ঘন কুয়াশায় সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার পথে যাত্রা।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ঘন কুয়াশায় সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার পথে যাত্রা করার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি মনযোগ সহকারে ব্লগটি পড়বেন।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে গত শুক্রবারে আমার মেজো মামা মারা গেছিলো। যার ফলে আমি শুক্রবারে ট্রেনে ঢাকা থেকে মামার বাড়িতে গিয়েছিলাম। শনি রবি দুইদিন অবরোধ আর নির্বাচন থাকার কারনে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। যার ফলে ঢাকা আসতে পারি নাই। আমার অলরেডি একদিন অফিস মিস হয়ে গেছে। তাই সোমবারের অফিস যেন মিস না হয়,আগের দিন থেকেই প্রস্তুুতি নিয়ে রাখলাম। সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। আমি যখন বাসা থেকে বের হচ্ছিলাম তখন দুই জন বাদে সবাই ঘুমাচ্ছিলো। কারন তখনও মসজিদে ফজরের আজান দিচ্ছিলো। বাহিরে প্রচুর শীত আর কুয়াশা ছিল।
রাস্তায় বের হয়ে দেখি কুয়াশায় রাস্তাঘাট অন্ধকার। দুই একজন মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে। রাস্তায় অটো রিকশার জন্য দাড়িয়ে না থেকে হাটা শুরু করলাম। চারপাচঁ মিনিট হাটার পরেই একটি অটো রিকশা পেয়ে গেলাম। সেই অটোতে চড়ে ভাদুঘর বাস স্টেশনে আসলাম। বাস স্টেশন যখন আসলাম তখন ঘড়িতে ৬টা বাজে। আমি সাধারনত ট্রেনে আসা যাওয়া করলেও আজকে বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে তিতাস ট্রেন ঢাকা আসে,সেটা পাঁচটা পঞ্চাশ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ত্যাগ করে। যার ফলে বাসে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেয়। ভাদুঘর বাস স্টেশন থেকে সোহাগ,তিশা,রয়েল,ব্রাহ্মনবাড়িয়া এক্সপ্রেস,উত্তরা,কাজী পরিহবন এগুলো ঢাকা আসা যাওয়া করে। আমি সোহাগ বাসের টিকেট নিলাম। কারন সব থেকে সোহাগের সার্ভিস ভালো।
আমি যে বাসের টিকেট সংগ্রহ করেছি সেটার নাম্বার হলো-১৫-০২৪৭। এটা আজকে তাদের তৃতীয় বাস। এর আগে দুইটি বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ত্যাগ করেছে। আমরা যে বাসে চড়ে বসলাম সেটার ড্রাইভারকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলা হলো। ভাদুঘর স্টেশন থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে বাসটি ছাড়লো। পৈরতলা স্টেশন এসে দশ মিনিট দাড়ালো। সেখান থেকে আরো দশবারোজন যাত্রী বাসে উঠলো। তারপর সেখান থেকে সোজা সরাইল বিশ্বরোড চলে আসলো। সেখানে বাস থামার পরে যাত্রীতে বাস পূর্ণ হয়ে যায়। উপরে যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা বিশ্বরোড এসে তুলেছিলাম।
সেখান থেকে বাস ছাড়ার পরে ভৈরব স্টেশন এসে দুই মিনিট যাত্রা বিরতি দিলো। সেখান থেকে দুইজন যাত্রী নিয়ে সোজা ঢাকার উদ্যেশে চলতে লাগলো। শহর বন্দর,খাল-নদী পেরিয়ে গাড়ি চলতে লাগলো। গাড়িতে যে যাত্রী আছে তাদের ৯০% মানুষ অফিসগামী। নির্বাচন উপলক্ষে বন্ধে গ্রামে গিয়েছিল। আজকে অফিস খুলার কারনে সবাই ঢাকা আসতেছে। মাঝখানে বাসটি আর কোথাও থামে নি। শুধু যেখানে যেখানে যাত্রী নেমেছে সেখানেই বাস থেমেছিল। আমি বাসের মধ্যে বসে বসে কিছুক্ষন ঘুমিয়েছিলাম। গাউসিয়া ফ্লাইওভারে উঠে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারপর আর ঘুম আসে নি।
