ছাদ বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ছাদ বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।

বন্ধুরা কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে আমার এক ভাইয়ার বাসায় দাওয়াত খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেদিন খাওয়া-দাওয়া করে আমি আর ভাইয়া তাদের বাসার ছাদে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তাদের বাসার ছাদে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছে।

তাদের ছাদের সবজি গুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যার ফলে আমি মোবাইল হাতে নিয়ে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। তাদের ছাদে ধনিয়া পাতা, পুঁইশাক পাতা, বেগুন, শিম,পুদিনা পাতা, পেয়ারা, সরিষা ফুল সহ আরো অনেক প্রকারের গাছ দেখতে পেলাম। আমি যে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছি সেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি প্লাস্টিকের গামলার মধ্যে ধনিয়া পাতা চাষ করা হয়েছে। পাতাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বড় হচ্ছে। এখানে ধনিয়া পাতার বিচিগুলো ফেলানো হয়েছে বেশিদিন হয়নি। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই ধনিয়া পাতা খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যাই।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি প্লাস্টিকের ডাম কেটে পুদিনা পাতার চাষ করা হয়েছে। এই পুদিনা পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই পুদিনা পাতা ঝালমুড়ি,চায়ের সাথে এবং সালাদ সহ অনেকভাবে খাওয়া যায়। পাতাগুলো খুব সুন্দর ভাবেই গজিয়েছে।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন তারা সরিষা গাছও চাষ করেছে। এই সরিষাও সবজি হিসেবে অথবা শাক রান্না করে খাওয়া যায়। বাগানের মালিক বেশি অংশ সবজি এবং শাক পাতার দিকে গুরুত্ব দিয়েছিল।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন পুঁইশাক পাতার ফল বা ডিম। যখন পুঁইশাকের মৌসুম শেষ হয়ে যাই তখন পুঁইশাক গাছের মধ্যে এমন ডিম ফুটে। এগুলো রান্না করে খাওয়া যায়। আমাদের সবার প্রিয় উইন্কলেস দাদা অনেকবার এই পোশাকের ডিমের রেসিপি দিয়েছেন। এখানে কিছু পুঁইশাকের ডিম পেকে গেছে।

এখানে তারা সুস্বাদু সবজি লাউয়ের চাষও করেছে। তবে লাউ গুলো এখনো বড় হয়নি। মাত্র গাছের মধ্যে লাউয়ের ফুল ফুটেছে। লাউয়ের আগা ডগা পাতা সবই রান্না করে খাওয়া যায়। লাউয়ের পাতা দিয়ে এক প্রকারের বরা ও বানানো যায়।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি বেগুন গাছের মধ্যে বেগুন ধরেছে। গাছটি খুবই ছোট কিন্তু অনেক বড় একটি বেগুন ধরেছে। যদিও বেগুনটি কিছুটা বাঁকা, তবে বাঁকা বেগুন খেতে কোন সমস্যা নেই। নিজের বাগানে চাষ করা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিতে হবে। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন। মশার উপদ্রপ বেড়ে যাচ্ছে,বাসার চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।