হিট অ্যালার্ট জারি, সারাদেশে হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে।।
বাংলাতে ব্লগিং করার একমাত্র কমিউনিটি।।
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। আর এই ছয় ঋতুর মধ্যে প্রথম ঋতু হলো গ্রীষ্মকাল। এই বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইছে। আবহাওয়া অফিস থেকে তাপপ্রবাহের কারনে সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সামনের সাপ্তাহে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পার বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সব থেকে বেশি তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। সেখানে ৪২.৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশে এত বেশি তাপমাত্রার কারনে গত দুই দিনে ৮ জন মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। আর তারা সবাই পশ্চিম বঙ্গের মানুষ। সেখানে দেখা যায় তাপমাত্রার কারনে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। কি পরিমান তাপমাত্রা হলে রাস্তার পিচ গলে যায়,আপনারাই একবার চিন্তা করুন।
প্রচণ্ড এই গরমে মানুষের নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র এই গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী নারী এবং শিশুরা। সেই সাথে যাদের দীর্ঘ মেয়াদি রোগ রয়েছে তারাও এই ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও শ্রমজীবী মানুষ, যারা রোদের মধ্যে কায়িক পরিশ্রম করে, রিকশা ভ্যান চালায়, নির্মাণ শ্রমিক তাদের জন্যও ঝুঁকিটি বেশি। ডাক্তাররা গর্ভবতী নারী, বয়স্ক মানুষ, শিশুদের ক্ষেত্রে বলছেন, প্রয়োজন না হলে তারা যেন বাসার বাইরে বের না হয়। যদিও কোন জরুরী কাজে বের হয় অবশ্যই সঙ্গে পানি, ছাতা, সম্ভব হলে খাবার সেলাইন এগুলো নিয়ে যেন বের হয়। আর যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে বলতেছেন।
এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা খুবই জরুরী। অনেক মানুষ রয়েছে তীব্র রোদ থেকে বাসায় ফিরে বা দোকান থেকে আইস মিশ্রিত ঠান্ডা পানি,কোল্ডিংস,আইসিক্রম,অন্যান্য কোমল পানীয় সাথে সাথে খেয়ে ফেলেন। এটা কখনোই করা যাবে না। প্রচন্ড ঠান্ডা কোন কিছু খাওয়া যাবে না। একটু রেস্ট নিয়ে, শরীর ঠান্ডা করে,মৃদু ঠান্ডা জিনিষ খেতে হবে। হঠাৎ ঠান্ডা কোন কিছু খেলে গলা বসে ফুলে যেতে পারে। আর রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের শরবত বিক্রয় করে থাকে। এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলতেছেন। কারন এগুলো পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি নয়,আর এখানে তারা যে বরফ গুলো ব্যবহার করে সেটাও খাওয়ার বরফ নয়। তাছাড়া তারা চিনির বদলে মিষ্টি করার জন্য রাসায়নিক বস্তু ব্যবহার করে থাকে। এগুলো পান করলে প্রথম দিকে প্রশান্তি লাগলেও পরে ক্ষতি হতে পারে সুতরাং এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এই প্রচন্ড গরমে ঘামে আমাদের শরীর থেকে লবন ও পানি বের হয়ে যায়। এই লবন ও পানিশূন্যতার কারণে আমাদের শরীর দূর্বল হয়ে যেতে পারে, মাথা ঘুরতে পারে, বমি বমি লাগতে পারে। গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হতে পারে। হিটস্ট্রোকের কারনে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, কেউ কেউ মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে জ্ঞানও হারাতে পারে। এই বিষয় গুলো অনূভব করলে বা ক্লান্ত লাগলে দ্রুত ছায়ার নিচে অবস্থান নিতে হবে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে। এই গরমে যথা সম্ভব আঁটসাঁট জামা কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সুতি কাপড় পড়তে হবে। বাসা থেকে বের হয়ার সময় অবশ্যই পানি রাখতে হবে।
