কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করো নিজেকে-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি বিভিন্ন সময়ে সংগ্রহ করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আপনারা সবাই কমবেশি ঘূর্ণিঝড় রিমাল সম্পর্কে অবগত আছেন। মোটামুটি দুইদিন যাবৎ তান্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বিনাশ হয়ে গেছে। তবে যাওয়ার সময় অনেক স্বাক্ষী রেখে গেছে। পত্রপত্রিকা অনলাইনে অনেক বিডিও ছবি দেখতে পারবেন। মোটামুটি ভালোই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবাই আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। যায়হোক গতকাল একটি বিষয় লক্ষ করলাম যে,ঘূর্ণিঝড়েরর প্রভাবে আমাদের দিকে প্রায় চব্বিশ ঘন্টা বৃষ্টি হয়েছে। আর রাস্তায় কি পরিমান পানি জমা হয়েছে,সেটার ছবি আপনারা গতকাল আমার ব্লগের মধ্যে দেখেছেন। তারপরও গরম কমে নাই। রাস্তায় হাটু পানি থাকলেও উপর দিয়ে কপাল ঘামে ভিজে যায়। কিছুদিন আগে যে ভাবসা গরম ছিল,সেটা কিন্তুু কমে নাই। গতকাল হালকা রোদ উঠেছিল। তাতেই আগের গরম ফিরে এসেছে।
আজকে সকাল বেলা অফিসে আসার সময় দেখলাম ভালোই রোদ উঠেছে। সেই সাথে গরম বাড়ছে। ঘরের ফ্যানটা একটু রেষ্ট নিতে পারলো না। বৃষ্টিতেও ফ্যান চলে,আর গরমেও ফ্যান চলে। শীতের দিন না আসা পর্যন্ত ফ্যান ঘুরা বন্ধ হবে না। আজকে ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরের বিভিন্ন কিছু চিত্র তুলে ধরবো। চলুন তাহলে দেখা যাক।
এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি গত শুক্রবারে যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের পকেট গেইট থেকে। যারা যাত্রাবাড়ি আড়ৎ থেকে বাজার সদাই করেন,আর যারা ফ্লাইওভার দিয়ে যাত্রবাড়ি নামেন তারা এই গেইটটা ব্যবহার করে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন এক ব্যাক্তি ট্রেতে করে কিছু লিচু নিয়ে দাড়িয়ে আছে। যারা এদিক দিয়ে আসা যাওয়া করে তাদের পছন্দ হলে লিচু কিনে নিয়ে যায়। লোকটি রোদের কারনে পাশে একটি ছোট গাছের ডালপালা ধরে দাড়িয়ে রোদ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। দেখেন মানুষ প্রচন্ড রোদের মধ্যে গাছের অভাব অনুভব করছে।
এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচ থেকে। সকাল থেকে মালামাল ক্যারি করে শ্রমিকরা ক্লান্ত হয়ে ভ্যানগাড়িতে ঘুমিয়ে গেছে। আমরা কত আরামে থাকি। উপরে ফ্যান চলে,চার পাশে কোন সাউন্ড নাই, খাটের উপর জাজিম রেখে আরামে ঘুমাতে যায়। তারপরও আমাদের ঘুম হয় না। ঔষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয়। আর তাদের কোন ফ্যান লাগে না,আরামের বিছানা লাগে না, ভ্যানগাড়িতেই ঘুমিয়ে গেছে। দুই পাশ দিয়ে শত শত গাড়ি আসা যাওয়া করছে। তবুও তাদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে না। জীবন অনেক কঠিন।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের ১৬ অথবা ১৭ই জুন বাংলাদেশে মুসলমানদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করা হবে। সেই উপলক্ষ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পশুর হাট বসবে। পশু বেপারীরা বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল থেকে বড় বড় পশু গুলো ঢাকায় নিয়ে আসে। অলরেডি পশু আসা শুরু হয়ে গেছে। তাদের খাবার হিসাবে এই ঘাস গুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছুদিন পর থেকেই পশুর হাটের ছবি দেখতে পারবেন।
উপরের ছবিতে যে পানিটা দেখা যাচ্ছে সেটাকে কেউ আবার হলুদের পানি বা শরবত মনে করে ভুল করবেন না। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে বৃষ্টি হয়েছে,সেই পানি রাস্তায় জমে আছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু টেক্সটাইল কোম্পানির লোক তাদের ইটিপির পানি ছেড়ে দিয়েছে। বৃষ্টির পানির সাথে ক্যামিকেল যুক্ত পানি মিশে যাওয়ার কারনে পানির কালার পরিবর্তন হয়ে গেছে। যার ফলে রাস্তার মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। গতকাল লাঞ্চে যাওয়ার সময় এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম।
গত পরশুদিন ময়লা পানির সাগর পাড়ি দিয়ে লাঞ্চের সময় বাসায় গিয়েছিলাম। আসার সময় অফিসের পাশে টাইম সুয়েটার কোম্পানির আম গাছের নিচ থেকে এইটি আমটা কুড়িয়ে পেয়েছি। আসার সময় আমটা নিয়ে এসেছিলাম। ঘূর্ণিঝড়ের রিমালের প্রভাবে আমার উপকার এতটুকু হয়েছে যে আমি একটি আম কুড়িয়ে পেয়েছি,হে হে হে। অফিসে এনে সবাই মিলে আমটা কেটে খেয়েছি। তবে আমটা প্রচুন্ড টক।
