ট্রেনের মধ্যে বসে থেকে ক্যাপচার করা কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি অপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ট্রেনের মধ্যে বসে থেকে প্রকৃতি দেখার অনুভূতি সহ ক্যাপচার করা কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
আমি সাধারণত ঢাকা থেকে বাড়িতে গেলে ট্রেনে চড়ে বাড়িতে যাই। তবে আমি সবসময় রাতের বেলায় বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ আমি জব করার কারণে অফিস থেকে সন্ধ্যার দিকে বের হলে রাতের বেলায় সব সময় বাড়িতে যাওয়া হয়। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসার প্রোগ্রাম ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবারে আর বাড়িতে আসা হয়নি। যার ফলে শুক্রবারে সকাল বেলা ৯ টা ৪৫ মিনিটের তিতাস ট্রেনে চড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এসেছিলাম। বুধ বৃহস্পতি দুইদিন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি থাকলেও শুক্রবারে দিনের বেলা প্রচন্ড রোদ ছিল। তবে গত দুই-তিন দিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গরমের পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। তবে বৃষ্টির কারণে প্রকৃতির চেহারা পাল্টে গিয়েছিল। ট্রেন থেকে দেখতে প্রকৃতি এত সুন্দর লাগছিল যা আমি বর্ণনা করে শেষ করতে পারবো না। আমি রাতের বেলা যাওয়া আসা করার কারণে দিনের বেলা প্রকৃতিকে এমনভাবে দেখতে পারিনা। তবে গতকাল ট্রেনে আসার সময় প্রকৃতিকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি কত সুন্দর। কত সুন্দর প্রকৃতি।
প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। আমি যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন ট্রেনের অনেক মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। তারা হয়তো ভাবছিল আমি কোন পাগল টাইপের ছেলে কিনা....? কারণ এত ফটোগ্রাফি করছে কেন। আমি তাদের চিন্তা ভাবনার দিকে কোন কর্ণপাত করি নাই। কে কি ভাবলো সেটা দেখে আমার কোন লাভ নেই। আমার কাছে প্রকৃতি ভালো লেগেছে আমি ফটোগ্রাফি করেছি।
এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পার হয়ে গাজীপুরের কোন এলাকা থেকে। রাস্তার পাশে হাওরে অনেক পানি। দুই পাশে রয়েছে প্রকৃতির বিশাল সমাহার। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনেক গাছপালা। তবে রাস্তার পাশে বেশি অংশ কলাগাছ দেখতে পেয়েছিলাম। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সবগুলো গাছের ধুলাবালি ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছি আরিখোলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। আরিখোলা রেলওয়ে স্টেশনে আমাদের তিতাস ট্রেন স্টপেজ দেয়নি। তবে স্টেশন মাস্টারের সিগনাল পেয়ে কিছুটা স্লো করেছিল। যেহেতু আমি জানালার পাশে বসে ছিলাম তাই ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক সুবিধা হয়েছিল। যেহেতু এই ট্রেনটি এখানে স্টপেজ দিবেনা সেজন্য স্টেশনের মধ্যে তেমন কোন যাত্রী ও ছিল না। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন স্টেশন একেবারে ফাঁকা। সাধারণত সকালবেলা এবং সন্ধ্যার দিকে যাওয়া আসার সময় তিতাস ট্রেন এসব স্টেশনগুলোতে স্টপেজ দেয়।
উপরের ফটোগ্রাফি গুলোতে দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতির কত সুন্দর রূপ। সবুজের সমারোহ আমাদের বাংলাদেশ। ছোট একটি লেকের দুই পারে কত সুন্দর ভাবে প্রকৃতি সেজেছে। গাছগুলোকে দেখলে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এ যেন প্রকৃতির নতুন রূপ। এমন বাংলাদেশ পৃথিবীর আর কোথাও পাবে না। এত সুন্দর প্রকৃতির খেলা, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও দেখা সম্ভব নয়। আমাদের ট্রেন যত এগিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি দেখে আমি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।
