গ্রামে চাষকৃত কিছু সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করো নিজেকে-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে গ্রামে চাষকৃত কিছু সবজি ফুলের চিত্র তুলে ধরবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বন্ধুরা হঠাৎ আমি গতকালকে একদিনের ছুটি নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। ফ্যামিলিকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আজকে রাতের ট্রেনে ঢাকা চলে যাবো, ইনশাআল্লাহ। যেহেতু গ্রামে এসেছি যদি গ্রামের কিছু চিত্র আপনাদের সাথে তুলে না ধরি তাহলে মনটা ছটফট করবে। আজকে সকালবেলা নাস্তা করে গ্রামের ভিতরে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু চিত্র মোবাইলের মাধ্যমে ফটোগ্রাফি করেছি। ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে অনেক মানুষের সাথে কথা হয়েছে। এমন অনেক মানুষকে আজকে দেখেছি যাদেরকে আমি গত তিন চার বছর ধরে দেখি নাই। অনেক মানুষ আছে যারা আমাকে প্রথম দেখায় চিনতে পারে নাই। পরে পরিচয় দেওয়ার পরে চিনতে পেরেছে। গ্রামে ঘুরাঘুরি করার পরে মন চাইতেছে গ্রামে থেকে যাই। আম্মু বলতেছিল ঈদ পর্যন্ত থেকে যেতে। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। আমাদের পাড়াটা আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। শুধু যে আমাদের পাড়া তা নয় সারা গ্রামের মধ্যেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যাইহোক মোটামুটি আমাদের পাড়াটা ঘুরেছি ভালোই লেগেছে। এখন নিচে প্রাকৃতিক চিত্রগুলো তুলে ধরছি।
একবাড়ির উঠোনের মধ্যে বেশ কিছু বেগুন গাছ দেখতে পেলাম। বেগুন গাছের মধ্যে তেমন বেগুন দেখতে পাইনি তবে অনেকগুলো ফুল দেখেছি। তারা হয়তো বেগুনগুলো পেরে খেয়ে ফেলেছে অথবা বাজারে বিক্রি করে ফেলেছে। আবার কিছু নতুন ফুল এসেছে। কিছুদিন পরে এই ফুলের মাধ্যমে গাছগুলোতে বেগুন আসবে। কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আর বৃষ্টির পানি পেয়ে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজেছে। গ্রামের যে পুকুর গুলোতে এ সময়ে পানি থাকে না, যে খাল গুলো এ সময় পানির অভাবে খাঁ খাঁ করে, সে খাল গুলোতে অনেক পানি দেখলাম। পুকুর পাড়ে খালের কিনারে নতুন নতুন সবজি চাষ দেখতে পেলাম। প্রচন্ড রোদের কারণে আর তেমন বেশি ফটোগ্রাফি করি নাই।
এখানে আপনারা তিনটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন।এগুলির মধ্যে এক প্রকারের কালো কালো ফসল হয়ে থাকে। এগুলির নামটা সম্ভবত তিল ফসল হতে পারে। এগুলো আমাদের দিকে আগে প্রচুর পরিমাণে চাষ কত। কিন্তু ইদানিং তেমন দেখা যায় না। আমাদের দিকে আগে ধান, গম, খিরা, গ্যান্ডারী, পাট, তিল, মাশলাই, তিশি,বাদাম সহ আরো অনেক কিছু চাষ হতো। কিন্তু এখন আমাদের দিকে ধীরে ধীরে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। সবাই চাষবাস ছেড়ে দিচ্ছে। আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো একটি পরিত্যক্ত খালি জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। এখানে তেমন কিছু চাষ করে না। তবে আজকে গিয়ে দেখি এখানে কয়েক প্রকারের সবজি সহ তিল ফসল চাষ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি যে ফসলটা লক্ষ্য করলাম সেটা হল কলা। প্রত্যেক বাড়িতেই কলা গাছ রয়েছে। অনেক বড় বড় কলা ধরে। আর নারিকেল গাছের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। যার ফলে নারিকেলের দামও বেড়ে যাচ্ছে। এখন একজোড়া নারিকেলের দাম ১৫০ টাকা।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুটি ঢেড়স ফুল। এগুলো ও এক বাড়ির আঙ্গিনা থেকে সংগ্রহ করেছি। ফুলগুলি দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। প্রথম দেখায় যেকোনো মানুষের হৃদয় কেড়ে নিবে। এখন ঢেড়সের সিজন চলতেছে। ফুলগুলোর সাথে ঢেড়সও দেখা যায়। ঢেড়স গাছের প্রতি ডগায় ডগায় ঢেড়স ধরে থাকে। ঢেড়স খুবই ভিটামিনযুক্ত একটি সবজি। আগের দিনে পরিত্যক্ত জায়গার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবচেয়ে চাষ হতো। আমি নিজের সাক্ষী ছোট সময় ঢেড়স ক্ষেত থেকে, পেঁপে ক্ষেত থেকে, শসা ক্ষেত থেকে, সরিষা ক্ষেত থেকে, মাসকলাই ক্ষেত থেকে গরুর জন্য ঘাস কেটেছি। অথচ এখন এক ধান