অফিসে অংশগ্রহন কারী নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার অনুভূতি।।
বাংলা ভাষার নাম্বার ওয়ান কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের অফিসে অংশগ্রহন কারী নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার অনুভূতি শেয়ার করবো। এটা একটি নতুন অভিজ্ঞতা।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। আমি এখানে প্রায় দশ বছর যাবৎ কাজ করতেছি। এই ধীর্ঘ বছরে ভালো খারাপ অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষের সাথে চলাফেরা করেছি। সব থেকে বড় অভিজ্ঞতা হলো যে, বাস্তবতা বুঝেছি, পৃথিবীটাকে কিছুটা হলেও চিনতে পেরেছি। জীবন মানে কি, সেটা হারে হারে বুঝতেছি। জীবন চলার পথে সামনে হয়তো আরো অনেক অভিজ্ঞতা হবে।
বর্তমানে আমার বয়স প্রায় ২৭ বছর। আমার এই জীবনে আমি এখনো আমাদের দেশের কোন নির্বাচনে ভোট দেয়নি। আমি ভোটার হয়ে পরে ২০১৮ আর ২০২৪ দুইটি জাতীয় নির্বাচন দেখেছি। দুটি উপজেলা ও ইউনিয়ন প্রর্যায়ের নির্বাচন দেখেছি। তারপররেও আমি কোন নির্বাচনে ভোট দেয়নি, কারন আমি জানি আমার ভোটের কোন মূল্য দিবে না। ভোটের আগেই জানি, রেজাল্ট কেমন হবে। সেই জন্য কোন সময় ভোট কেন্দ্রেও যায়নি। তবে সামনের নির্বাচনে দিতে পারবো, এমন আশা করতেছি। আমার এই ছোট জীবনে আমি আমাদের অফিসে দুইবার অংশগ্রহন কারী নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছি। ২০২২ সালে প্রথমবারের মত দায়িত্ব পালন করেছিলাম। আর আজকে দ্বিতীয় বারের মত দায়িত্ব পালন করলাম, রেজাল্ট ঘোষনা করে এখন পোস্ট লিখতে বসলাম।
গত মাসেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করে হয়েছিল। এই মাসের আট তারিখ প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই প্রার্থীরা ভোটের প্রচার প্রচারনা চালানো শুরু করে। ধীরে ধীরে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আসলো। গত সতের তারিখ বিকাল চারটার সময় কন্ফারেন্স রুমে ডেকে নির্বাচনের দিন যারা প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে তাদেরকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আজকে সকাল সাড়ে নয়টার সময় কন্ফারেন্স রুমে গিয়ে আমি ভোট গ্রহনের সকল সরঞ্জাম নিয়ে আমার ডেস্কে আসলাম। নির্বাচনের দিন যারা প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে তাদেরকে নির্ধারিত টি-শার্ট দেওয়া হয়। গরমের কারনে আমি আমার শার্ট খুলে টি-শার্টটি পড়ে নিলাম। তারপর বক্স নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গেলাম।
সকাল দশটা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়। আমার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ১২২ জন। সবাই ধীরে ধীরে ভোট দিতে থাকে। ভোটাররা আসলে প্রথমে লিষ্টে নাম আছে কিনা সেটা চেক করি, তারপর ব্যালট পেপারে তাদের সিগ্যনেচার নিয়েছি, তারপর ব্যালট পেপারে নির্ধারিত অংশ ছিঁড়ে ভোটারদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছি। তারা গোপন কক্ষে গিয়ে নির্ধারিত মার্কায় সিল মেরে পেপার ভাজঁ করে ব্যালেট বক্সে ফেলে দেয়। আমরা আবার মার্কার দিয়ে তাদের আঙ্গুলে দাগ দিয়ে দেয়। যেন আবার এসে জাল ভোট না দিতে পারে। এভাবে দুপুর একটা পর্যন্ত ভোটের কার্যক্রম চলেছে। যোহরের আজান দেওয়ার হলে নামাজ এবং লাঞ্চের জন্য এক ঘন্টা বিরতি দেওয়া হয়। নামাজ ও লাঞ্চ করার জন্যা ভোট কেন্দ্রের বাহিরে যাওয়া নিষেধ। দুপুর একটার সময় আমাদের টেবিলে খাবার এসে হাজির। আমরা নামাজ আদায় করে লাঞ্চ করে নিলাম। অফিসের নির্বাচন কমিশেনের পক্ষ থেকে দুপুরের লাঞ্চের জন্য মোরগ পোলাও দেওয়া হয়।
