২০৫ রান করেও হার! বাংলাদেশকে চমকে দিল আরব আমিরাত।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। ক্রিকেট এক অদ্ভুত খেলা। কখন যে কী হয়, বলা মুশকিল। বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। ২০৫ রানের বিশাল স্কোর গড়েও হারতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। আমিরাত এই ম্যাচে ইতিহাস গড়েছে। এটাই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এবং প্রথমবার বাংলাদেশকে সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরাজিত করল। এখন সিরিজ ১-১ সমতায়।
বাংলাদেশের ইনিংসে রানের বন্যা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু পরিণতি হতাশার। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মুডে।তানজিদ হাসান তামিম ৩৩ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে লিটন দাস করেন ৩২ বলে ৪০ রান, যা ভিত্তি গড়ে দেয় বড় রানের জন্য।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ২৭ রান করতে একটি জুটি গড়েন। তবে ইনিংসের সবচেয়ে বিধ্বংসী অংশ ছিল তাওহীদ হৃদয়ের ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৭.৫০, এবং তিনি মারেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কা।
শেষদিকে ঝড় তোলেন উইকেটকিপার জাকের আলী। মাত্র ৬ বলেই করেন ১৮ রান, ১টি চার ও ২টি ছক্কায়। ফলে বাংলাদেশের স্কোর ২০ ওভারে ২০৫ রান। বোলিং দিক থেকে আমিরাতের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন মুহাম্মদ জাওয়াদ উল্লাহ, যিনি ৩ উইকেট শিকার করেন।
২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই মারকুটে ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। তারা হয়তো জীবন মরন লড়াইয়ে নেমেছিল। ইনিংসের শেষভাগে তারা রীতিমতো ঝড় তোলে। বাংলাদেশি বোলাররা উইকেট নিলেও রান আটকে রাখতে পারেননি। বিশেষ করে শেষ ৫ ওভারে ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে একেবারে ফসকে যায়।
অপেনার মোহাম্মদ জোহাইব আর ওয়াসিমই ১২০ রান তুলে ফেলে। ওয়াসিম ৪২ বলে ৮২ রান তুলে। যেখানে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিল। মাঝখানে কিছুটা চাপে পড়লেও আটকাতে পারেনি স্বাগতিকদের। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ১৯.৫ ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আমিরাত।
বাংলাদেশ দলের জন্য এটি একটি লজ্জাজনক পরাজয়। ২০০+ স্কোর করেও ম্যাচ হেরে যাওয়া স্পষ্টতই বোঝায় যে শুধু রান করলেই হবে না, বরং বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও উন্নতি প্রয়োজন। অন্যদিকে, আমিরাত বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে, তারা আর ছোট দল নয়। নিজেদের দিনে তারা যেকোনো বড় দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।
বাংলাদেশ দলের জন্য এটা ছিল একটি বড় ধাক্কা। ২০৫ রান করেও হেরে যাওয়া কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের জন্য ইতিবাচক বার্তা নয়। বোলিং ইউনিটের দুর্বলতা, এবং চাপের মুহূর্তে সিদ্ধান্তহীনতা হারের মূল কারণ। তবে সিরিজ এখনো বাঁচানো সম্ভব। শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। দলকে চাই আরো পরিকল্পিত বোলিং এবং স্নায়ুচাপ সামলানোর দক্ষতা।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/RamimHa74448648/status/1924759221238984840?t=BY6Z_LiAgemVPSe_fSPu_w&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1924759683623203120?t=QqIUY3CJrasBw506CEN4Ig&s=19
আমি বাংলাদেশের খেলাটি শুরু থেকে লাস্ট অব্দি দেখেছি। এবং এটাও আশা করে রাখছি যে বাংলাদেশ এই ম্যাচটি জিতবে।কিন্তু কোথাকার খেলা কোথায় কিভাবে হয়ে গেলো এটাই বুঝতে পারতেছি না।যাই হোক বাংলাদেশ টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।এবং পরের ম্যাচে ভালো কিছু করবে এটাই আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।