আমি ভাগ্যকে বিশ্বাস করি।।10% beneficary for @shyfox ❤️
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্ডস,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। যে অবস্থায় থাকেন সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করেন। সৃষ্টিকর্তা কারো সাথে বেইমানি করে না। আমাদের জন্য যেটা ভাল হবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য সেটাই নির্ধারন করেছেন। সুখে থাকলেও শুকরিয়া আদায় করতে হবে আবার দুঃখে থাকলেও শুকিয়া আদায় করতে হবে। সুখ দুঃখ কোন কিছুই স্থায়ী নয়। দুঃখের পরে সুখ আসবে এটাই স্বাভাবিক। সৃষ্টিকর্তা এভাবেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারন করে রেখেছেন।
আজকে আমরা যেখানে আছি আগামীকাল যে এখানে থাকবো তার কোন গ্যারন্টি নাই। আজ ঘরে লাঞ্চ করে বের হয়েছেন ডিনার কোথায় করবেন সেটা নির্দিষ্ট করে করে বলতে পারবেন না। ভাগ্য বলে যে একটি বিষয় আছে সেটা সবাইকে মানতে হবে। আপনার ভাগ্যে আমার ভাগ্যে যা আছে সেটা ঘটবেই। আমার ভাগ্যে যেটা নেই শত চেষ্টা করলও আমি সেটা খেতে পারবো না। আর আমার ভাগ্যে যেটা আছে সেটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
গত কয়েক মাস আগে আমাদের অফিসে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুর একটা থেকে খাওয়া শুরু হলো। আমি আর আমার একজন অফিসের কলিগ নামাজ পড়ে যেতে যেতে ১.৩৫ মিনিট বেজে গেল। আমার কলিগ ভাইয়া ছিল হুজুর। খুব ভাল মানুষ সবসময় ইসলামের নিয়ম কানুন মেনে চলে। কারো কোন ক্ষতি করার চিন্তা স্বপ্নেও ভাবে না। আমি তিনিকে বললাম ভাইয়া তারাতারি চলেন খিচুড়ি শেষ হয়ে যাবে। তিনি আমাকে সুন্দর একটি কথা বলেছিলেন। তার কথাটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। তিনি বললেন “তোমার রিজিকে যা আছে তা না খাওয়া পর্যন্ত তোমার মৃত্যু হবে না আর তোমার রিজিকে যেটা নেই, শত চেষ্টা করেও সেটা খেতে পারবে না”।
আমরা মনে হয় প্রায় শেষে খিচুড়ি খেতে গিয়েছিলাম। যারা শেষে গিয়েছে তারা তুলনা মূলক ভাবে মাংস বেশি পেয়েছে। আমিও অনেক মাংস পেয়েছি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে অফিসে এসে এসব বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জানতে পারলাম আগে যারা খিচুড়ি খেয়েছে তারা দুই থেকে তিন টুকরা করে মাংস পেয়েছে। অথচ আমরা সবার শেষে গিয়ে আট থেকে দশ টুকরা করে মাংস পেয়েছি। হুজুর ভাইয়ার কথার ফলা ফলটা সাথে সাথেই পেয়ে গেলাম।
আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার শশুড় বাড়িতে লোক সংখ্যা বেশি থাকার কারনে আমার একটু অমত ছিল। কিন্তুু আমার আম্মা সেখানে বিয়ে করানোর জন্য এক পায়ে দাড়ানো ছিল। কারন তাদের ফেমিলিটা ছিল শত ভাগ ইসলামি মাইন্ডের ফেমিলি। হুজুর ভাইয়ার কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি বলেছিলেন বেশি মানুষ আর কম মানুষ তোমার রিজিক যে বাড়িতে আছে সেই বাড়িতে তোমার যাওয়া লাগবেই। তাতে তোমার ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক। আল্লাহ যে আমার রিজিকে এত খাবার রেখেছে সেটা আমি কল্পনাও করি নাই। শশুড় বাড়িতে সকাল বেলা নাস্তার কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