বন্ধুরা আপনারা এখানে দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতির নতুন খেলা। এখানে লেকের এক পারে ঘরবাড়ি অন্য পারে গাছপালা। আর দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো একটি নদী। এই নদীটির নাম কি সেটা আমি জানি না। তবে এখন আমি যেটা লক্ষ্য করলাম সেটা হলো বর্তমানে বর্ষাকাল থাকা সত্ত্বেও নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই। এই বর্ষার মৌসুমেও নদীর মাঝখানে চর জেগে আছে। এর কারণ হলো মানবজাতি এই নদীকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখানে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে নদী গুলোকে ধ্বংস করে ফেলছে। আর নদীর পানির অবস্থা দেখেন, কত কালো। এই নদীর পানিও দূষিত করেছে আমাদের মানবজাতি।
বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ। আমাদের সবার উচিত প্রকৃতির দিকে নজর দেওয়া। যেন প্রকৃতি ধ্বংস না হয়। প্রকৃতি বাঁচলেই আমরা বাঁচবো। প্রকৃতি থাকলেই আমরা পৃথিবীতে থাকবো। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | ট্রেনের মধ্যে বসে থেকে ক্যাপচার করা কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | নরসিংদী, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৭/০৯/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
চলন্ত ট্রেনে বসে যে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করা যায় আপনার ফটোগ্রাফি গুলো না দেখলে জানতে পারতাম না। আপনার ধারণ করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
যখন রোদ থাকার কারণে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
ট্রেনের জানালার পাশে বসে কোথাও ঘুরতে গেলে চারদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। আপনি দেখছি ট্রেনের মধ্যে বসে থেকে কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার মাধ্যমে আজকে বেশ কিছু চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফী দেখার সুযোগ হলো।
জ্বী ভাইয়া ট্রেনে জানালার পাশে বসলে অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখা যায়।
ট্রেনে বসে তো দেখছি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ট্রেনের রাস্তাগুলো বিভিন্ন গ্রামের ভেতর দিয়ে তৈরি হওয়ায় অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায় ট্রেন জার্নিতে। আপনি চলন্ত ট্রেনে বসে দারুন কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। মনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাস থেকে ট্রেন জার্নি অনেক ভালো। প্রাকৃতিক স্বর্গের ভিতর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। আর বাসে ভ্রমন করলে প্রচুর ধুলাবালি খেতে হয়।
কয়েকদিন আগে আমিও এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম ভাই।আপনার মতই ট্রেনের ভেতর থেকে ক্যাপচার করা ছিল সেগুলো। আপনি আজকে ট্রেনের ভিতর থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্যের চমৎকার সব ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ট্রেনে ভ্রমণ করলে এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখা যায়।
এই অভ্যাস টা আমার আছে। ট্রেন জার্নির সময় পুরোটা পথ বাইরে তাকিয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখি এবং ফটোগ্রাফি করি। যদিও ভালো ফোন ছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো ঠিক ভালো হয় না। চমৎকার লাগছে আপনার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
জি ভাইয়া ভ্রমন করলে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলে খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে আমরা মুগ্ধ হয়।
ট্রেনে করে যাতায়াত করতে খুব ভালো লাগে। আপনি ঢাকা থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ ট্রেনে করে রাত্রেবেলা যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আপনি ট্রেনের থেকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে ভাইয়া বর্তমানে অনেক জায়গাতে নদীতে পানি খুব কম থাকে বর্ষাকালেও। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া ট্রেন থেকে ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। চমৎকার দৃশ্য ক্যাপচার হয়েছে। ধন্যবাদ।
ট্রেন থেকে আপনি দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন বিশেষ করে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। যে যাই বলুক আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফিকে শেয়ার করতে পেরেছেন।
জী আপু সবাই খুবই প্রশংসা করেছে। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।