টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে ভারত থেকে হতাশ হয়ে ফিরছে টিম বাংলাদেশ।।
বাংলা ভাষায় মন খুলে কথা বলো
গত মাসের ১৯শে সেপ্টেম্বর দুইটি টেষ্ট ম্যাচ ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে ভারতে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। তবে বাংলাদেশ টিমের এই সফর আশার আলো জাগাতে পারে নাই। বরং হতাশা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে টিম বাংলাদেশকে। আমরা বাংলাদেশি হিসাবে টিম বাংলাদেশের কাছে কোন সিরিজ জয়ের আশা করতে না পারলেও ফাইটিং একটি খেলা দেখার আশায় ছিলাম। খেলার মধ্যে হার জিতে আছেই, সেটা খেলার মধ্যে থাকবেই এটাই স্বাভাবিক। তবে আকাশ আর পাতাল ব্যাবধানের খেলা আশা করি নাই।
বাংলাদেশ টিম প্রায় পচিঁশ বছর যাবৎ খেলতেছে। অথচ এত বছরেও এই টিম আন্তর্জাতিক কোন সফলতা অর্জন করতে পারে নাই। অথচ এর থেকে অল্প সময়েও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভালো পর্যায়ে চলে গেছে। যার উদাহরন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ সয়ং আফগানিস্তান। আমরা চাই বাংলাদেশ টিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে খেলে শিখুক। খেলা শেখার কোন শেষ নাই। তবে তাই বলে এত বছর যাবৎ শিখবে সেটা বুঝতে পারি নাই। আমি তো ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি আমাদের দেশের খেলোয়ারগণ অর্থ ইনকামের জন্য খেলায় যুক্ত হয়। আর তাদের এত অহংকার বলে শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশ টিমের এই অবনতির জন্য দায়ী বিসিবি কর্তৃপক্ষ। কোন একটি খেলা জিততে পারলেই কোটি কোটি টাকা উপহার দেওয়া হয়। অথচ কোন ম্যাচ হারলে জিঙ্গাসাবাদও করে না। খেলোয়ারগন ঠিক ভাবে অনুশীলন করে কি না সেটার খোঁজখবরও রাখে না। মানে লুটের মালের মত আসছে যাচ্ছে আর খাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থ গুলো নষ্ট করছে। এত বাজে খেলা আমি আর কখনো দেখি নাই। যায়হোক গতকালকের সম্পূর্ণ খেলাটা রিভিউ করতেছি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধা সাড়ে সাতটার সময় হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-২০ এর শেষ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সন্ধা সাতটার সময় টিম ইন্ডিয়া টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। যথা সময়ে স্যামসন ও অভিষেক শর্মা ব্যাটিং করে। অভিষেক শর্মা চার চলে চার রান করার পরে তানজিমের বল খেলেতে গিয়ে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ ধরা আউট হয়ে যায়। তারপর আসে সূর্যকুমার যাদব। অপেনার স্যামসন আর সূর্যকুমার যাদব মিলে এমন তান্ডব শুরু করে যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যে বলার বোলিং করতে এসেছে সেই বাউন্ডারী খেয়েছে। স্যামসন তো মনে হয় ক্রিকেট বলকে ফুটবল মনে করে খেলেছে। সে ৪৭ বলে ১১১ রান করে। যার মধ্যে এগারোটি চার ও আটটি সিক্স রয়েছে। তার স্টাইক রেট ছিল- ২৩৬.১৭। অপর পাশের সূর্যকুমার যাদব ও ৩৫ বলে ৭৫ রান তুলে। তারপর রিয়ান পরাগ ও হার্দিক পান্ডিয়া এসে আরেক তান্ডব শুরু করে। তাদের ব্যাটে বল লাগলেই যেন বাউন্ডারীতে চলে যায়। রিয়ান পরাগ তের বলে ৩৪ ও হার্দিক পান্ডিয়া আঠারো বলে ৪৭ রান করে। সব মিলিয়ে ২০ ওভার খেলে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান তুলে।
