বিভিন্ন প্রকারের কয়েকটি মাছের ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বিভিন্ন প্রকারের কিছু মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
বাংলাদেশে প্রায় ২৬০ প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ এবং ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ১২ প্রজাতির অধিক চাষকৃত বিদেশী মাছ দেখা যায়। ৭০ প্রজাতির অধিক বিদেশী বাহারী প্রকার এ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায় বাংলাদেশে স্বাদুপানির প্রায় ৫৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে রয়েছে। ধীরে ধীরে সে গুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা ছোট সময় যে মাছ দেখতে পেতাম সে গুলোও এখন তেমন দেখা যায় না।
ফসলের জমিতে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সার ব্যবহার ও পানি দূষিত হওয়ার কারনে আমাদের দেশে মাছ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তাছাড়া আগে যে পরিমান পানি বাংলাদেশে দেখা যেত সে পরিমান পানি এখন নেই। বিভিন্ন জাগায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নদী,খাল,বিল দখল করে ফেলতেছে। বড় বড় নদীতে প্রর্যাপ্ত পরিমানে পানি না থাকায় ছোট ও শাখা নদী গুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে। এসব মিলিয়ে বিভিন্ন কারনে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। যেটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি হুমকি।
উপরে যে মাছের ছবিটা দেখছেন সেটি হলো টেংরা মাছ। এগুলো দেশি টেংরা মাছ হিসাবেই আমরা চিনে থাকি। আগে খাল বিলে প্রচুর পরিমানে এই টেংরা মাছ পাওয়া যেত,তবে এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। যার ফলে বিভিন্ন জাগায় এই টেংরা মাছ চাষ করা হয়। এগুলো দেশি নাকি চাষের টেংরা সেটা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।
এখানে যে মাছ গুলো দেখতে যাচ্ছেন সে গুলো হলো কার্ফু মাছ। এগুলোও আগে খাল বিলে প্রচুর পাওয়া যেত। পাশা পাশি এই মাছ গুলো প্রথম থেমেই চাষ হয়ে আসছে। এই মাছ গুলো কিন্তুু চাষের না। এগুলো তিতাস নদীর টাটকা মাছ। মাছ গুলোর পেটের ভিতরে প্রচুর ডিম দেখা যাচ্ছে। মাছের ডিম আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। তবে সচেতন মানুষেরা মাছের ডিম থেকে নিষেধ করেন।
এখানে উপরে যে রুই মাছের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন সে গুলো শতভাগ চাষের মাছ। এগুলো খাল, বিল বা নদীতে তেমন পাওয়া যায় না। এই মাছ গুলো চাষের হলেও খেতে কিন্তুু দারুন লাগে। বাংলাদেশের খুবই পরিচিত মাছ হলো এই রুই। দামটা এত কম না আবার বেশিও না। সাড়ে তিনশত বা চারশো টাকা কেজি ধরে বিক্রয় করা হয়। যা বাংলাদেশের ৬০% মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।
এখানে উপরের ছবিতে কয়েক প্রকারের দেশি মাছ দেখতে পাচ্ছেন। তবে আমি বড় মাছটি নিয়েই লিখবো। আর এই মাছটির নাম হলো বোয়াল মাছ। এখানে শত ভাব সিউর দিয়ে বলা যায় যে, এটি নদীর মাছ। এই মাছটা এখন পর্যন্ত চাষ করতে শুনি নাই। আমি চাষ করতে দেখি নাই। আপনারা দেখেছেন কি না সেটা আমি জানি না। এই মাছটি খুবই সুস্বাদু। স্বাদুপানির মাছ হওয়ার কারনে খেতে দারুন লাগে। গত কালও এই বোয়াল মাছ খেয়েছি।
এখানে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় যে এগুলো চাষের চিংড়ি মাছ। দক্ষিন বঙ্গ তথা বাগেরহাট বা বরিশালের দিকে এই মাছ গুলো চাষ করা হয়। শুনেছি বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপটেন সাকিব আল হাসানের চিংড়ি মাছ চাষ করার গ্যার রয়েছে। বাংলাদেশের এই চিংড়ি মাছ বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। রক্তবিহীন মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমাদের কমিউনিটিতেও চিংড়ি মাছের বিভিন্ন রেসিপি দেখতে পায়।
এটি একমাত্র মাছ যেটি এখন পর্যন্ত চাষ করতে পারেনি। নদী আর সমুদ্র ছাড়া এই মাছটি বাচঁতে পারে না। শুনেছি বাংলাদেশের চাঁদপুরের ইলিশ সব থেকে বেশি সুস্বাদু। বঙ্গোপসাগরেও প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। চিংড়ি মাছের পরে সবথেকে বেশি ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। পদ্মা,মেঘনা,যমুনা এই তিন নদীতে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে। এই মাছটি পানি থেকে তুলার পাঁচ মিনিট পরেই মাছটি মারা যায়। যার ফলে এই মাছের উপরে সবসময় বরফের পাহাড় থাকে। তবে আমার একটি বিষয় বুঝে আসে না,যে মাছটি চাষ করতে টাকা লাগে না সে মাছটি এত দাম কেন। আপনারা কি কেউ জানেন,এই প্রশ্নের উত্তর কি হতে পারে। জানলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
আজকে আর লম্বা করবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। আশা করি মাছের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | বিভিন্ন প্রকারের কয়েকটি মাছের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ ,ঢাকা। |
তারিখ | ২৫ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আপনি খুব সুন্দর বিভিন্ন প্রকারের কয়েকটি মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন। তবে টেংরা মাছ আমার খুব একটা পছন্দ নয়। আমার কাছে ইলিশ মাছের ফটোগ্রাফি ও চিংড়ি মাছের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। সবগুলা মাছের ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল। সুন্দর কিছু মাছের ফটোগ্রাফি আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপু টেংরা মাছ অপছন্দ হওয়ার কারন জানতে পারি কি...?
