শুক্রবার ছুটির দিনে কলিগদের সাথে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার অনুভূতি।।
বাংলা ভাষার নাম্বার ওয়ান কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে কলিগদের সাথে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আমি বর্তমানে যে বাসাতে অবস্থান করতেছি, এই বাসার পাশেই একটি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। স্টেডিয়ামের নাম হলো খাঁন সাহেব ওসামান আলী স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটি ১৯৬৫ সালে নির্মিত বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। তবে ২০০৪ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটিকে নতুন করে সাজানো হয়। এর আগে কোন বাউন্ডারী বা গ্যালারি কিছুই ছিল না। নতুন করে সংস্কার করার পরে ২০১১ বিশ্বকাপের সময় এই মাঠে ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের মধ্যে একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ হয়েছিল। ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্টেডিয়ামটিতে একদিনের দশটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও দুটি টেষ্ট ম্যাচ হয়েছিল। তবে কোন টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার আয়োজন করা হয়নি।
এই মূল মাঠের বাহির অংশ রয়েছে বিশাল বড় একটি মাঠ। এই মাঠের মধ্যে এলাকার ছেলেরা ও বিভিন্ন ক্লাবের ছেলেরা ক্রিকেট ফুটবল খেলে থাকে। তবে গত কয়েক বছর ধরে স্টেডিয়ামের চারপাশের স্থান উচুঁ হয়ে যাওয়ার কারনে খাঁন সাহেব ওসামান আলী স্টেডিয়াম নিচু হয়ে যায়। যার ফলে এলাকার বৃষ্টির পানি মাঠে জমা হয়ে স্টেডিয়ামটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এটা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট করা হলে বিসিবির টনক লড়ে। গত বছর স্টেডিয়ামটি সংস্কারের জন্য বিপুল পরিমান অর্থ বাজেট করা হয়। সংস্কারের শুরু হিসাবে স্টেডিয়ামের বাহিরের অংশ নদী থেকে বালু ফেলানো হয়। এখন আবার নতুন করে এলাকার ছেলে পেলেরা বাহিরে অংশের মাঠে খেলাধুলা শুরু করে।
এখন আমাদের অফিসের কয়েক জন কলিগ প্লান করলো তারা ঐ স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলতে যাবে। প্লান অনুযায়ী সদস্য তালিকা করা শুরু হলো। আমি একসময় ভালো ক্রিকেট খেলতাম। অধিকাংশ সময় বড় বড় ছয় মারতাম। তবে প্রায় দশ বছর যাবৎ কোন খেলাধুলা করি না, হাতে ব্যাটও নেয়নি। তাছাড়া শুক্রবারে আমার মেডিকেল কোচিং করা লাগে। এখন কলিগদের সবার সাথে আমার নামও তালিকা করা হলো। যেহেতো স্টেডিয়ামের পাশে আমার বাসা, আমাকে থাকতেই হবে। কলিগদের রিকুয়েষ্ট ফেলতে পারি নাই। যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
শুক্রবারে সাপ্তাহে একটি ছুটির দিন। ভেবেছিলাম বিকালে একটু ঘুমাবো, সেটা আর হলো না। বিকাল তিনটার সময় শনির আখাড়ার কলিগ ফোন দিয়ে বললো সে আসতেছে। আমি যেন মাঠে চলে আসি। তখনও কিন্তুু প্রচুর রোদ ছিল। স্টেডিয়ামটি বিশাল বড়। তারপরেও বিকালে খেলার জায়গা পাওয়া যায় না। সবাই দুইটা তিনটার সময় এসে জায়গা দখল করে বসে থাকে। আমি তাদের কথা বাদ দিয়ে বিকালে একটু শুয়ে ছিলাম। তবে তাদের ফোনের জ্বালায় আর ঘুমাতে পারলাম না। আমি সাড়ে চারটার দিকে মাঠে গেলাম। গিয়ে দেখি মাঠে এত পরিমান মানুষ যা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি নিচে কিছু পিক দিচ্ছি তাহলে বুঝতে পারবেন।
