যাত্রাবাড়ি আড়ৎ থেকে মাছ কিনার অনুভূতির প্রথম পর্ব।।10% beneficary for @shyfox ❤️
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে যাত্রাবাড়ি আড়ৎথেকে মাছ কিনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্ডস,
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। যেভাবেই আমারা থাকি না কেন,সময় তার নিজ গতিতে চলে যাচ্ছে। সময়কে ধরে রাখার ক্ষমতা পৃথিবীর কারো নেই। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাগায় আমাদের অনেক স্মৃতি রয়ে যায়। এমনই এক স্মৃতির কথা আজকে আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করবো। চলুন শুরু করি।
Device-Redmi Not-8 Time-6.25
গত কাল রাতে আমাদের প্রিয় কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগের ৮২ তম হ্যাংআউট শেষ করে কিছু কাজ করে ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় রাত একটা বেজে গেছিলো। পরের দিন শুক্রবার অফিসের চিন্তা না থাকায় মোবাইলেও এলার্ম দেওয়া হয়নি। চিন্তা ছিল সকাল দশটা বা এগারোটা পর্যন্ত ঘুমাবো। কিন্তুু সেই আরামের ঘুমে পানি ঢেলে দিলো আমার এক অফিসের কলিগ। সকাল সাড়ে পাচঁটার সময় ফোন দিয়ে বললো বাসার গেইট খুলতে। আরামের ঘুম হারাম করে দিলো। চিন্তায় পড়ে গেলাম, এত সকাল ফোন দিয়ে বাসার গেইট খুলতে বলতেছে কেন। তার ফোনের গুরুত্ব না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। ৫.৪৫ মিনিটে আবার ফোন দিয়ে বললো আমি তোমার বাসার গেইটের সামনে গেইট খুলো। তখন বাধ্য হয়েই নিচে গেলাম গেইট খুলতে।
নিচে গিয়ে দেখি সত্যি সত্যি তিনি আমার বাসার সামনে দাড়ানো। আমি বললাম কি হয়েছে, এত সকাল সকাল বাসার নিচে আসলেন। উপরে বাসায় আসেন। কি হয়েছে খুলে বলেন। কোন সমস্যা..? না কি টাকা লাগবে..? তিনি বললেন কোন সমস্যা না,টাকাও লাগবে না। আমি বললাম তাহলে এত সকাল সকাল যে আসলেন কারনটা কি সেটা তো বলবেন। তিনি বললেন শীতের জ্যাকেট পড়ে আসেন এক জাগায় যাবো। আমি বললাম এত সকাল কোথায় যাবো। তিনি বললেন আগে জ্যাকেট পড়ে আসেন,যেতে যেতে বলতেছি। আমি উপড়ে এসে জ্যাকেট পড়ে,ম্যানি ব্যাগ আর মোবাইলটা হাতি নিয়ে উনার সাথে গেলাম।
আমার বাসা থেকে এক থেকে দেড় মিনিট হাটলেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে রোড। সেখানে আমারা গাড়ির জন্য দাড়িয়ে রইলাম। তখন সকাল ছয়টা বাজে। শীতের সকাল তাই চার দিকে অনেক কুয়াশা। সব গাড়িই তার নিজের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতেছে। চার পাচঁ মিনিট পরে একটি বড় পিকআপ ভ্যান গাড়ি যাত্রাবাড়ি যাত্রাবড়ি বলে ডেকে যাচ্ছে। আমার কলিগ হাত উঠিয়ে সেই গাড়িটিকে থামালো। আমাকে বললো গাড়িতে উঠেন। গাড়িতে উঠে তিনি বলতেছেন,আজ শুক্রবার অফিসের কোন জামেলা নেই তাই যাত্রাবাড়ি যাবো মাছ কিনতে তাই আপনাকে সাথে নিয়ে যাচ্ছি। আমি বললাম সেটা আমাকে আগে বলবেন না..? তিনি বললেন আমি জানি আগে বললে আপনি যাবেন না। তাই আগে বলি নাই। এখন গাড়িতে উঠে বলেছি কারন এখন অনেক রাস্তা পারি দিয়ে চলে এসেছি। এখন আর যেতে পারবেন না,হি হি হি।
আমি তখন মনে মনে বললাম মাছের জন্য আরামের ঘুমটা হারাম করে দিলেন। যাত্রাবাড়িতে পরে গেলেও তো মাছ পাবো। তিনি বললেন আগে গেলে তাজা তাজা মাছ পাবো। আমি বললাম ঠিক আছে এসে যখন পড়েছি যায় দেখি কি কি মাছ পাওয়া য়ায়। যাত্রাবাড়ি আড়তে এই প্রথম মাছ কিনতে যাচ্ছি।
Device-Redmi Not-8 Time-6.25
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রাস্তায় তেমন গাড়ি নেই। যে কয়েকটা গাড়ি যাচ্ছে সব গুলো গাড়ি কুয়াশার জন্য হেড লাইট জ্বালিয়ে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় কয়েকটা পিক নিলাম। এই পিক গুলো নিয়েছি নারায়গণঞ্জ হাইওয়ে থাকার সময়। গাড়িতে কোন ছাদ নেই,দারজা জানালা নেই। সম্পূর্ণ বাতাস শরীরে লাগছিলো। কি বাতাস আর কি শীত বলে বুঝানো যাবে না।
Device-Redmi Not-8 Time-6.25