ছাড়া আর কোন ফসল দেখা যায় না। মানুষ ফসল চাষ করা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বাংলাদেশ কিশোর উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন সবাই প্রবাসীদের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে সেগুলি দিয়ে সংসার চালাই। একজনের উপরে পাঁচজন নির্ভর করে। আমরা যদি নিজেদের জন্য কিছু চাষবাস করতাম তাহলে নিত্যপণ্যের দাম এত বৃদ্ধি পেত না। যাইহোক আর কথা বাড়াচ্ছি না রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে এই ব্লগটি পাবলিশ করতেছি। এ সময়ে কেন রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি সেই ইতিহাস আগামীকাল শেয়ার করবো, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | গ্রামে চাষকৃত কিছু সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ৩০ /০৫ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ভাইয়া গ্রাম এখন আর গ্রাম নেই। গ্রাম এখন আমার মনে হয় শহর থেকে অনেক উন্নত। গ্রামে হঠাৎ আসলে এমন হয়। যাক এসে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করছেন। তবে সত্যি বলতে গ্রামে থাকার যে শান্তি এইটা কিন্তু শহরের মাটিতে খুজে পাবেন না। যাইহোক গ্রামে এসে কিছু সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। সব গুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর সাথে বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু গ্রাম এখন শহরের মত হয়ে যাচ্ছে। আর কিছুদিন পরে গ্রাম শহর সব এক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদিনের ছুটি নিয়ে ফ্যামিলিকে গ্রামের বাড়িতে রাখতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে গ্রামে গেলে এরকম শাক সবজি গুলো অনেক দেখা যায়। আর সবজির ফুল গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।
জী আপু গ্রামে গেলে শাকসবজি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে।
গ্রামের কৃষি ক্ষেত থেকে ধারণ করার খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থেকে আমার কাছে ঢেঁড়স এর ফুলের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।
জী ভাইয়া ঢেঁড়স গুলো আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। গ্রামে ঘুরতে গিয়েছেন আর তার কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন না তা কি হয়। তবে গ্রামে বেশি বেশি যাওয়া আসা না থাকলে গ্রামের আত্মীয় স্বজনেরা অনেক সময় চিনতে পারেনা।যাইহোক গ্রামে গিয়ে চাষকৃত বেশ কিছু সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে ঢেরস আর তিল ফুল প্রথম দেখলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। সুন্দর কিছু চাষকৃত সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু গ্রামের প্রকৃতির কিছু চিত্র তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আগে মানুষ কৃষকের উপর নির্ভরশীল ছিল ।কিন্তু এখন মানুষ প্রবাসের দিকে তাকিয়ে থাকে। আপনার তোলা গ্রামে চাষকৃত কিছু সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে ।সবথেকে ঢেরসের ফুলটি বেশি চমৎকার লাগলো।
এখন সবাই বিদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। সেখান থেকে অর্থ আসলে খরচ করে। নিজেরা ইনকাম করতে নারাজ। ধন্যবাদ।
বেগুন, তিল, ঢেরস ফুলের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই সুন্দর লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো।অনেক দারুন বর্ননা দিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া,আশা করি সবসময় পাশে থাকবেন।
বেশ কিছু সবজির ফুলের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। তবে এর মধ্য থেকে বেশ কিছু সবজি আমাদের নিজেদের পুকুরপাড়ের বাগানের মধ্যে রয়েছে। যাহোক খুবই ভালো লেগেছে এত সুন্দর ফুল গুলো দেখে।
জী আপু আমি জানি আপনাদের পুকুর পাড়ে অনেক রকম সবজি আছে। ধন্যবাদ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চা করা সবজি ফুলের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। বিশেষ করে ঢেঁড়স ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া চেষ্টা করেছি,সুন্দর ভাবে ফুলের ছবি গুলো শেয়ার করতে। ধন্যবাদ।