনক। যেকোনো দল ক্ষমতায় আসলে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে কিছুই করার নেই এই ধারাবাহিকতা কত দিন চলতে থাকবে কেউই জানে না।
জী ভাইয়া এগুলো হলো স্বার্থের রাজনীতি। আল্লাহই জানে কি হয়। ধন্যবাদ।
ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না মানে হতে দেবে না। এখন নামমাএ একটা নির্বাচন করা তো দরকার। সেইজন্যই এসবের এতো আয়োজন। আমি এইবার প্রথম ভোট দেব। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমিও হয়তো ভোট দিতে পারব না। এরমধ্যে আবার সুযোগ পেয়ে বসেছে ঐ অসাধু ব্যবসায়ী রা। দফায় দফায় সবকিছুর দাম বৃদ্ধি করছে।
ঠিক বলছেন ভাই। আমরা আর তোমরা মিলে নির্বাচন হবে। যায়হোক দেখেন ভবিষ্যতে কি হয়। ধন্যবাদ।