এই পিক গুলো নিয়েছি সাইনবোর্ড এবং যাত্রাবাড়ির মাঝা মাঝি স্থান থেকে। সনির আখড়া,রায়ের বাগ এসব স্থান থেকে। তখনও কুয়াশা ছিল। গাড়ি তার নিজ গতিতে এগিয়ে যেতে লাগলো।
Device-Redmi Not-8 Time-6.25
বিশ থেকে পচিঁশ মিনিটের মধ্যে যাত্রাবাড়ি এসে পৌছে গেলাম। বিশাল বড় মাছের আড়ৎ। হানিফ ফ্লাইওভারের দুই পাশেই মাছ বিক্রয় হয়। বাংলাদেশের মানুষ খায় এমন কোন মাছ বাদ নেই যে এই আড়তে আসে নাই। আগামী পর্বে আপনাদের সাথে বড় বড় বিভিন্ন মাছের ছবি শেয়ার করবো। রাস্তা দিয়ে আসতে আসতে শীতে জমে গেছি। শরীরটা একটু গরম করে নেই।
আল্লাহ হাফেজ।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে মানুষের জীবনটা যত খারাপ হোক না কেন কিন্তু সময় চলে যায়।বছর চলে যায় আর বয়স কারো জন্য থেমে থাকে না।তবে শুক্রবার দিন একটু ঘুমাতে পারলে বেশ ভালো লাগে কিন্তু আপনার কলিগ তো আপনার চোখে পানি ঢেলে দিয়ে সব ঘুম হারাম করে দিল মাছের জন্য হি হি হি বেশ মজা পেয়েছি পড়ে।
জী আপু মাছ কিনতে গিয়ে সকালটা মাটি হয়ে গেল। তবে অনেক মাছ এনেছি। ধন্যবাদ আপু।
বাবারে এত সকালে তাও আবার ছাদ নেই গাড়িতে। শীত লাগে নাই 🤣।আসলেই কলিগ যদি আগে বলতো মাছ বাজারে যাবে তাহলে আপনি নির্ঘাত ঘুম নষ্ট করে যেতেন না,ভালোই একটা সারপ্রাইজ হলো কি বলেন।হা হা
জী আপু আপনি ঠিকই বলেছেন। আগে বললে আমি কখনো যেতম না। কি শীত হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমি একবার টঙ্গী মাছের আরতে মাছ কিনতে গিয়েছিলাম। গিয়ে তো এক দমেই বাজে অবস্থা কি আর বলবো। যাত্রাবাড়ি আড়ৎ থেকে মাছ কিনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ভাইয়া টঙ্গী থেকে যাত্রাবাড়ি অনেক ভাল। একবার আসতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া যেদিন একটু ঘুমাতে চাওয়া যায়, সেদিনই হয়তো আরো আগে উঠতে হয়। যাইহোক আপনার কলিগ এর সাথে মাছের আড়ৎ এ গিয়েছেন জেনে ভালো লাগল। সত্যি ভাইয়া শীতের সময় এমন জানালা দরজা ছাড়া গাড়িতে যাওয়ার সত্যি অনেক কষ্টের।
জী আপু যাওয়ার সময় অনেক শীত লাগছে। তবে আসার সময় তেমন বেশি শীত ছিল না। ধন্যবাদ আপু।
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। আপনার মাছ কেনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। বন্ধের দিন গুলোতে একটু ঘুমাতে পারলে কিন্তু ভালোই লাগে। আপনার কলিগ আপনাকে ঘুমাতে আর দিলনা।তবে এই কুয়াশামাখা শীতে ছাদ ছাড়া গাড়িতে কিভাবে গেলেন?? 🤔 বাবা রে, আমি হলে ওখানেই পরে থাকতাম।আপনার ঠান্ডা বুকে লাগবে এটার মধ্যে কোন ভুল নেই। মাসালা চা খেতে ভুলবেন না যেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,মাসালা চা খাওয়ার সুন্দর একটি পরামর্শ দিলেন।
যেদিন রাত্রি করে ঘুমাই এবং ভাবি যে সকালবেলা একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠবো সেইদিনই অনেক বেশি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয় আপনার ক্ষেত্রেও দেখছি একই ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে অফিসের কলেজ এসে আপনার ঘুম ভাঙিয়েছে এবং সাথে করে নিয়ে গিয়েছে মাছ কেনার জন্য। যাইহোক সকালবেলা বাস ভ্রমণ করাটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টসাধ্য কারণ তখন প্রচন্ড বাতাস থাকে যার কারণে নাক বন্ধ হয়ে আসে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম বড় বড় মাছ দেখার জন্য সত্যিই মনটা উতলা হয়ে আছে।
আপনার মাছ কেনার অভিজ্ঞতা তো আগেই দেখলাম। আর এই পোস্টে কিভাবে আপনারা এই শীতের ভোর বেলার আরামের ঘুম হারাম করে আপনাকে ২৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করে যেতে হল বাজারে সেটাও পড়লাম। সত্যিই এত ভোরবেলা বলেই রাস্তায় কোন গাড়ি ঘোড়াও নেই। তবে সত্যি এটা একদম ঠিক বলেছেন শীতকালে এত সকালবেলা উঠে কোন কাজ করতে মন মোটেই চায় না।তার উপর যদি ছুটির দিন হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।