সকাল ঠিক নয়টার সময় আমাকে সাইনবোর্ড স্টেশনে নামিয়ে দিলো। আমার অফিস শুরু হয়েছে নয়টা থেকে। তবে আজকে কিছুটা লেইট হলে তেমন কোন প্রবলেম হবে না। সাইনবোর্ড থেকে মৌমিতা বাসে চড়ে শিবুমার্কেট এসে নামলাম। তারপর সেখান থেকে অটো রিকশা দিয়ে অফিসের গেইটের সামনে আসলাম। অফিসের গেইট দিয়ে প্রবেশ করে দেখি ৯টা তেইশ বাজে। তারমানে তেইশ মিনিট লেইট হয়েছে। ফেইস দিয়ে হোটেলে গেলাম নাস্তা করতে। নাস্তা করে অফিসে এসে দেখি আমার দুইজন কলিগ এখনো আসেনি। আমি কম্পিউটার অপেন করে প্রত্রিকায় নজর দিলাম। আর এমন সময় আরো একজন কলিগ অফিসে প্রবেশ করলো। এভাবেই আমার সকালটা অতিক্রম হয়েছে। নিউজ পেপারে ইন্টারেস্টিং কোন নিউজ না পেয়ে কাজের প্রতি মনযোগ দিলাম।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের ব্লগের বিস্তারিত তথ্য। নিজের মত করে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি বিষয়টা বুঝতে আপনাদের কোন সমস্যা হবে না। আবার আগামীকাল নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | ঘন কুয়াশায় সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার পথে যাত্রা।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮ /০১/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
জীবনের তাগিদে খুব ভোরে ঢাকা শহরে আসার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমি কিছুদিন আগে ৩: ৪৫ এ বাসে করে ঢাকা শহরে এসেছি। আসলে ভাই চাকরিজীবন কি আর বলব আসতে হবে মানে আসতে হবে। আমি আবার বাসে উঠেই ঘুম দিই একটা। আসলে ভাই পরিস্থিতি যখন অনুকূলে থাকে না তখন এরকম ভাবে আসতে হয়। তবে আপনি ট্রেনে যাতায়াত করেন এটা খুব ভালো লাগলো শুনে।
আপনি তো আমার থেকে এগিয়ে, ৩.৪৫ মিনেটেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন। এটাই জীবন সংগ্রাম। ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া কর্ম বড় জিনিস। আমাদের প্রয়োজনে তাগিদে কতো কিছু করতে হয়। যাইহোক আপনি ভালো মতো এসে অফিস করতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।যদিও একটু লেট হয়েছি,আসলে জীবনের চেয়ে বড় কিছুই নেই । ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু কর্ম ছাড়া দুনিয়াতে আর কিছু নাই। একটু লেইট হলে কিছু হয় না। ধন্যবাদ।
আপনার মামা মারা গিয়েছেন তাই বাড়ি গিয়েছিলেন।কাজের তাগিদে আবার ঢাকায় ফিরতে হলো।আপনি খুব ভোরে রওনা দিলেন।চারিদিকে কুয়াশা ছিল।সোহাগ বাসে রওনা দিলেন।অফিস ৯ টায়। আপনি ৯ টার সময় বাস থেকে নামলেন।এরপর অফিস যেতে আপনার ২৩ মিনিট লেট হলো।যাক সুন্দর মতো এসে পৌঁছে গেলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আপনি ব্লগটি পড়েছেন,সে জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু ২৩ মিনিট লেইট কিছু হয় না। ১১ টার আগে আসতে পারলেই হয়। ধন্যবাদ।