হঠাৎ কুয়াশার সাথে শীতও বেড়ে গেল।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে শীতের বিষয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি সবার সাপোর্ট পাবো।
সকালে বেলা হাটাহাটি করা দৌড়াদৌড়ি করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তাদের জন্য হাটাহাটি করা ফরজে আইন তথা বাধ্যতামূলক। ডায়াবেটিস রোগিদের হাটাহাটির চিত্র ঢাকা শহরের সব গুলো পার্কেই লক্ষ করা যায়। আমি প্রায় সময় সকাল বেলা আমাদের বাসার পাশে খান সাহেব উসমান আলী স্টেডিয়ামে দৌড়াদৌড়ি করতে যেতাম। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে শরীরের প্রতি খুবই কেয়াফুল। অফিসে লিফটের পরিবর্তে সিড়ি ব্যবহার করি,অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খায় না। যথা সম্ভব বাহিরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকি,হে হে হে। যায়হোক শীত আসার পর থেকে আর বাহিরে হাটতে যাওয়া হয় না। সাধারন ভাবে শীত পড়েছে নভেম্বর মাস থেকে, অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আসার পরে শীত বেড়েছে। যার ফলে গত এক দেড় মাস ধরে আর হাটতে যাওয়া হয় না। মাঝে মাঝে সন্ধার পরে বউকে নিয়ে একটু হাটতে বের হতাম।
গত কয়েকদিন যাবৎ কিছুটা গরম লাগা শুরু হয়েছে। রাতের বেলা ফ্যান ছেড়ে ঘুমাতে হয়। আর দিনের বেলাও শীতের কাপড় গায়ে রাখা যাচ্ছে না। শরীরের উজন অলরেডি দুই কেজি বেড়ে গেছে। যার ফলে কিছুটা টেনশনে পড়ে গেলাম। মনে মনে চিন্তা করেছিলাম শীতে মনে হয় চলে গেছে। আমার মত অনেক মানুষেই এই ধারনা পোষন করেছে। তাই ভাবলাম এখন থেকে প্রতিদিন সকাল বেলা স্টেডিয়ামে হাটতে যাবো। চিন্তা ভাবনা করি প্রদিতিদিন,কিন্তুু যাওয়া তো হয় না। সকাল বেলা মোবাইলে এলার্ম বাজলে,বিরক্ত হয়ে এলার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমায়। সোজা বাংলায় বলতে গেলে অলস হয়ে গেছি। তবে আজকে সকালে আর মিস করি নাই। এলার্ম বাজার সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠে গেলাম। তারাতারি ফ্রেশ হয়ে বের হলাম। তবে বাসা থেকে বের হয়ে যা দেখলাম সেটা নিচে প্রকাশ করছি।
বাসা থেকে বের হয়েই দেখি কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না। মনে মনে ভেবেছিলাম এখনো হয়তো সূর্য মামা চোখ মেলে তাকায় নি , যার ফলে এত কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার পরিমান বাড়ছে। আর সেই সাথে মৃদু বাতাস বয়ছে। হঠাৎ করে যেন শীতের পরিমান বেড়ে গেলো। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় শীতের কাপড় নিয়ে বের হয়নি। তাই শীতটা ভালো ভাবেই অনুভব করছি। আবার এটাও জানি যে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে গরম লেগে যাবে। তখন গায়ে শীতের কাপড় রাখা যায় না। তারাতারি হেটে স্টেডিয়ামের দিকে যেতে লাগলাম।
গিয়ে দেখি স্টেডিয়ামের বাহিরের অংশের মাঠে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বালু ফেলা হচ্ছে। যেখানে আমরা সাধারনত হাটাহাটি করি, সেখানে বৃষ্টি হলে পানি লেগে যায়। যার ফলে বালু ফেলে কিছুটা উচুঁ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিতরের মেইন স্টেডিয়াম,যেখানে আন্তার্জাতিক খেলা হয়,সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দশ বারোটা গেইটের সব গুলো গেইট বন্ধ থাকে। আর চার পাশে সিকুউরিটিও রয়েছে। যার ফলে কেউ ভিতরে যাওয়ার সাহসও করে না। এখন বাহিরের যে মাঠে আমরা হাটাহাটি করি, সে মাঠের বালুও ভেজা থাকার কারনে সেখানেও হাঠতে পারছি না। বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে লাগলাম। যেহেতো এত কষ্ট করে আরামের ঘুম ভেঙ্গে এসেছি, না হেটে যাবো না। সময়টা কাজে লাগাতে হবে।
