ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রা-অন্তিম পর্ব।।
আমার বাংলা ব্লগ-
বাংলাতে শেয়ার করো তুমার মনের অনুভূতি।।
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে “ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রা”-অন্তিম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনারা সবাই আমার অনুভূতি গুলো বুঝতে পারবেন।
আমি গত পর্বে আপনাদেরকে বলেছিলাম যে আমরা দুই বন্ধু টিকেট বুথ থেকে টিকেট সংগ্রহ করে ইলেক্ট্রনিক সিড়ি দিয়ে উপরে যাচ্ছি। আমরা নিচে টিকেট সংগ্রহ করতে করতে দুই তিন বার মেট্রোরেল আসা যাওয়ার সাউন্ড শুনতে পেলাম। একটি মেট্রোরেল স্টেশনের উপর নিচে তিনটি স্তর দেখতে পেলাম। একেবারে নিচ দিয়ে মানুষ এবং বাস, ট্রাক, প্রাইবেটকার, রিকশা, সাইকেল সহ সাধারন যানবাহন যাতায়ত করে। আর দ্বিতয় তলায় মেট্রোরেলের টিকেট সংগ্রহ করা হয়। আর তৃতীয় তলা দিয়ে মেট্রোরেল যাতায়ত করে। সিস্টেমটা খুবই সুন্দর।
উপরে উঠে দেখতে পেলাম লাইনে কোন মেট্রোরেল নেই। আমার মত আরো অনেকে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে। দুই পাশের দুইটি ফটোগ্রাফি নিলাম। মেট্রো স্টেশনের উপরের ছাদটাও খুব মজবুত করে বানানো হয়েছে। যেদিক দিয়ে মেট্রোরেল আসবে সে পাশটা খুলা আছে। বাকি সব দিক দিয়ে গ্লাস দিয়ে আটকানো। উপরের দিকে একপ্রকার সাদা টিন ব্যবহার করা হয়েছে,যেন দিনের আলোতে স্টেশনটা আলোকিত থাকে। এখানে সাধারন ট্রেনের মত টিকেটের মধ্যে কোচ/বগি বা সিট নাম্বার লেখা নেই। যার যার সুবিধা মত যে কোন বগিতে উঠতে পারে। তবে সাবধান থাকতে হবে প্রত্যেকটা বগিতে একটি দরজা রয়েছে,আর এটি দিয়েই উঠতে ও নামতে হবে। বিপরিত পাশ দিয়ে উঠানামা করা যাবে না। আবার রাস্তা পারাপার হয়ে অন্য পাশেও যাওয়া যাবে না। নির্ধারিত জাগায় এসেই দরজা খুলবে।
স্টেশনের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ঘড়ি,ব্যাটারি চালিত ঘড়িও রয়েছে। আবার অটো ডিসপ্লে রয়েছে,মেট্রোরেল কোথায় আছে,কখন স্টেশনে এসে পৌছাবে,কখন ছাড়বে সব কিছু দেখা যায়। এই মেট্রোরেল আবার তেমন লেইট করে না। সর্বউচ্চ ত্রিশ সেকেন্ড থেকে একমিনিট লেইট করে। উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কারা লিফট ব্যবহার করতে পারবে তার নির্দেশনা দেওয়া আছে। যারা সিড়ি দিয়ে উঠতে অক্ষম একমাত্র তারাই লিফট ব্যবহার করতে পারবে।
প্রত্যেকটা স্টেশনে এমন ভাবে নেইম প্লেটে স্টেশনের নাম লেখা আছে। সিস্টেমটা খুবই সুন্দর,দেখে ভালোই লাগছে। আমরা বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশন থেকে উঠেছিলাম, তাই সেখান থেকে একটি পিক নিলাম। তারপর কারওয়ান বাজারে একটি কাজে নেমেছিলাম,সেখান থেকে একটি পিক নিলাম। কিন্তুু মিরপুর গিয়ে নেমে আর পিক তুলা হয়নি।
অবশেষে মেট্রোরেলের দেখা পেলাম। আমরা স্টেশনে তিন চার মিনিট দাড়ানোর পরেই মেট্রো চলে আসলো। সবাই দাড়িয়ে মেট্রোকে দেখতেছে আবার আমার মত কেউ কেউ ফটোগ্রাফি করছে। নির্ধারিত জাগায় এসে মেট্রো থামলো। এক ইন্চি এদিক সেদিক হয় না। বাউন্ডারীর দরজা আর মেট্রোরেলের দরজা এক জাগায় এসে খুলে যায়। নিরাপত্তা কর্মীরা বাউন্ডারিতে স্পর্শ করতে দেয় না। তারা বাশিঁ বাজিয়ে যাত্রীদের সতর্ক রাখে।
দেখেন ভিতরে মানুষে ঠাসা,সিট তো দুরের কথা দাড়িয়ে যাওয়ারও জায়গা নেই। বাসের জানজট থেকে রক্ষা পেতে সবাই মেট্রোতে চলাচল করে। প্রত্যেকটা মেট্রোরেলের মধ্য মহিলাদের জন্য একটি বগি নির্ধারন করা আছে। আর সেটা হলো সবার আগের বগিটা। ঐ বগিটাতে এত মানুষের চাপ নেই। কারন অল্প কিছু মহিলাকে দেখলাম ঐ বগিতে। পুরুষরা ঐ বগিতে যেতে পারে না। আমি ভিতরে প্রবেশ করে একপি পিক নিলাম। হাতলে ধরারও জায়গা নেই।
