বিভিন্ন প্রকারের ফুলের সমাহার।।

আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হ্যালো প্রিয় বন্ধু,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বিভিন্ন প্রকারের কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন। আশা করি আপনাদের কাছে ভালোই লাগবে।

এখন শীতকাল। বাহিরের আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমি নিজেও দুইদিন যাবৎ অসুস্থ। গত এক সাপ্তাহ ধরেই গরম পানি করে গোসল করতেছি। তারপরও কিভাবে যেন ঠান্ডা লেগে গেল। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে বেশি অসুস্থ হচ্ছে বাচ্ছারা। তাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে,বাচ্ছাদের সাবধানে রাখতে হবে। যথা সম্ভব গরম কাপড় ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে প্রকৃতির মাঝেও পরিবর্তন এসেছে। আমরা সবাই জানি যে কিছু ফুল,ফল,শাকসবজি শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। আবার কিছু গরম কালে বেশি পাওয়া যায়। আর কিছু আছে উভয় মৌসুমেই পাওয়া যায়। আজকে আমি যে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো সে গুলো বেশি অংশ বারো মাসই দেখা যায়। তবে শীত কাল আসলে একটু বেশি দেখা যায়। শীতের আবহাওয়ার সাথে ফুল গাছ গুলো সজিব হয়ে উঠে। তারা যেন নতুন জীবন পায়। সকাল বেলা ফুলের ফটোগ্রাফি ‍গুলো করেছিলাম। দেখতে অসাধারন লাগলো।

এটি হলো ক্যাকটাস ফুল। এই ফুলটি সারা বছরই পাওয়া যায় তবে শীতের বাতাস লাগলে বেশি ফুটে। সকাল বেলা ফুলটিকে দেখতে এতই সুন্দর লেগেছে যে মনে হয়েছে মাত্র ফুটেছে। দুই পাপড়ির ম্যাজেন্ডা কালারের ফুলেটিতে মাঝখানেও একটি কলি দেখা যায়। সেই কলির মধ্যেও আবার ছোট ছোট কুঁড়ি দেখা যায়। তবে রহস্যের বিষয় হলো এই ফুলটি আর বড় হবে না। এটাই তার শেষ মাত্রা।

এটি একটি ঔষুধি গাছের ফুল। অনেকে আবার বন্য ফুলও মনে করতে পারেন। বন-জঙ্গলে কত রকমের গাছ ও ফুল ফল দেখা যায়। যে উদ্ভিদ গুলোর নাম এবং গুনাগুণ আমরা জানি না। সে গুলোই আমাদের কাছে আগাছা মনে হয়। তবে যার কাছে এই উদ্ভিদ গুলোর গুনাগুণ সম্পর্কে অবগত আছে তাদের কাছে অনেক দামী। কথাই আছে,“রতনেই রতন চেনে”। আমরা খুঁজি কোথায় কে কোন কিছু তৈরী করে রেখেছে। আমরা শুধু ভোগ করার ধান্দা খুজি।

এই একটি ফুল যেটা পরিবেশকে খুবই সুন্দর করে। এই ফুলটিকে দুর্বা বা টাইম ফুল বলা হয়। এই ফুলটির বৈশিষ্ট্য হলো উপরের দিকে উঠে কম কিন্তুু চতুর্পাশে ছড়াই বেশি। এটির কয়েকটি কালার রয়েছে তবে সব থেকে বেশি নজর আকর্ষন করে এই ফুলটি। ফুল গাছটি ছোট হওয়ার কারনে হরহামেশায় যে কোন জাগায় মানুষ লাগাতে পারে। একটি গাছ লাগালে এক বছর পড়ে দশটা হয়ে যায়।

এটি একটি সবজির ফুল। সবজিটির নাম হলো কলমি। এই গাছটিকে উভয় চরের গাছ বলা যেতে পারে। আপনারা হয়তো লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন এই গাছটিকে স্থলের পাশাপাশি জলের মধ্যেও দেখা যায়। আমি যে ফটোগ্রাফিটা করেছি সেটা একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে রোপন করা হয়েছে। এই ফুলটিরও কয়েকটি কালার রয়েছে। জলের গুলো একটু মোটা থাকে।

এগুলো কি ফুল ঠিক বুঝতেছি না। দেখতে কিছুটা দুর্বা ফুলের মত লাগছে। কিন্তুু আমার জানা মতে দুর্বা ফুলের তো এত বড় পাপড়ি হয় না। আবার পাপড়ি গুলোও ছড়ানো,ভিতরে কলিও দেখা যায়। অল্প একটু জায়গার মধ্যে তেরটি ফুল দেখা যায়। একটি ফুল গাছ একটি পরিবেশকে কতটা সুন্দর করতে পারে,সেটা ছোট একটি ফুলের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।

সর্বশেষ যে ফুলটি দেখছেন এটি হলো লেবু ফুল। প্রকৃতির খেলা দেখেন প্রথমে চিকন চিকন পাপড়ি হয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে পাপড়ি গুলোর মাঝখানে ছোট একটি লেবুর কুড়ি দেখা যাচ্ছে। কুঁড়িটা যখন ধীরে ধীরে লেবুতে পরিপূর্ণ হতে থাকবে তখন পাঁপড়ি গুলো জড়ে পড়ে যাবে। এটাই প্রকৃতির খেলা। যার যতক্ষন প্রয়োজন আছে ততক্ষনই কদর থাকে। প্রয়োজন শেষ হলে নিজে থেকেই গুটিয়ে নিতে হয়। আর এই বাস্তবতা সবার ক্ষেত্রে,সব জিনিষের ক্ষেত্রে।

ধীরে ধীরে ব্লগের শেষ পর্যায়ে চলে আসলাম। বিদায় নিতে মন নাহি চায়,তবু বিদায় নিতে হয়। এটাও প্রকৃতির নিয়ম। যায়হোক সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে। সেই কামনা রেখেই, বিদায় নিলাম।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।