দেখলাম স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে কিছু খালি জমি পড়ে আছে। সেই জমিতে আবার দিনের বেলা বাচ্ছারা ক্রিকেট ফুটবল খেলে। সেই খালি জমিতে কিছুক্ষন হাটাহাটি করলাম। অন্যদিন অনেক মানুষকে হাটতে দেখা যায়। তবে আজকে তেমন কাউকে হাটতে দেখছি না। সবাই হয়তো জানে যে স্টেডিয়ামে বালু ফেলা হচ্ছে,তাই হাটতে আসেনি। আবার এটাও হতে পারে যে,যেহেতো আজকে কুয়াশা ও শীতের পরিমাণ বেশি তাই বাসা থেকে বের হয়নি। আমরাও তো জানতাম না, যে আজকে এত কুয়াশা পড়বে।
সাড়ে সাতটার দিকে সূর্য মামার দেখা পেলাম। তিনি ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলার চেষ্টা করছেন। তবে কুয়াশার জন্য ভালো ভাবে চোখ খুলতে পারছেন না। এদিকে বাতাসের পরিমানও কিছুটা বাড়ছে। তাই আমরা ৩০ মিনিটের মত হাটাহাটি করে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। কারন আমাদের হাতেও সময় কম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানিয়ে খেয়ে অফিসে যেতে হবে। সকাল বেলা হাটাহাটি করলে সারাদিন শরীরটা সতেজ থাকে। অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করে। অফিসে আসার পরে সাড়ে নয়টার দিকে পুরো রোদ উঠে গেছে। শীতও কমতে শুরু করেছে।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিতে হবে। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন। মশার উপদ্রপ বেড়ে যাচ্ছে,বাসার চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | হঠাৎ কুয়াশার সাথে শীতও বেড়ে গেল।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ৩১ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শীতের সকালে হাটাহাটি করতে আমারও খুব ভালো লাগে।
বিশেষ করে আমি মাঝে মাঝে নদীর পাড় দিয়ে এমনটা করে থাকি।
নরম ঘাসের উপর পা ভিজিয়ে একটি অনুভূতি পাওয়া যায়।
ঠিকই বলেছেন আপনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সকালে হাঁটা অত্যন্ত জরুরী।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং সকালের অনুভূতির গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া শীতের অনুভূতি ভুলা যায় না। ধন্যবাদ।
আজকে শীতের তীব্রতা সকাল থেকে অনেক বেশি দেখছি। আসলেই ভাই শীতে সকালে সূর্য দেখার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া সকালে সূর্য দেখেছি,তবে কষ্ট হয়েছে। ধন্যবাদ।
বেশ কয়েক দিন ধরে আমাদের এইদিকে ও অনেক শীত এবং কুয়াশা পরতেছে। তবে শীতের সকালে হাটাহাটি করলে শরীরের অলসতা ভাবটা কেটে যায়। সারাদিন শরীর ফ্রেশ থাকে। তেমনি শীতের সকালের সূর্য দেখতে অসাধারণ লাগে। আপনার পোস্ট পরে ও কুয়াশা মাখা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া হঠাৎ করে শীত বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন হঠাৎ কুয়াশার সাথে শীত ও বেড়ে গেল। তবে আমাদের এদিকে তেমন একটা কুয়াশা পড়েনি কিন্তু আজকে প্রায় দুইটা পর্যন্ত কোন রোদের দেখা পাওয়া যায়নি খুবই শীত লেগেছিল চারিদিকে যেন মনে হচ্ছিল মেঘাচ্ছন্ন । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আশা করা যায় এই সাপ্তাহটা শীত থাকবে। ধন্যবাদ।
আমিও সেটাই মনে করি যে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটু হাটাহাটি করা আমাদের সকলেরই উচিত। আর যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের তো এটা প্রতিনিয়ত করতেই হবে। শীতের সময়টা একটু অন্যরকম এখানে রাত্রিবেলা গরম পড়লেও দিনের বেলা প্রচন্ড শীত থাকে তবে গ্রাম অঞ্চল সব সময় ভিন্ন এখানে রাত্রি এবং সকালবেলা প্রচন্ড শীত করে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করেছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া হাটার কোন বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।