ভিতরে প্রবেশ করে জানালা দিয়ে দুইটি ফটোগ্রাফি নিলাম। সম্পূর্ণ মেট্রোরেলে এসি করা। তাই দাড়িয়ে গেলেও তেমন গরম লাগে না। জানালা খুলা যায় না। তাই গ্লাসের উপর দিয়েই ফটো নিলাম। একটি নিলাম ফার্মগেট থেকে আর একটি কোথায় থেকে নিয়েছি সেটা মনে নেই। মেট্রোরেলে উঠে মনে হয় আকাশ দিয়ে ভ্রমন করেছি। কেউ যদি টিকেট নেওয়ার পরে মেট্রোরেলে উঠতে না পারে,তাহলে পরের মেট্রোরেলের জন্য অপেক্ষা করবে। টিকেটে নির্ধারিত কোন মেট্রোরেল নেই। তাই তারাহুড়ো করার কিছু নেই। ধীরে ধীরে উঠানামা করা উচিত।
সারা রাস্তা দাড়িয়ে অবশেষে মিরপুর যাওয়ার এক স্টেশন আগে একটি সিট পেলাম। সিটে বসতে বসতেই এক স্টেশন থেকে অপর স্টেশন চলে আসে। তাই তেমন কেউ বসার আগ্রহ দেখায় না। কোন যানজন নেই,ঝাঁকি নেই,গরম নেই তাই পাঁচ সাত মিনিটি দাড়ালে তেমন কষ্ট হয় না। মেট্রোতে সিটে বসে যায় সর্বউচ্চ ত্রিশ জন আর দাড়িয়ে যায় একশতের উপরে। যায়হোক মেট্রোরেলের জার্নিটা দারুন ছিল। খুবই ভালো লেগেছে। যাদের বাসা,অফিস মেট্রোরেলের এড়িয়াতে আছে,তাদের ভাগ্য অনেক ভালো। দারুন একটি যাতায়তের ব্যবস্থা হয়েছে।
আজকে আর বাড়াবো না। বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রা-অন্তিম পর্ব।। |
স্থান | মিরপুর,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৬ /০২ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রা-অন্তিম পর্ব। আপনারা দুই বন্ধু মিলে টিকিট সংগ্রহ করে যাত্রা শুরু করেছিলেন পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ভিতরে প্রবেশ করার পরে জালানা দিয়ে বেশ সুন্দরভাবে দুইটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া প্রথমবাারের মত মেট্রোরেল যাত্রা করলাম। ধন্যবাদ।
উপরের কথা গুলো পরে ভীষণ ভালো লাগলো। যদিও আমি এখনো মেট্রোরেলে যাইনি তবে আপনার লেখা অনূভুতি এবং ফটোগ্রাফি দেখে যাওয়ার ইচ্ছে হলো। খুব তাড়াতাড়ি যাবো ইনশাআল্লাহ। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
জী ভাইয়া আপনি তো মেট্রোরেলের আশে পাশেই থাকেন মনে হয়। হঠাৎ করে একদিন চলে যাবেন। ধন্যবাদ।
মেট্রোস্ট রেলে উঠানো অনুভূতিটা দারুন ছিল ওয়াও এত সুন্দর রেল লাইন ও পরিবেশ সম্পর্কে আমি জানতে পেরে খবর খুবই ভালো লাগছে। আমার ইচ্ছা ছিল যে মেট্রোরেলে একবার উঠবো তবে মনে হচ্ছে এটা খুব শীঘ্রই করা লাগবে কারণ এত সুন্দর জায়গা এবং এত সুন্দর মুহূর্ত কখনোই মিস করা যাবে না।
জী ভাইয়া মেট্রোরেল ভ্রমনটা করে ফেলেন। ধন্যবাদ।
মেট্রোরেলে ওঠার আপনার প্রথম অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আর আপনার অনুভূতির মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক তথ্য প্রকাশ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আর আমারও ইচ্ছে জাগলো কবে আমিও উঠতে পারবো।
জী ভাইয়া অনেক তথ্য দিয়ে ব্লগটি শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।
মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রার আগেকার পর্বগুলো অবশ্য দেখা হয়নি তবে আজকে অন্তিম পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমিও এর আগে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছিলাম তবে এখনকার মত এতটা ভীড় হতো না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
আগের পর্বে টিকেট নিয়ে আর মেট্রোরেলের কিছু তথ্য শেয়ার করেছিলাম। ধন্যবাদ।