হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রতিদিনের মত আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো চমৎকার স্বাদের লইট্টা শুটকীর বেগুন ভুনা রেসিপি। চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।

বন্ধুরা আপনারা অনেকে হয়তো জানেন যে, অনেক মানুষের শুটকির প্রতি একটা নেশা আছে। আর সেই নেশাটি আমারও রয়েছে। গত কাল রাতে আমি লইট্টা শুটকীর বেগুন ভুনা রেসিপি তৈরী করেছিলাম। আমি সাধারনত রমজান মাসে ইফতারির পরে সেহরীরর আগে কোন খাবার খায় না। তবে গত কালকের শুটকি ভুনাটা এত মজা হয়েছে যে,ভাত না খেয়ে আর থাকতে পারলাম না। একটি প্রবাদ আছে,“ঘ্রানেই অর্ধ ভোজন”। গত কাল আমার ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। এই শুটকিটা আমি আগে শুধু ভুনা করে খেয়েছিলাম। গত কাল বউ বললো সাথে বেগুন দিয়ে রান্না করতে। তাই সাথে দুইটি বেগুন দিয়েছিলাম।

আপনারা হয়তো জানেন লইট্টা শুটকি অনেক দাম। সাধারনত অনেক মানুষ লইট্টা শুটকি পছন্দ করে। শুটকি গুলো আমাদের জেলা ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে এনেছিলাম। বেশ কয়েক দিন হয়ে গেল ফ্রিজে ছিল। বেশিদিন ফ্রিজে রাখলে শুটকি গুলো আবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই গত কাল পেটে চালান করে দিলাম। চলুন এখন বিস্তারিত বর্ণনা করছি।

প্রয়োজনীয় উপকরন-

• লইট্টা শুটকি
• বেগুন দুইটি
• আলু একটি
• টমেটো একটি
• পেঁয়াজ কুচি
• রসুন বাটা
• আদাঁ বাটা
• কাচাঁ মরিচ
• লবন
• হলুদের গুড়া
• জিরা গুড়া
• মরিচের গুড়া
• সয়াবিন তেল
• পানি

ধাপে ধাপে লইট্টা শুটকীর বেগুন ভুনা রেসিপি তৈরীর বিবরণ দেখানো হলো:-

প্রথম ধাপ:-

প্রথমে লইট্টা শুটকি গুলো কেটে টুকরা টুকরা করে ভাজা ভাজা করে গরম পানিতে ছেড়ে দিলাম। পাঁচ থেকে সাত মিনিট ভিজিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম।

দ্বিতীয় ধাপ:-

তারপর কড়াই বসিয়ে পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা গরম হওয়ার পরে কুচি করে রাখা পেয়াঁজ গুলো দিয়ে দিলাম।

তৃতীয় ধাপ:-

পেয়াঁজ গুলো হলুদ হওয়ার পরে আদাঁ রসুন দিয়ে দিলাম। তারপর হলুদের গুড়া,মরিচের গুড়া,জিরার গুড়া গুলো একটি পাটিতে নিয়ে একটু পানি দিয়ে সব গুলো এক সাথে মিক্স করে কড়াইতে দিয়ে দিলাম।

চতুর্থ ধাপ:-

তারপর সব পেয়াজঁ রসুন সহ গুলো মশলা ভালভাবে মিক্স করে সিদ্ধ করে রাখা শুটকি গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম।

পঞ্চম ধাপ:-

এই পর্যায়ে শুটকি গুলো কিছু সময় কষিয়ে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিলাম।

ষষ্ট ধাপ:-

অল্প একটু পানি দিয়ে আলু গুলো সিদ্ধ হলে বেগুন গুলো দিয়ে দিলাম। যদি আলুর সাথে বেগুন গুলা দিতাম তাহলে বেগুন গুলো গলে যেত। তাই দেরি করে বেগুন গুলো দিয়েছি।

সপ্তম ধাপ:-

বেগুন গুলো হালকা সিদ্ধ হওয়ার পরে টমেটো আর কাচাঁ মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর দশ থেকে পনের মিনিট বসিয়ে রেখে রান্না শেষ করে দিলাম।

পরিবেশন

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের লইট্টা শুটকীর বেগুন ভুনা রেসিপিটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন প্রকার ভুল হয়,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।