নুসাইবার জন্য নতুন ট্রাইসাইকেল, আনন্দের নতুন অধ্যায়।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
শিশুরা সবসময়ই আনন্দের উৎস। তাদের ছোট ছোট হাসি, খুনসুটি আর খেলার দুষ্টুমিতে ঘর ভরে ওঠে। তবে শিশুকে ব্যস্ত রাখা, বিশেষ করে যখন সে দেড় বছরের মতো বয়সে পৌঁছায়, তখন অভিভাবকদের জন্য তা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। আমার ছোট্ট সোনামণি নুসাইবা বর্তমানে দেড় বছরের এবং এই বয়সে সে মোটামুটি ভালোই হাঁটতে পারে। কিন্তু সারাদিন বাসায় একা থাকায় ওর মায়ের জন্য অনেকটা সময় হয়ে ওঠে কষ্টকর, কারণ ওর এক মুহূর্ত শান্তি নেই, কখনো খেলনা ছুড়ে ফেলে, এটা ফেলে দেয়, ওটা ফেলে দেয়, কখনো ঘরের এক কোণ থেকে অন্য কোণে ছুটে বেড়ায়।
এই কারণেই আমি নুসাইবার জন্য কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম, যাতে ওর খেলার আনন্দও হয় এবং মায়ের জন্যও কিছুটা স্বস্তি আসে। দুইদিন ধরে চিন্তা ভাবনা করলাম, ইউটিউব ভিডিও দেখলাম, বন্ধুবান্ধবদের পরামর্শ নিলাম। সবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম, নুসাইবার জন্য একটি বেবি ট্রাইসাইকেল কিনবো।
ট্রাইসাইকেল শুধু একটা খেলনা নয়, এটা শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা দিয়ে খেলার মাধ্যমে শিশুদের পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়, ব্যালেন্স শেখে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাছাড়া ট্রাইসাইকেল থাকলে বাচ্চারা অনেক সময় ব্যস্ত থাকে, যা বাবা-মায়ের জন্য অনেক বড় স্বস্তি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমাদের অফিসের পাশের একটি মার্কেটে গেলাম। সেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ট্রাইসাইকেল দেখলাম, কিছু দামের দিক দিয়ে অনেক বেশি, আবার কিছু মানের দিক দিয়ে তেমন ভালো লাগেনি। শেষ পর্যন্ত আমার সাধ্যের মধ্যে যেটি সবচেয়ে ভালো মনে হলো সেটি বেছে নিলাম। সেটি হলো Rock Rider ব্র্যান্ডের হলুদ রঙের একটি সুন্দর ট্রাইসাইকেল।
ট্রাইসাইকেলটির ডিজাইন দেখতে আকর্ষণীয়, রঙের মিশ্রণও বেশ সুন্দর। সিটটি আরামদায়ক, হ্যান্ডেল শক্ত এবং টেকসই মনে হলো। এছাড়া এর পেছনে একটি হ্যান্ডেল আছে, যা দিয়ে মা বা বাবা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। দাম পড়েছে ২৫০০ টাকা।আমার মনে হয়েছে এই দামে মানের দিক থেকে এটি যথেষ্ট ভালো।
গতকাল ট্রাইসাইকেলটি নিয়ে বাসায় ফিরলাম। নুসাইবা যখন প্রথম দেখল, তার চোখ-মুখের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ওর ছোট্ট হাতদুটো দিয়ে হ্যান্ডেল ধরে বসে পড়ল, পা দিয়ে প্যাডেল ঘোরানোর চেষ্টা করতে লাগল। যদিও পুরোপুরি প্যাডেল চালাতে এখনো পারে না, তবুও বারবার চেষ্টা করছে, এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয়।
মায়ের মুখেও এখন হাঁসি। অন্তত কিছু সময়ের জন্য নুসাইবা তার নতুন ট্রাইসাইকেল নিয়ে খেলে ব্যস্ত থাকে। আমি যখন ওকে সাইকেলে বসিয়ে দেখি, মনে হয় আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
একজন অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে খুশি করার আনন্দ সত্যিই অপরিসীম। ২৫০০ টাকার ট্রাইসাইকেল হয়তো দামি কোনো জিনিস নয়, কিন্তু আমার কাছে এর মূল্য অসীম, কারণ এটি আমার নুসাইবার হাঁসি এনে দিয়েছে। জীবনের ছোট ছোট জিনিসই আমাদের সবচেয়ে বড় সুখের উৎস, আজ তা আবার প্রমাণ হলো।
আপনাদের মধ্যে কেউ যদি বাচ্চাদের জন্য ট্রাইসাইকেল কেনার কথা ভাবেন, আমার পরামর্শ থাকবে, আপনার সাধ্যের মধ্যে ভালো মানের একটি ট্রাইসাইকেল কিনুন। শিশুর হাঁসি আপনার সব ক্লান্তি দূর করে দেবে, ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
স্থান | শিবুমার্কেট, নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1946461902126895616?t=dDSwkF9f7iq_Qq4PHHCR2Q&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1946462831840559597?t=rrwuqOsKUbSrHzn5PiowjA&s=19
এই বয়সটায় বাচ্চারা খুব চঞ্চল হয়। নতুন নতুন কাজ করে আনন্দ পায়। তাই তাদের সাথে সব সময় থাকতে হয়। তা নাহলে কোন দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারনে মার রেস্টও হয় না। আর বাচ্চাদের এ ধরনের খেলনা মানষিকর ও শারীরিক বিকাশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাইকেলটি কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে।
জী না ঘুমানো পর্যন্ত কোন শান্তি নাই। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।