এলাকার স্থানীয় ও বাড়াটিয়া অনেক গ্রুপ মাঠে খেলতে এসেছে। কিছু টিম ফুটবল, কিছু টিম ক্রিকেট খেলতেছে। আর ক্রিকেট ফুটবল খেলার জন্য জায়গা লাগে বেশি। বড়দের পাশাপাশি ছোট ছেলেরাও বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতেছে। কেউবা দৌড়াদৌড়ি করছে। মানে সবাই যার যার মত করে আনন্দ করতেছে। আমি গিয়ে দেখি তারা অলরেডি এক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আমি আগে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর বললাম আমাকে যেকোন এক দলে নিয়ে নিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে আমি যুক্ত হলাম। তবে টস করে আমার দল ব্যাটিং পড়লো। আমি বললাম আমি সবার পড়ে ব্যাট করবো,তোমরা ব্যাটিং করো। আমি দর্শক সাড়িতে দাড়িয়ে খেলা দেখতেছি ও কমান্ড দিতেছি।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধার নামতে শুরু করলো। কিন্তুু সবাই খেলায় ব্যস্ত। এখন কি পরিমান গরম সেটা তো জানেন। মানুষ ঘরে থাকতে পারতেছে। যার ফলে এলাকার সব ছেলে পেলে মাঠে চলে আসে। অবশেষে আমার ব্যাটিং করার সুযোগ অসালো। দশ বছর পরে হাতে ব্যাট নিয়েছি, খেলার কিছুই তো বুঝি না। পাঁচ বল খেলেই আউট হয়ে গেছি,হা হা হা। তবে আমাদের দল দশ ওভার খেলে ৭৬ রান করতে পেরেছিল। অপর পক্ষ প্রথম দিকে ভালোই খেলেছিল। কিন্তুু শেষের দিকে আর টিকে থাকতে পারে নাই। ৬৭ রানে তাদের সবাই আউট হয়ে যায়। ফলাফল আমরা ১০ রানে জিতেছি। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি বিকাল অতিক্রম হয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | শুক্রবার ছুটির দিনে কলিগদের সাথে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার অনুভূতি।। |
স্থান | খাঁন সাহেব ওসামান আলী স্টেডিয়াম, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২০/০৯/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আসলে অনেকদিন পর ব্যাটিং করতেছেন যার কারনে ঠিকমতো খেলতে পারেন নাই। তবে এটা কোন ব্যাপার না,আসলে হঠাৎ করে খেললে এমনটা হতেই পারে এটা স্বাভাবিক । আমার হচ্ছে ক্রিকেট অনেক পছন্দের, আমিও মাঝে মাঝে বিকেল বেলা করে ক্রিকেট খেলতে যাই।আপনার ক্রিকেট খেলার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া ক্রিকেট আমার অনেক পছন্দের খেলা। তবে হঠাৎ করে নেমে কিছুই করতে পারলাম না, হা হা হা। ধন্যবাদ।
ছুটির দিন হওয়াতে আপনারা সাথে কর্মজীবী মানুষের নিয়ে ক্রিকেট খেলতে গেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের এই খেলাধুলার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। আসলে মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে এভাবে খেলাধুলা করে নিজের শরীরটা ভালো রাখার প্রয়োজন আছে। আশা করব সবার সাথে সুন্দর মিলতাল দেখে এভাবে মাঝেমধ্যে খেলাধুলা করবেন এবং মন ভালো রাখবেন।
জী মাঝে মাঝে খেলাধুলা করলে শরীর স্বাস্থ ভালো থাকে। ধন্যবাদ।
খেলাধুলার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে খেলাধুলা শরীরের জন্য বেশি উপকার। সুযোগ বুঝে এভাবে খেলাধুলা করবেন দেখবেন মন ভালো থাকবে। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের ছুটির দিনের খেলাধুলার মুহূর্ত দেখে।
বিকালের দিকে সবাই সেখানে খেলতে যায়। মাঝে মাঝে যায় তবে ঐদিনই খেললাম। ধন্যবাদ।
কতদিন যে এসব খেলাধুলার মধ্যে জড়াই না তার কোন হিসেব নেই ভাই। তবে আপনারা কিন্তু সবাই মিলে দারুন আয়োজন করেছেন। আর অনেক দারুন সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে।
আমিও প্রায় দশ বছর পরে মাঠে ব্যাট হাতে নিলাম। ধন্যবাদ।
ছুটির দিনে সবারই একটু আলাদা প্ল্যান পরিকল্পনা থাকে। ইস আপনাকে ঘুম বাদ দিয়ে খেলতে যেতে হলো। মাঠে দেখছি আপনারা ছাড়াও আরও অনেকে রয়েছে। দেখে বেশ ভালো লাগল। অফিসের সবাই মিলে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ক্রিকেট ম্যাচটা বেশ জমজমাট হয়েছে বোঝা যাচ্ছে।
অনেক মানুষ মাঠে রয়েছে। অনেক গুলো দল আলাদ আলাদা খেলেছে। ধন্যবাদ।