সূর্যের তাণ্ডবে উড়ে গেল হায়দ্রাবাদ।।

আইপিএলের চলতি আসরে দশ ম্যাচে ছয়টিতে জয় লাভ করে চার নাম্বারে থাকা হায়দ্রাবাদকে গত কাল উড়িয়ে দিয়েছে মুইম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এগারো ম্যাচে তিনটিতে জয় তুলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার তলানিতে ছিল পেট কামিন্সের মুইম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চলতি আসরে টানা চার হারে খাদের কিনারায় পড়ে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কে টেনে তুলেছে সূর্যকুমার যাদব। তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে তারা।

গতকাল আইপিএলের ৫৫ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স টস জিতলেও বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে পতিপক্ষ হায়দ্রাবাদ ব্যাট নিয়ে মাঠে নামে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম মুম্বাইয়ের নিজেদের মাঠ। তাই তারা বুঝে শুনেই পা ফেলেছে। হায়দরাবাদের শুরুটা মুটামুটি ভালোই হয়েছিল। ট্রাভিস হেড ৩০ বলে ৪৮ রান করলেও অল্প একটুর জন্য ফিফটির দেখা পায়নি। অভিষেক শর্মা মাত্র একটি বাউন্ডারি মেরে ১৬ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যায়। তারপরে আর কেউ তেমন টিকে থাকতে পারে নি। ২,৫,১০ রান করেই সবাই আউট হয়ে যায় । লাষ্টের দিকে সানভীর সিংকে সঙ্গে নিয়ে দারুন কিছু সর্ট খেলে পেট কামিন্স। তার ১৭ বলে ৩৫ রানের উপর নির্ভর করে ২০ অভার খেলে ৮ উইকেটে কেবল মাত্র ১৭৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় পর্বে এই পুঁজিতে লড়াই করার সাহস নিয়ে মাঠে কামিন্স বাহিনী।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রতিপক্ষকে জবাব দিতে নেমে ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। প্রথম তিন ব্যাট্সম্যানের কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। ইশান কিষাণ ৯ রান ও রোহিত শর্মা চার রান করে মাঠ ছাড়ে। নামান ধীর শূণ্য রানে আউট হলে কঠিন চাপের পড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই। তারপর তিলক বর্মাকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালাই সূর্যকুমার যাদব। তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে মাত্র ১৭ অভার দুই বলে জয় তুলে নেয় মুম্বাই। ৫১ বলে ১২ চার ও ৬টি ছক্কা মেরে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকে সূর্য। অপর দিকে তিলক বর্মা ও ৩২ বলে ৩৭ রান করে অপরাজি থাকে। ১৪৩ রানের জুটি করে মুম্বাইকে খাদের কিনারা থেকে তুলে জয়ের মালা গলায় পড়ায় সূর্য। সমান দুইশো স্টাইক রেট নিয়ে সেঞ্চুরি করা সূর্যকে ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। বর্তমানে মুম্বাই নয় নাম্বারে অবস্থান করতছে।

অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও পিযুষ চাওলা প্রত্যেকেই তিনটি করে উইকেট শিকার করে। বুমরাহ ও আনশুলের শিকার একটি করে উইকেট পায়। অপর পক্ষের ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জ্যানসেন ও প্যাট কামিন্স একটি করে উইকেট পায়। পান্ডিয়া ও পিযুষের কষ্টকে বিফলে যেতে দেয়নি সূর্য কুমার যাদব। গোল বলের খেলায় কে কখন জ্বলে উঠে এটা কেউ বলতে পারে না। ক্রিকেট খেলা হলো দুই একজনের। এখানে সবাই রান তুলতে পারে না। দুই একজন জ্বলে উঠেলেই দলকে জয়ের বন্ধরে পৌছে দিতে যথেষ্ট। খেলাটি মোটামুটি ভালোই উপভোগ করেছি। প্রথম ইনিংস থেকে দ্বিতীয় ইনিংসটি দেখে বেশি মজা পেয়েছি। এখানে একটি বিষয় লক্ষ করা যায় যে হায়দ্রাবাদের সবাই মিলে ১৮ টি বাউন্ডারি মেরেছে। সেখানে সূর্য কুমার একাই ১৮টি বাউন্ডারি মেরেছে। এর মাধ্যমে বুঝা যায় গতকাকের ম্যাচের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ছিল সূর্যের হাতে। দর্শকরাও খুশি মনে খেলাটি উপভোগ করেছে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।