সাউথ আফ্রিকার সাথে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ বাংলাদেশ।।
আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি-
গত দুই মাস আগে পাকিস্তানের সাথে দুইটি টেস্ট জিতলেও গত মাসে ভারতের সাথে টানা দুইটি টেস্ট ম্যাচ হেরেছে টিম বাংলাদেশ। ভারত সফর শেষ করে দেশে আসার পরেই মাঠে নামতে হলো টাইগারদের। কারন সাউথ আফ্রিকা দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে এই মাসের প্রথম দিকেই বাংলাদেশে চলে আসে। তারা টাইগারদের সাথে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেই আবার ফিরে যাবে। বাংলাদেশ টিমের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। তারা এখন নিয়ম রক্ষার খেলায় অংশ গ্রহন করে। খেলা জেতার আশা তাদের নেই। যদি তারা খেলা জিতার জন্য মাঠে নামতো তাহলে তাদের খেলার অবস্থা এমন হতো না।
গত ২১শে অক্টোবর বাংলাদেশ টাইম সকাল এগারোটায় শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার মধ্যেকার প্রথম টেষ্ট খেলাটি শুরু হয়। এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের হয়ে অপেনিং করে মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। বাংলাদেশ টিম প্রথম দিকেই সাদমান ইসলামের মাধ্যমে ধাক্কা খায়। সে চার বল খেলে মুল্ডার বলে মার্কারামের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়ে। তারপর মুমিনুল শান্ত একই রাস্তা ধরে। জয় কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করছিলো। তবে তাকে কেউ সাপোর্ট দিতে পারছিলো না। সে অবশ্য ৯৭ বলে ৩০ রান করে। অন্য দিকে মুমিনুল চার, শান্ত সাত, মুশফিক এগারো, লিটন এক রান করে। এভাবেই সবাই খেলেছে। কেউ এক সংখ্যাতে সীমাবদ্ধ আর কেউ দুই সংখ্যার ঘরে প্রবেশ করলেও, কুড়ি আর টপকাতে পারে নাই কেউ। বাংলাদেশ নিজেদের ঘরের মাঠে এমন বাজে খেলবে কেউ চিন্তাও করতে পারে নাই। সব মিলিয়ে ১০৬ রান করে ঘুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
সাউথ আফ্রিকার পক্ষে মার্করাম ও টনি ডি জর্জি অপেনিং ব্যাটিং করে। তবে মার্করাম ছয় রান করে আউট হয়ে যায়। জর্জি ৭২ বলে ৩০ রান করে। তারপর ট্রিস্টান স্টাবস ও বেডিংহাম দুই জন নেমেও বেশিক্ষন থাকতে পারে নাই। স্টাবস সাতাইশ বলে ২৩ রান ও বেডিংহাম পচিঁশ বলে ১১ রান করে। আর ব্রিটজকে শূন্য রানে আউট হলেও খেলার মূড় ঘুরিয়ে দেয় ভেরেইন ও মুল্ডার। ভেরেইন তো ১৪৪ বলে ১১৪ রান করে। আর মুল্ডার ১১২ বলে ৫৪। ভেরেইন একা যে রান করেছে বাংলাদেশের সবাই মিলেও সেই রান করতে পারে নাই। দুই জন মিলেই ১৬৮ রান যোগ করে। পেডিট এসেই ৩২ রান করলে সব মিলিয়ে ৩০৮ রান তুলে সাউথ আফ্রিকা। ফলে ২০২ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সাদমান ও মুমিনুল পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়। তবে জয় ৯২ বলে ৪০ রান তুলে। শান্ত তেইশ ও মুশফিক ৩৩ রান করে আউট হয়ে যায়। লিটন এবারও নিজেকে প্রমান করতে পারে নাই। তবে কিছুটা রান করেছে মেরাজ ও জাকের আলী। মেরাজ ১৯১ বলে ৯৭ ও জাকের আলী ১১১ বলে ৫৮। নাঈম হাসান ১৬ রান করলে সব মিলিয়ে ৩০৭ রানে সব কয়টি ইউকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও সবাই ব্যর্থ হয়। নিজেদের মাঠে নিজের পরাজয় ডেকে আনে। কেউ মনযোগ দিয়ে খেলে নাই। বা খেলার চেষ্টাও করে নাই। যে যার মত করে খেলে চলে এসেছে।
১০৫ রানের লিড নিয়ে খেলা শুরু করে সাউথ আফ্রিকা। তারা খুব সহজেই জয় তুলে নেয়। লাষ্ট ইনিংসে জর্জি করে ৫২ বলে ৪১ রান ও মার্কারাম ২৭ বলে ২০ রান। তারপর ট্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড বেডিংহাম এসেই জয় তুলে নেয়। স্টাবস ৩০ ও বেডিংহাম ১২ রান করে। সল্প রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ বেশিক্ষণ ফাইট করতে পারে নাই। তবে সাউথ আফ্রিকার তিনটি উইকেট পড়েছিল। অন্যদিকে রাবাদা দুই ইনিংস মিলে নয় উইকেট তুলে নাই। রাবাদর কাছেই তুলোধুনো হয় বাংলাদেশ। মহারাজ ও ছয় উইকেট পায়। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম সর্বউচ্চ ছয় উইকেট পায়।
নিজের মতামত প্রকাশ করার ইচ্ছা ছিল না। তারপরেও দুই একটি কথা বলতে চাই। বাংলাদেশ টিমের ভবিষ্য অন্ধকার। তারা যদি খেলার মধ্যে মনযোগ না দেয়, তাহলে বেশি দিন বাকি নেই বাংলাদেশ ও কেনিয়া, হংকং এর মত ক্রিকেট খেলা থেকে হারিয়ে যাবে। এখনও সময় আছে, বিসিবির উচিৎ খেলা জিতলে যেমন পুরষ্কার দেয়, খারাপ খেললে জরিমানা করতে হবে। তাহলে তাদের হুশ ফিরে আসবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আসলে ঘরের মাঠ হোক আর বাইরের মাঠ হোক তারা সব সময় হারতে থাকে এটাই যেন স্বাভাবিক। সাউথ আফ্রিকার সাথে কারো যেভাবে হেরে গিয়েছে তা দেখেই খারাপ লাগছে। আপনি এই খেলাটির রিভিউ শেয়ার করেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া সাউথ আফ্রিকার সাথে এভাবে হারবে আমরাও বুঝতে পারি নাই। ধন্যবাদ।
ঘরের মাঠে তো ইনিংস ব্যবধানে হারা লাগত। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের চমৎকার একটা ইনিংসের জন্য মোটামুটি সম্মানজনক ভাবে হেরেছে। সাউথ আফ্রিকার সামনে বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারবে না এটা একেবারে স্বাভাবিক বিষয়।
খেলায় হার জিত আছে । কিন্তু এভাবে লজ্জা জনক হার আশা করি নাই। ধন্যবাদ।