দুইটা থেকে আবার ভোট শুরু হয়ে, বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়েছে। আমার কেন্দ্রে ১২২ জন ভোটারের মধ্যে ১১৭ জন ভোট দিয়েছে। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে চারজন ছুটিতে আর একজন অসুস্থ আসতে পারে নাই। বিকাল চারটার সময় সব ভোট কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরু হয়। আমার এখানে তিনজন প্রার্থী ছিল। আনারস পেয়েছে, তিন ভোট, আম প্রতীক পেয়েছে ৬১ ভোট , ফুটবল প্রতীক পেয়েছে ৫২ ভোট আর একটি ভোট নষ্ট হয়েছে। এই হলো সর্বমোট ১১৭ ভোট। ফলাফল ৬১ টি ভোট পেয়ে আম প্রতীকের মোঃ জালাল উদ্দীন বিজয় হয়েছে। এখন দেখা যাক বিজীয় প্রার্থী কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য কি সুযোগ সুবিধা আদায় করতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | অফিসে অংশগ্রহন কারী নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার অনুভূতি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৯/০৯/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
মোঃ জালাল উদ্দীন ভাইকে অভিনন্দন নির্বাচিত হবার জন্যে। আশা করা যায় ভোটারদেরকে দাবী দাওয়া তিনি পুরণ করবেন, সরকারীর এম পি দের মত হবেন না!
অভিনন্দন আপনাকেও সুন্দর ভাবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্যে।
আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশান (American Diabetic Association- ADA) এর মতে, একজন বয়স্ক ডায়াবেটিস রুগী (১৮ বছরের উর্দ্ধে) কে প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মধ্যম মাত্রার (moderate-intensity exercise) শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। অথবা, প্রতি সপ্তাহে ৭৫ মিনিট কঠোর মাত্রার (vigorous-intensity exercise) শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। মাংশপেশী (Muscle-strengthening exercise) গঠনের জন্যে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সপ্তাহে দুই দিন বা তার বেশী।
কিভাবে বুঝবো ব্যায়ামের তীব্রতা কেমন হচ্ছে?
এটার জন্যে আগে বের করা লাগবে একজন মানুষের ম্যাক্সিমাম হার্ট (Maximum Heart Rate-MHR) রেট কত হতে পারে। এটা বয়সের উপর নির্ভর করে। সূত্রঃ MHR=২২০- বয়স। [উদাহরণঃ একজনের বয়স ৪০ বছর। তার MHR=২২০-৪০=১৮০ বিটস/মিনিট]
কঠোর মাত্রার ব্যায়ামঃ ব্যায়াম করা অবস্থায় কারও হার্ট রেট যদি তার নিজস্ব MHR এর ৭০% বা তার উপরে যায় তাহলে সেটাকে কঠোর মাত্রার ব্যায়াম হিসাবে ধরা যাবে। [উদাহরণঃ ৪০ বছর বয়স্ক লোকের কথায় ধরা যাক যার MHR হচ্ছে ১৮০ বিটস/মিনিট। তার MHR এর ৭০% হচ্ছে ১২৬ বিটস/মিনিট। অর্থাৎ তার হার্ট রেট ১২৬ বিটস/মিনিটের উপরে গেলেই বলা যাবে যে তিনি কঠোর মাত্রার ব্যায়াম করছেন]
মধ্যম মাত্রার ব্যায়ামঃ যখন হার্ট রেট তার MHR এর ৫০%-৭০% মধ্যে থাকবে। [উদাহরণঃ উপরের ব্যক্তির হার্ট রেট ৯০-১২৬ বিটস/মিনিটের মধ্য থাকলে বলা যাবে যে উনি মধ্যম মাত্রার ব্যায়াম করছে।]