আমাদের অফিসের ছাদে বিদুৎ এর অভাব পুরন করার জন্য সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। যদি কোনসময় বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয় তখন এখান থেকে বিদ্যুৎ সাপলাই দেয়। ঐদিন বৃষ্টির সময় ছাদে গেছিলাম বৃষ্টি দেখার জন্য। দুর থেকে দাড়িয়ে ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম। এত বৃষ্টি পড়ছে তারপরেও এগুলোর কোন ক্ষতি হয় না। একটু রোদ উঠলেই চার্জ হয়ে যায়। এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা কম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৯ /০৫ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিভিন্ন বিষয়ের রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার ধারণ করা আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে সব ফটো শেয়ার করেছেন। যেখানে রাস্তার লিচু বিক্রেতার সংগ্রামী জীবন সবুজ ঘাস এদিকে সৌর প্যানেলের সার্ভিস সমস্ত বিষয়গুলো বেশ দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এলোমেলো পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।
লিচু বিক্রেতার অবস্থাটা দেখে আমার নিজের কাছেই অসহায় লেগেছে। ধন্যবাদ।
এলোমেলোভাবে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। তবে বৃষ্টির পানি শরবতের মতো দেখাচ্ছে। এই পানিটা কিন্তু মানুষের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। কেননা বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে কেমিক্যাল মেশানো পানি ছেড়ে দিয়েছে। যাইহোক এরকম ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু প্রায় সময় বৃষ্টি হলেই তারা ক্যামিকেলের পানি রাস্তায় ছেড়ে দেয়। আর মানুষ কষ্ট করে। বলার কেউ নেই। ধন্যবাদ।
ভাই আপনার প্রতি একটি ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ঘূর্ণিঝড়ে আপনার লাভ বলতে একটি ঘূর্ণিঝড়ে আপনার লাভ বলতে একটি আম পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। টেক্সটাইল কোম্পানির মালিকরা তো সুযোগ সন্ধানী মনে হচ্ছে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া আমার লাভ বলতে আমি একটি আম পেয়েছি,হে হে হে। ধন্যবাদ।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল আমাদের এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে গাছপালার ক্ষতি বেশি হয়েছে। যাইহোক আপনার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। শ্রমিকরা ক্লান্ত হয়ে ভ্যানগাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছে এই ফটোগ্রাফির সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঢাকা শহরে প্রায় সময় দেখায় যায় ক্লান্ত মানুষ ভ্যানগাড়িতে,রিকশায় ঘুমিয়ে থাকে।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার শেয়ার করা প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ অসাধারণ ছিল। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বৃষ্টির পানির ফটোগ্রাফি। তবে পানির মধ্যে ক্যামিকেল ছেড়ে দেওয়ার কারণে মানুষের অনেক ক্ষতি হতে পারে ভাই। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির নিচে আপনি বেশ দারুন ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী এগুলোতে ক্যামিকেল মেশানো থাকে। ফলে অনেক ক্ষতি হয়।
গত কয়েকদিন ধরে এই ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে আশেপাশের পরিবেশটা অনেকটাই উল্টাপাল্টা হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলো এই ব্যাপারটা খুব কাছ থেকে অনুভব করেছে। যাইহোক চমৎকার একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফিক পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব জায়গাতে কমবেশি অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি এবং রাস্তাঘাট গাছপালা নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে আপনি ভিন্ন রকম কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন ।তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া রিমাল মোটামুটি ভালোই ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ধন্যবাদ।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এলোমেলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখা যায়। আপনি আজকে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি তুলে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্ৰাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু চেষ্টা করেছি,বিভিন্ন জায়গা থেকে ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করতে। ধন্যবাদ।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। আম দেখে তো লবণ মরিচ দিয়ে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ক্যামিকেল যুক্ত হয়ে পানি হলুদ হয়ে গিয়েছে। আমি তো মনে করেছি কেউ শরবত ঢেলে দিয়েছে। শ্রমিকরা ক্লান্ত হয়ে ভ্যানগাড়িতে ঘুমিয়ে গেছে তারা সত্যি জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ। ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া বৃষ্টি হলেই কিছু ক্যামিকেল কোম্পানি তাদের ইটিপির পানি ছেড়ে দেয়। ফলে পথচারীদের অনেক কষ্ট হয়। ধন্যবাদ।