সকাল বেলা নদী ভ্রমণ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আমার আজকের ব্লগের বিষয় হল নদী ভ্রমণ সম্পর্কে। আশা করি আমার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গতকালকে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছি। আমার শশুড় বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত তিতাস নদী বেশি দূরে নয়। বাড়ি থেকে হেটে গেলে চার থেকে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে হাঁটতে গিয়েছিলাম।
সকাল বা বিকাল বেলা নদীর পার দিয়ে হাটতে ভীষণ ভালো লাগে। এই নদীর পাড় দিয়ে আমি অনেকবার হাটাহাটি করেছি। আমার মত অনেক মানুষ সকাল বিকাল এই নদীর পাড় দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে থাকে। রাতের বেলা নদীর পাড়ে অনেক প্রকারের নৌকা বাঁধা থাকে। সেই নৌকার উপরে বসে সময় কাটালে শরীরে ঠান্ডা হাওয়া লাগে। ওই সময় মনের মাঝে অন্যরকম একটা ফিলিংস চলে আসে।
নদীতে এখনো পুরোপুরি পানি আসে নাই। তবে নদীর মধ্যে নৌকা চলাচল শুরু হয়ে গেছে, অনেকদিন আগে থেকেই। আমি যখন নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন নৌকাগুলো নদীতে মাছ ধরার জন্য চলে গিয়েছিল। নদীকে দেখলে নিজের মনটাও বিশাল হয়ে যায়। নদীর বিশালতা দেখে মনে মনে ভাবি এত পানি কোথায় থেকে আসলো আবার কোথায় হারিয়ে যাই। এগুলো সবই যেন সৃষ্টিকর্তার খেলা। তিনির খেলা বুঝার মত ক্ষমতা আমার মত অধমের নেই।
উপরের ছবিতে যে দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো সুইস গেইট। এটির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের কাজ করা হয়। আবার অন্যদিকে নদীর পানি যেন লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেটার ব্যবস্থাও করা হয়। অর্থাৎ এই জিনিসটি দিয়ে দুই ধরনের কাজ করা হয়। এই দৃশ্যটি সাধারণত নদীর পারে দেখা যায়।
এখানে ফটোগ্রাফির মধ্যে নদীর মধ্যে একটি মেশিন দেখা যাচ্ছে। এই মেশিনটি দিয়ে ভালো উত্তোলন করা হয়। অন্যভাবে বললে নদী খনন করা হয়। পলি মাটির স্তর পড়তে পড়তে নদীর গভীরতা কমে যায়। যার ফলে ভারী বৃষ্টি অথবা বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে যদি ঠিকভাবে নদীগুলো খনন করা হতো তাহলে বাংলাদেশে এত বন্যা হত না।
এই ফটোগ্রাফিটির মধ্যে নদীটা সম্পূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে। এক দিক থেকে অন্য দিকে তাকালে কোন কিছু দেখা যাচ্ছে না। সকালবেলা রোদের কারণে ফটোগ্রাফি গুলো তেমন স্পষ্ট হয় না। বিকালের দিকে এই নদীর পারে অনেক মানুষ আসে ফটোগ্রাফি করার জন্য।
বন্ধুরা আজকে এখানেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। যদি সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখে তাহলে আগামীকাল আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হবো। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সেই কামনাই করি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | সকাল বেলা নদী ভ্রমণ। |
স্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। | |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ভাই তাহলে অবশেষে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস নদী আসলে ভাই অনেক বিখ্যাত একটি নদীর। পায়ে হেঁটে গেলে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় খুব ভালো লাগলো। নদী সংলগ্ন জায়গা গুলোতে হারতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি সেখানে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে ভাইয়া। অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া অবশেষে শ্বশুর বাড়ি থেকে ঘুরে আসলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনার আজকের পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমন নদীর পাড়ের সুইচগেট সম্পর্কে, এবং নদীখনন সম্পর্কে, আসলে আমাদের আশেপাশে কোন নদী নেই তাই এগুলো সম্পর্কে তেমন একটা ধারণাও নেই। এটা জেনে ভালো লাগলো যে মাঝে মাঝে যদি নদী খনন করা হয় তাহলে আর আমাদের দেশের বন্যা প্লাবিত হবে না। আমার মনে হয় সবার এই ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে নদীর পাড়ে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু নদী থাকলে একদিক দিয়ে ভাল আবার অন্য দিক দিয়ে খারাপ। সব মিলিয়েই আমাদের জীবন। ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত তিতাস নদী ভ্রমণের কিছু কাহিনী। গতকাল আপনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ভাই সকালবেলায় নদীর পাড়ে হাটতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া তিতাস নদী খুবই বিখ্যাত নদী। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আহা সকাল বেলা তিতাস নদীর পাড়ে। মনটা যেনো জুড়িয়ে যায়। আসলেই সকাল বিকাল নদীর পাড়ে হাটলে মন ভালো হয়ে যায়। বাংলাদেশে কোনো কাজই ঠিক মত করা হয়না। আসলেই নদী নিয়মিত খনন করা হলে বন্যায় এতো কষ্ট হতো না। ভালো উত্তলন টা বুঝলাম না ভাই। ওটা কি বালু হবে?