আর এই গরম থেকে আমাদের স্থায়ী ভাবে বাঁচতে হলে গাছ লাগাতে হবে। আগে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে গাছ ছিল। কিন্তুু মানুষ নিজের প্রয়োজনে গাছ কাটে ঠিকই কিন্তুু আর গাছ লাগায় না। শহরে প্রতিদিন নতুন নতুন বেল্ডিং উঠছে কিন্তুু কোথাও গাছ লাগায় না। উল্টো আরো কোথাও গাছ থাকলে সেটা কাটার ফন্দি করে। দুষ্কৃতিকারীরা ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের সাথে আতাত করে পাহাড়ে কেটে,বনজঙ্গল কেটে উজার করে দিচ্ছে। এই বিষয়টি উপর মহলের কোন ব্যাক্তি দেখছে না। যারা এই বিষয় গুলো দেখবে,পরিবেশ রক্ষার কাজে যারা দায়িত্ব পালন করছে তারা তো ঠান্ডা রুমে এসির বাতাস খায়। তাদের গায়ে গরম বাতাস লাগে না। জনগনের রক্ত ঘামের টাকায় তারা ঠান্ডা বাতাস খায়। যদি একবার গ্লাস করা এসি রুম ছেড়ে বাহিরে বের হতো, তাহলে জনগনের কষ্ট কিছুটা হলেও বুঝতো।
আমাদের জনগনেরও অনেক দুষ আছে। আমরাও গাছ লাগাতে চাই না। কারো গাছের ডালপালা আমাদের বাড়িতে আসলে আমরা জগড়া লাগিয়ে দেয়। কোথাও কোন গাছ থাকলে সেটা কিভাবে কেটে ফেলা যায়, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকি। নিজে তো গাছ লাগায় না,অন্য মানুষ গাছ লাগালে সেটাও সহ্য করতে পারি না। এই গরম থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থেকে বাঁচাতে হলে গাছ লাগাতে হবে। নদী দুষণ থেকে বিরত থাকতে হবে। পলিথিন ব্যবহার কমাতে হবে। যারা পরিবেশকে মুক্ত রাখতে কাজ করে,তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে এই গরমে শত্রু মিত্র সবাই কষ্ট করছে। আপনার আমার ছেলে মেয়েরা কষ্ট করছে। আপনি আমি গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। সুতরাং এই গরম থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে আমাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। বেশি করে গাছ লাগান,পরিবেশ বাঁচান,নিজে বাঁচুন, আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচান।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে এবছর তাপমাত্রা এত পরিমাণ যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাছাড়া বৃষ্টিপাত নেই সেজন্য তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছে। মাঠের ফসল মানুষের জীবন যাপন সব যেন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমান খুবই খারাপ অবস্থা। এই তাপমাত্রায় অনেক মানুষ স্টক করে মারা যাচ্ছে। সবাই অস্বস্তির মধ্যে বিরাজমান। অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভালো লাগলো পড়ে।
জী ভাইয়া হঠাৎ করে হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, এটা খুবই টেনশনের বিষয়। ধন্যবাদ।
এই অভ্যাস টা আমার আছে। অতিরিক্ত গরমের জন্য ঠান্ডা পানি সফট ড্রিঙ্কস আমি একটু বেশিই খাচ্ছি। জানি এটা ক্ষতিকর কিন্তু তারপরও ছাড়তে পারছি না। হিট স্ট্রোক এই ব্যাপার টা ভয়াবহ একটা রুপ ধারণ করেছে। এবং এটার স্বীকার হচ্ছে বাইরে কাজ করা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আল্লাহ্ জানে কবে এই তাপমাত্রা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ভাইয়া যেহেতো বুঝতেছেন অতিরিক্ত ঠান্ডা জিনিষ খেলে ক্ষতি হবে। তাহলে সেটা ছাড়ার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া এই প্রচন্ড গরমের কারণে স্টক এর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। আমার কাছে যেন মনে হচ্ছে এই বছর সর্বকালের সব থেকে বেশি গরম পড়ার রেকর্ড ভঙ্গ হয়ে যাবে। আমাদের এলাকাতেও প্রতিদিন ৪২° সেলসিয়াস এর উপরে তাপমাত্রা থাকে।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন,এই বছর গরম সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। ধন্যবাদ।