কিছু লোভনীয় ফুড ফটোগ্রাফি।।
হ্যলো প্রিয় স্টিমিট পরিবার,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে কিছু মজার মজার ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি লোভনীয় ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজকের লোভনীয় ফুড ফটোগ্রাফি গুলো আমি নিয়েছিলাম গত মাসের আট তারিখে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের দিন আমি এই খাবার গুলো খেয়েছিলাম। সিম্পলের মধ্যে দারুন স্বাদের ছিল খাবার গুলো। এগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় থাকে। খুবই পরিচিত কিছু খাবার। আমার আবার কোন খাবারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা বা অনিহা নেই। সব জাগায় সব ধরনের খাবার আমি খেতে পারি। যে কোন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। অনেক মানুষ আছে নিজের বাড়িতে যা তা খেতে পারে, অথচ কোথাও গেলে জমিদার হয়ে যায়। এটা খাবে না,ওটা খাবে না,মিনারেল ওয়াটার লাগে। আরো কত শর্ত জুড়ে দেয় বলা বাহুল্য। যায়হোক আমি আবার তেমন ধরনের মানুষ না। আমি সবার অবস্থা বুঝি,কোন জাগায় কি করা যাবে, কোন জাগায় কি করা যাবে না,সেটা খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারি। এবার মূল পর্বের দিকে যাওয়া যাক।
এই ফটোগ্রাফিটা আমি নিয়েছিলাম পিকনিকে গিয়ে। দোহার মৈনট ঘাটের ইলিশ বাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে। আমাদের জন্য এই পোলাউ গুলো রান্না করা হয়েছিল। আমরা সেখানে যাওয়ার পরে রেস্টুরেন্টের মালিক আমাকে দেখিয়ে বললো এগুলো আপনাদের জন্য রেডি করছি। দেখতে কিন্তুু দারুন লাগছে। খেতেও খুব স্বাদ লেগেছিল। এখানে প্রায় নব্বই জন মানুষের পোলাউ ছিল। দেখতে কম দেখা যায় তবে অনেক পোলাউ ছিল।
দেশীয় এক বিরল প্রজাতির মাছ ভুনা। এই মাছ গুলো আগে প্রচুর পাওয়া যেত। তবে এখন তেমন পাওয়া যায় না। আমাদের গ্রামের ভাষায় এগুলোকে খইয়া মাছ বলা হয়। এলাকা ভেদে বিভিন্ন নামে ডাকতে পারে। এই মাছ গুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে। সাধারনত খাল বিলের পানিতে এই মাছ গুলো পাওয়া যায়। বর্ষা চলে গেলে খাল বিলের পানি শুকিয়ে গেলে এই মাছ গুলো ধরা পরে।
আমার খুবই প্রিয় একটি ভাজি। গরম ভাতের সাথে এই করলা ভাজি খেতে দারুন লাগে। অনেক মানুষ আছে এগুলো কাঁচাই খেয়ে ফেলে। আবার কেউ কেউ প্রচুর পরিমানে তেলে ভেজে তারপর খেয়ে থাকে। আমি আবার বেশি তেল খাওয়া পছন্দ করি না। আমার শশুর বাড়ির মানুষ পারলে তরকারির মধ্যে তেলের জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। তারা আনলিমিটেড বাজার করে আনলিমিটেড রান্না বান্না খাওয়া দাওয়া করে। কোন কিছুতে তেমন হিসাব করে না। এভাবেই চলছে।
ফুলকপি দিয়ে রুই মাছের রেসিপি। খুবই কমন একটি তরকারি। সাধারনত সবার ঘরেই তৈরী করা হয়ে থাকে। তবে এখন ফুলকপির সিজন চলে যাচ্ছে। আগে যে হারে ফুলকপি পাওয়া যেত এই সিজনে তেমন ভাবে পাওয়া যায়নি। চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ চাষাবাদ করা ছেড়ে দিচ্ছে। পাচঁ দশ বছর পরে বাংলাদেশও সব কিছু বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করে আনবে। কেউ এখন চাষাবাদ করতে চায় না। কৃষির দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