টিম বাংলাদেশের পক্ষে ২৯৮ রানের বিশাল বড় টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে ইমন ও তানজিদ হাসান। ইমন মায়াঙ্ক যাদবের প্রথম বল খেলতে গিয়েই রিয়ান পরাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়ে। তানজিদ হাসান কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করলেও টিকে থাকতে পারে নাই। বারো বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর আসে ক্যাপটেন। সে তো কমপক্ষে দায়িত্ব নিয়ে খেলার দরকার ছিল। কিন্তুু চার ছয়ের দুইট বাউন্ডারী দিয়ে এগারো বলে ১৪ রান করে চলে যায়। তারপর লিটন ও তৌহিদ হৃদয় কিছুটা ধৈর্যের পরিচয় দেয়। তারা দুইজন কিছু শর্ট খেলেছে। লিটন পচিঁশ বলে ৪২ ও তৌহিদ হৃদয় ৪২ বলে ৬৩ রান করে অপরাজি থাকে। কারন তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারে নাই। লিটন চলে যাওয়ার পরে যারা এসেছে তারা দুই চারটি করে বল খেলে আউট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ২০ ওভার শেষ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান জমা করতে সক্ষম হয় টিম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশর পক্ষে তানজিদ চার ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে তিন উইকেট পায় অপর দিকে ভারতের পক্ষে রবি বিষ্ণোই বল করে ৩০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পায়। ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত হয় স্যামসন ও ম্যান অফদা সিরিজ নির্বাচিত হয় হার্দিক পান্ডিয়া। আর বাংলাদেশ পেয়েছে এক বুক হতাশ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বাংলাদেশ টিম নিয়ে বড় কিছু বলার নেই ভাই। তারা এতোটা হতাশ করছে যা বলার বাইরে।আসলে বাংলাদেশ বিসিবি ঠিক থাকলে সব কিছু করা যেতো।আমার মনে হয় বাংলাদেশ টিম টা বর্তমান সরকারি টিম।যেখানে খেলা হবে খেলবো,যেতে হলে সেখানে যাবো কিন্তু কখনো তারা জিতার জন্য বের হয় না। যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া আসলেই এটা সরকারি টিম হয়ে গেছে। মানে নিয়ম রক্ষার জন্য খেলে। ধন্যবাদ।
এজন্যই তো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে আমার একেবারেই ভালো লাগেনা। তারা এতটাই বাজে খেলা আমাদেরকে উপহার দেয় এটা সত্যি গ্রহণ করা যায় না। এইজন্যই আমি সত্যি সত্যি বাংলাদেশের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছি।
ভাইয়া ঠিক করেছেন, তাদের খেলা দেখের থেকে গাছ তলায় বসে বাতাস খাওয়া অনেক ভালো। ধন্যবাদ।
ভাইরে ভাই শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ কে যেভাবে তুলোধুনো করেছে ভারতীয় ব্যাটার রা আর কী বলব। এইরকম মারমুখী ব্যাটিং অনেকদিন পরে দেখলাম। আর বাংলাদেশ যথারীতি বিশাল ব্যবধানে হেরে বাড়ি ফিরল। এদের খেলা দেখি না। তবে ম্যাচের মাঝে গিয়ে ঐ স্কোর টা একটু চেক করে আসি আর কী।
বাংলাদেশের খেলা যারা দেখে তারা ক্রিকেট খেলাকে ধীরে ধীরে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। ধন্যবাদ।
মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম থেকে এর চেয়ে বেশি ভালো আর আশা করা যায় না। যেহেতু খেলা হয়েছে ভারতের সাথে সেহেতু তারা পরাজয় নিয়ে দেশে ফিরবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তারা যেভাবে হেরেছে এটা সত্যি আমাদের জন্য হতাশাজনক।
জী ভাইয়া তারা নিয়ম রক্ষার খেলা খেলে। কোনরকম বেঁচে থাকার মত। ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া আমার কাছে তো তেমনি মনে হয়। না খেলতে হলেই তাদের ভালো হয়। শুকরিয়া ভাই
ভাই বাংলাদেশের খেলা যে উন্নতি বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে এভাবে খেলে কোন দলের সাথে পারবেনা। আর ইন্ডিয়ার বোলিং বলেন ব্যাটিং বলেন ফিল্ডিং বলেন তিন ফরমেটে তারা খুবই আক্রমণাত্মক খেলে। সুতরাং বাংলাদেশ একপ্রকার নাস্তাবুধ হয়ে দেশে ফিরলো।
জী ভাইয়া এত দেশের সাথে খেলেও তারা শিখতে পারছে না।