জী ভাইয়া নদী গুলো ঠিক ভাবে খনন করলে আমাদের এত ভুগান্তির শিকার হতে হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সকালবেলা অথবা বিকেল বেলায় এরকম নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে খুব ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। আপনার শ্বশুর বাড়ির ঐদিকে অনেক সুন্দর একটা নদী রয়েছে। আর আপনি সকালবেলায় হাঁটতে হাঁটতে ওখানে গিয়েছিলেন এটা জেনে খুব ভালোই লেগেছে। এরকম নদীর পাড়ে হাঁটতে গেলে খুব ভালো লাগে। আমি নদীর পাড়ে ঘুরতে খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে বিকেল বেলায় যেতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনার কাটানো মুহূর্তটা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
জী আপু নদীর পাড়ে গেলে মনটাও নদীর মত বিশাল হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু।
মাইন্ড ফ্রেশ করতে হলে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাটাহাটি করার খুবই প্রয়োজন।
আর সেটা যদি হয় নদীর পাড় দিয়ে তাহলে তো কোন কথাই নেই।
শশুর বাড়ি মধুর হাড়ি শুধু খাওন আর খাওন আর ভ্রমণ।
খুব সকালে তিতাস নদীর পাড় ভ্রমণ করে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর অনুভূতি পেয়েছেন সেই সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আমি কিন্তু বাড়ি থাকলে মাঝে মাঝেই সময় পেলে খুব সকালে নদীর পাড় ভ্রমণ করে থাকি।।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন মাইন্ডকে ফ্রেশ করতে নদীর পাড়ে গেলেই যথেষ্ট। ধন্যবাদ ভাইয়া।
যাইহোক ভালোই করলেন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সকালবেলা তিতাস নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলেন। তাহলে তিতাস নদী আপনার শ্বশুরবাড়ির একদম পাশে কারণ ৪-৫ মিনিটের রাস্তা। তবে ফেনীর ছোট নদী আমার শ্বশুর বাড়ির একদম পাশে আমিও মাঝেমধ্যে নদীর ধারে ঘুরতে যাই। তবে ঠিক বলেছেন বিকেল বেলা যদি নদীর ধারে যাই তাহলে আলাদা একটি অনুভূতি আসে। আপনি অনেক সুন্দর করে তিতাস নদীর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। এরকম পরিবেশের সত্যি হাটাহাটি করলে মনও ফ্রেশ হয়। অনেক সুন্দর করে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু নদীর পাশে বাড়ি হলো মাঝে মাঝে নদীর পাড়ে গেলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু।
সকালবেলায় নদীর পাড়ের দৃশ্যটা একেবারে অন্যরকম হয়ে থাকে। আর তখন নদীর পাড়ে যদি ঘুরতে যাওয়া যায়, তাহলে তো মনটা একেবারে ভালো হয়ে যাবে। নদীর পাড়ের অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি, যেগুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। নদীর সৌন্দর্য দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে।
ভাইয়া আমাদের দেশটা হলো নদীমাতৃক দেশ। নদী গুলো আমাদের দেশের সুন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সকাল বেলা নদীর ধারে ঘুরতে গেলেন। সকালবেলা নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে অনেক ভালোই লাগে। তিতাস নদী আপনার শ্বশুর বাড়ির একদম পাশে। তবে ফেনীর ছোট নদী আমাদের বাড়ি একদম পাশে। সকাল বিকাল আমি অনেকবার নদীর ধারে ঘুরতে যাই। আসলে যখন মন খারাপ থাকে তখন এভাবে নদীর ধারে ঘুরতে গেলে মন অনেক ভালো হয়ে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে নদীর ধারটি অনেক সুন্দর। আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালোই লাগলো নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি।
জ্বী ভাইয়া, শ্বশুরবাড়ির পাশেই তিতাস নদী। সকালে বিকালে রাতে নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া