সুন্দর সুন্দর কিছু মাছের ফটোগ্রাফি করে আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তবে বেশ বড় সাইজের বোয়াল মাছের ছবিটা অনেক সুন্দর লাগছে। সেই সাথে ইলিশ মাছের ফটোগ্রাফিতে যেন আলোর প্রতিফলন দিচ্ছে।
ইলিশ আর বোয়াল দুইটিই অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
বাজারে গেলে বিভিন্ন রকমের মাছ দেখতে পাওয়া যায়।আমি নিয়মিত বাজার করি তাই মাছে দেখা বা কেনার বেশ অভিজ্ঞতা আমার আছে।অনেক রকমের মাছ দেখতে পেলেও আমি সবসময়ই নদীর মাছ বা দেশীয় মাছ কেনার চেষ্টা করি।ভাইয়া আপনার মাছের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে অনেক ধরনের মাছ এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আমার আবার মাছ কেনার দিক দিয়ে অভিজ্ঞতা খুব কম। ধন্যবাদ।
আমাদের বাংলাদেশে জর কত প্রজাতির মাছ রয়েছে আর আমরা মাত্র তার হাতে গোনা কয়েকটা মাছই শুধু আমরা চিনি আর খেয়ে থাকি ।ইদানিং দেশি মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে আর চাষকৃত মাছের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে । আপনার মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভ লাগছে ।টেংরা মাছগুলো মনে হচ্ছে অনেক ফ্রেশ কত সুন্দর । এই ধরনের টেংরা মাছগুলো খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । আর ইলিশ মাছের কথা নাইবা বললাম ওটা দেখলে তো একেবারে লোভ লেগে যায় । মাছের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু ভাইয়া দারুন করেছেন ।
জী আপু বাংলাদেশে যে কয়টা মাছ আছে,সেটাও ভালো করে চিনি না। ধন্যবাদ।
বাহ!চমৎকার করে মাছের ফটোগ্রাফি করেছেন এবং বর্ননা করেছেন। তিতাস নদীর কার্ফু মাছ গুলো খুব ভালো লাগলো আমার।মাছের ডিম খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আবার দেখছি বোয়াল,চিংড়ি, রুই,লোভনীয় টেংরা ও সুস্বাদু ইলিশ মাছের আকর্ষণীয় ফটোগ্রাফি। ইলিশ মাছ যদি পুকুরে চাষ হতো তাহলে তো খুব ভালো হতো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সব গুলোই লোভনীয় মাছ। ধন্যবাদ।
বিভিন্ন পর্যায়ের মাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন ভাইজান বেশ ভালো লাগলো বড় বড় সাইজের সমস্ত মাছগুলো দেখতে পেরে। যেখানে ইলিশ রুই মাছ চিংড়ি মাছ সুন্দরভাবে ফুটে তোলার চেষ্টা করেছেন।
জী ভাইয়া চেষ্টা করেছি ছোট বড় সব মাছের ফটোগ্রাফি করতে। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে ঠিক কত প্রজাতির মাছ আছে আমার জানা ছিল না আপনার মাধ্যমে আজকে সব প্রকারের মাছের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে জানতে পারলাম।
আপনি কয়েক প্রকার মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন বিশেষ করে টেংরা মাছ আর ইলিশ মাছ এর মধ্যে আমার সব থেকে বেশি প্রিয়।
জী ভাইয়া চেষ্টা করেছি,বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করতে। ধন্যবাদ।
ভিন্ন রকমের একটি ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো বেশ লোভ হচেছ যে তাজা তাজা মাছ রান্না করে খেতে। বাজারে যে দাম মাছের তাতে মনে হয় সামনের দিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতে হবে। দারুন ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে মুরগি কিনে বাসায় চলে আসতে হয়। ধন্যবাদ।
আপনি বেশ কিছু মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এমন মাছ খাওয়ার থেকে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। টেংরা মাছ গুলো কেটে মনে হচ্ছে রান্না করি হা হাা হা।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু এগুলো মনে হয় দেশি টেংরা,তাই এত চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ।
একদমই ভিন্ন ধরনের একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে অনেক খুশি হলাম। আপনার শেয়ার করা বেশিরভাগ মাছগুলো আমি খেয়েছি। আজকে আবার আপনার কাছ থেকে সবগুলো মাছ একসাথে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু,আপনার কমেন্ট পেয়েও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।