কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বিভিন্ন স্মৃতি ফটোগ্রাফির মধ্যে বন্দি করে আমরা অনেক অনুভূতি আটকে রাখতে পারি। অনেক বছর আগের ফটোগ্রাফি, অনেক বছর আগের স্মৃতি মাঝে মাঝে মনে পড়লে খুব হাঁসি পায়। আমাদের সবারই অতীত রয়েছে, অতীতের অনেক কিছু ভুলে যায়। কিন্তু ফটোগ্রাফির মধ্যে তাকালে আমরা সেই স্মৃতিগুলো মনে করতে পারি। ফটোগ্রাফির দিকে তাকালে সেই স্মৃতি চোখের সামনে ভাসে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি একটা সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে। এই ফটোগ্রাফি গুলো সংরক্ষণ করলে আমরা অনেক বছর পরে হলেও সেই স্মৃতিগুলোকে স্মরণ করতে পারি।
উপরে যে ফটোগ্রাফিতে বিশাল বড় একটি গেইট দেখতে পাচ্ছেন। এটি আমাদের গ্রামের প্রবেশদার। এই গেইটের ভিতর দিয়ে আমরা গ্রামে প্রবেশ করে থাকি। এ রাস্তাটি কুমিল্লা সিলেট হাইওয়ে রোড থেকে আমাদের গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করেছে। এটি আমাদের গ্রামের বাস স্টেশন থেকে গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও আমাদের গ্রামে প্রবেশ করার আরো চারটি এরকম রাস্তা রয়েছে। আমাদের গ্রামের চতুরপাশে রাস্তা রয়েছে। যেকোনো রাস্তা দিয়ে যেকোনো দিক দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা যায় আবার বাহির হওয়া যায়।
আমি প্রথমে আপনাদের সাথে বলেছিলাম যে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে স্মৃতিকে বন্দী করা যায়। গত কয়েক মাস আগে আমাদের বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে মোটামুটি বেশ কয়েকটি জেলাতে বন্যা দেখা দিয়েছিল। ওই সময় আমাদের বাড়ির পুকুরে প্রচুর পানি হয়েছিল। তখন আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছিলাম। বর্তমানে ওই পুকুরের পানি তলানিতে চলে গেছে। সময়ের সাথে সাথে প্রকৃতি কিভাবে পরিবর্তন হয়।
ঐ সময়ে এক রাস্তার ফটোগ্রাফি এটা। রাস্তার দুই পাশে এত পরিমাণ পানি হয়েছিল যে অটোরিকশা যেতে পারছিল না। যাত্রী নেমে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। ঐ সময়ের বেশ কিছু স্মৃতি রয়েছে। এখন অবশ্য ঐসব জায়গাতে পানি নাই। সব কিছু স্বাভাবিক।
এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছেন। কোন জায়গা খেকে ক্যাপচার করা। গত বছরের মাঝামাঝি সময় চাঁদপুর গিয়েছিলাম ইলিশ মাছ কিনতে। কিন্তু ইলিশ কিনতে পারি নাই। আমার জানাছিল না যে, সরকারি নিষেধাজ্ঞাতে ইলিশ পাওয়া যায় না। যায়হোক স্মৃতি হিসাবে কয়েকটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম।
এই ফটোগ্রাফির পিছনে ছোট একটি ঘটনা রয়েছে। আমার এক কলিগ কাঁচা জলপাই খেতে পছন্দ করে। সে লাঞ্চের পরে অফিসে আসার সময় কয়কটি জলপাই নিয়ে আসে। আমাকেও একটি জলপাই দিয়েছিল। আমি আবার অর্ধেক আরেক কলিগকে দিতে গিয়ে দেখি জলপাইয়ের ভিতরে পোকা। চিন্তা করেন যদি আমি চেক না করে খেয়ে ফেলতাম তাহলে কি অবস্থা হতো।
যাহোক বন্ধুরা দেখতে দেখতে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিলাম। বিভিন্ন সময় ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২৩-০১-২০২৫ |
সময় | রাত-১০.০০ |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ফটোগ্রাফিতে ইলিশের ছবি দেখে আন্দাজ করছিলাম হয়তো এটা চাঁদপুরে পরবর্তীতে বিবরণ পড়ে বুঝতে পারলাম আসলেই এই দৃশ্যটা চাঁদপুরের। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল প্রতিটা ফটোগ্রাফি স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জী ভাইয়া অফ সিজনে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ
আমি মনে করি রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো একপ্রকার আর্ট। যেখানে একজন ব্লগার মনের মাধুর্য মিশিয়ে চিত্র ধারণ করার চেষ্টা করে। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ছবি উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। আপনার আজকের এই পোস্টে ঠিক তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি খুজে পেয়েছি। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কাদার রাস্তার চিত্রটা।
জী আপু রেনডম ফটোগ্রাফিতে অনেক কিছু এক সাথে দেখা যায়। ধন্যবাদ।
এমন পোস্টগুলো আমার কাছে ভালো লাগে এই জন্য যে অন্য ইউজারের এলাকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই যেমন আপনি আপনাদের গ্রামের প্রবেশদ্বারের গেটটা সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করে দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের গ্রামগুলোতে অবশ্যই এমন কোন গেট নেই। এছাড়াও আপনাদের এলাকার বেশ কিছু চিত্র দেখিয়েছেন আপনি। অনেক অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি।
জী ভাই এটা আমাদের গ্রামের গেইট। ধন্যবাদ।
সমস্ত রেনডম ফটোগ্রাফ দারুন সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন। এখানে প্রত্যেকটি ছবি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। বন্যার সময় আপনাদের পুকুরের জল তো বিপদসীমার উপর রয়েছে। ধীরে ধীরে এইসব সমস্যা মিটে যায় কিন্তু কিছু ক্ষত রেখে যায়। আর সমাজের বুকে সেই সব ক্ষত সারাই করতে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। ভীষণ সুন্দর কয়েকটি ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন বলে ভালো লাগলো
জী বন্যা চলে গেছে বাট চিত্র টা রয়েগেছে। ধন্যবাদ।
আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুণ দারুণ কতগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার যদি ভুল না হয় তাহলে চাঁদপুর হলো ইলিশের শহর। কেননা আমি ইলিশের বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখেছি তার বেশিরভাগই চাঁদপুর শহরকে নিয়ে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী চাঁদপুর হলো ইলিশের বাড়ি। ধন্যবাদ।
জলপাই কিন্তু সেভাবে কখনো চেক করে খাওয়া হয় না। আসলে খাবারের মধ্যে এরকম ক্ষতিকর জিনিসগুলো হয়তো আল্লাহই আমাদের দেখিয়ে দেন। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ভাইয়া। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী জলপাইয়ের বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে। ধন্যবাদ।
PUSS Task এর স্ক্রিন শেয়ার করা হয় নাই, কিউরেশনের পূর্বশর্ত এটা।
একটু দেরি হলেও আমি প্রত্যেকটা পোস্টে টাস্ক গুলো কম্পিলিট করি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি অনেক সুন্দর করে সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে ফটোগ্ৰাফি করেন তা আপনার ফটোগ্ৰাফি দেখেই বোঝা যায়। আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও উপস্থাপন করেছেন এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী ভাইয়া ফটোগ্রাফি করতে ধৈর্য লাগে। ধন্যবাদ।
Task Done
গ্রামের রাস্তার অবস্থা দেখছি একেবারেই খারাপ। স্টেশনের ফটোগ্রাফি টা বেশ সুন্দর ছিল। পাশাপাশি অন্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন আপু। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বন্যার সময়ে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়েগেছিলো। ধন্যবাদ।