আমার আরেকটি প্রিয় খাবার হলো এই টমেটোর টক। এখন আবার বাজারে প্রচুর টমেটো পাওয়া যাচ্ছে। কারন এখন টমেটোর সিজন চলতেছে। রমজান আসলেই টমেটোর দাম বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের একটি প্রবাদ চালু হয়ে গেছে,আর সেটি হলো অন্যান্য দেশের মানুষ রমজান মাসে পন্য বিক্রয়ের মধ্যে কোন ছাড় দেয় না। স্বাভাবিক ভাবে লাভ করে। আর রমজান মাসে মানুষের জন্য লাভেন পরিমান কমিয়ে ছাড় দিয়ে ব্যবসা করে। আর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এগারো মাস চুরি করে লাভ করে আর রমজান মাস আসলে কসাই হয়ে যায়। গলায় ছুরি লাগিয়ে পন্য নিতে বাধ্য করে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে আমার আর কিছু বলার নেই।
সর্বশেষ নিয়ে আসলাম বাঙ্গী বলের ফটোগ্রাফি। এখানে একটি সত্য কথা বলছি বাঙ্গী ফলটা আমার তেমন পছন্দ না। আমি আমার জীবনে মাত্র দুই থেকে তিনবার বাঙ্গী ফল খেয়েছিলাম। কিছুদিন পরে রমজান আসতেছে,এই ফলটা রমজানে দারুন চলে। ইফতারের সময় এই ফলের জুস দিয়ে মানুষ ইফতার করে। জুস বানিয়ে খেতে আবার দারুন লাগে। আমাদের অফিসের সামনে ভ্যান গাড়ি থেকে এই ফটোগ্রাফিটা সংগ্রহ করেছি। বাঙ্গী গুলো দেখতে খুবই টাটকা মনে হচ্ছে। তবে ভিতরে ফরমালিন গেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
বন্ধুরা এই গুলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে। আবার আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | কিছু লোভনীয় ফুড ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮ /০১/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
চমৎকার কিছু রেসিপি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝেমধ্যে এই সমস্ত ফুল ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লাগে আর যেন মনে হয় বিভিন্ন রেসিপি স্বাদ অনুভবে গ্রহণ করছি। সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া মজার মজার রেসিপি দেখতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
ওয়াও ভাই বেশ কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখতে দারুণ লাগছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন পড়ে বেশ ভালো লাগবে। সত্যি বলেছেন ভাই গরম গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি খাওয়ার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি খেতে দারুন লাগে।
ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখলে লোভ লেগে যায়। আপনি সেই নির্বাচনের পরে পিকনিকে গিয়ে খাবারের ফটোগ্রাফি এতদিন পর শেয়ার করলেন। যাই হোক ভাইয়া টমেটোর চাটনি টা কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। বাসায় বানাতে হবে।
জী আপু ফটোগ্রাফি গুলো করেছি অনেক আগে,আজকে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখতেছি খুব মজার মজার কিছু ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। দৈনিক দিন খাওয়ার মজার কিছু ফটোগ্রাফি করলেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে বাঙ্গী ফলটা ঠিকমতো চিনতে পারলাম না। মনে হয় আমরা এই ফলকে সাম্মাম ফল বলে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ফুড ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। ধন্যবাদ।
যখন যে খাবার পাওয়া যায়, সেটা খেয়ে নেওয়া ই হল ভদ্রতা। অনেকে আছে যে অনেক জায়গা গিয়ে খাবার নিয়ে বাহানা করে, এটা কিন্তু সত্যি। আমার নিজের চোখেও দেখা এরকম প্রচুর মানুষ রয়েছে। যাইহোক, আপনার খাবারে ফটোগ্রাফি গুলো অত্যন্ত লোভনীয় ছিল এবং প্রত্যেকটা খাবার দেখতে কিন্তু যথেষ্ট ভালো লাগছে। তবে আমার কাছে ফুলকপি দিয়ে রুই মাছের করা রেসিপিটার ফটোগ্রাফি বেশি সুন্দর লাগলো।
জী ভাইয়া বাহানা ধরা মানুষের অভাব নেই, তবে আমি এসব পছন্দ করি না । ধন্যবাদ।