বন্ধুরা আজকে একটু ভিন্ন ধরনের পোষ্ট করলাম। হঠাৎ করে মন চাইলো মনের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন। সবাই সর্ব অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করবেন। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই প্রথমে আমি বলব এত সুন্দর সুন্দর খাবারগুলো পরিবেশন করেছেন যা দেখে ভাই আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে। আমি এমনিতেই অনেক মিষ্টি পছন্দ করি। মিষ্টি দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। অবশ্য আপনার ফটোগ্রাফি তে যেসব মিষ্টি আছে এগুলো সবই আমি খেয়েছি। হঠাৎ এখন দেখে তো আবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো।প্রতিটা মানুষের উচিত তার ভাগ্যকে বিশ্বাস করা। সৃষ্টিকর্তা তার ভাগ্যে যতটুকু যা লিখেছে সে ততটুকু পাবেই এতে কোন সন্দেহ নেই।তবে অনেক অনেক মজার মজার খাবার গুলো খেয়েছেন ভাই। সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া যার ভাগ্যে যে খাবার আছে সেটা সে খাবেই। সেটা দেরিতে হোক বা তারাতারি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রিজিকের বিষয়ে আমি নিজেই মাঝে মাঝে এমন সব ঘটনা দেখি যা দেখি নিজের চোখই কপালে উঠে যায়।মানে,একটা খাবার নিশ্চিত যেটা আমার খাওয়ার কথা সেটা আচমকা আরেকজনের রিজিকে চলে গেছে।আসলেই রিজিক না থাকলে হাজার চেষ্টার পরেও তা খাওয়া সম্ভব না।
জী ভাইয়া আমিও মাঝে মাঝে এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী আছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া শশুড় বাড়ি গিয়ে এতো সুন্দর খাবারের ছবি দিয়েছেন, যা দেখে লোভ লেগে গেল। আপনি একা তো খেতে পারবেন না, আমাদের সাথে নিয়ে যেতেন হা হা হা।এটা সত্যি ভাইয়া রিজিকের মালিক আল্লাহ। আর আমাদের ভাগে যা আছে তা তো হবেই।
জী আপু পরের বার গেলে আপনাকে সাথে নিয়ে যাবো,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
সৃষ্টিকর্তা যার রিজিক যেখানে নির্দিষ্ট করেন তাকে ঠিক সময় সেখানে পৌঁছে যেতে হবে।আর একটা কথা হচ্ছে যে জন্ম,মৃত্যু,বিয়ে সব কিছু হচ্ছে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার লীলা খেলা।উনি যেখানে ঠিক করেছেন ঠিক সেইখানে হবে।যেরকম ভাগ্যে লেখা থাকে ঠিক সেইরকমই হবে।আপনার খাবারের নাস্তা দেখে তো বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুন্দর একটি ফ্যামিলিতে আপনার বিয়ে হয়েছে।অনেক ভালো লেগেছে সুন্দর মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার ভবিষ্যৎ জীবন যেন খুব সুন্দর হয়।
জী আপু সৃষ্টিকর্তা সত্যিই মহান। তিনি বান্দার জন্য যেটা উত্তম সেটাই করেন। ধন্যবাদ আপু।
ভাগ্য বলে কথা।ভাগ্যে না থাকলে কাছে থাকলেও খাওয়া যায় না। রিজিকের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ ভাগ্যে যা রাখবেন তাইতো হবে। আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে গি্যে সকালের খাবারের কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন, খুব ভাল লাগলো। খুব লোভনীয়, আল্লাহ আপনার ভাগ্যে রেখেছেন তাই খেয়েছেন।এটাই চিরন্তন সত্যি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
জী আপু সৃষ্টিকর্তা কার ভাগ্যে কি রেখেছে সেটা বুঝা মুশকিল। ধন্যবাদ আপু।