“রাগী জামাই” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি একেবারে নতুন। মাত্র গতকাল রাতে রিলিজ হয়েছে। নাটকটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভাল লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
নাম | রাগী জামাই |
---|---|
প্রযোজকঃ | ফাহিম ইসলাম |
পরিচালনা | মাইদুল রাকিব। |
চিত্রনাট্য | গোলাম সরোয়ার অনিক। |
সম্পাদনা ও রঙ | মজান আলী |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, তানিয়া বৃষ্টি, শরিফুল ইসলাম, খায়রুল আলম টিপু, আশরাফুল আলম সোহাগ, প্রীতি আলভী, আনোয়ার হোসেন, ফয়সাল হাসান, সাজ্জাদ চৌধুরী, ববি এবং আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ৪৯ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ০২ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- নিলয় আলমগীর।
- তানিয়া বৃষ্টি।
নাটকের প্রথম দিকে দেখা যায় নিলয় একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পরে যায়। তখন নিলয় মেয়েটির সাথে অনেক রাগারাগি করে। মেয়েটি বলে ভাই একটু বুঝার চেষ্টা করেন। এটা এক্সিডেন্ট ছাড়া আর কিছু না। নিলয় চিৎকার করে মানুষ জড়ো করে। মানুষকে বলে যদি আজকে একটি মেয়ে একটি ছেলের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যেত, তখন আপনারা ছেলেটিকে দোষ দিতেন। তখন তো এক্সিডেন্ট বললে মানতেন না। একথা বল চলে আসে। বাসায় নিলয়ের বউ নিলয়ের রাগ কমানোর জন্য একটি বই কিনে আনে। সেটা দেখেও নিলয় চিৎকার চেঁচামেচি রাগারাগী করে। তারপর মাছের দোকানে গেলে মাছ বিক্রেতাও নিলয়ের রাগ দেখে তারাতারি মাছ দিয়ে দেয়। বাজার নিয়ে বাসায় এসে দেখে তার বাসায় তার বউয়ের কাছে অন্য বাসার একজন মহিলা বদনাম করতেছে। সেটা দেখেও নিলয় রাগারাগি করে। পরে তার বউকে বলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতে। তারপর তার বউও সেই মহিলাটিকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
দৃশ্য পরিবর্তন হলে দেখা যায়, নিলয় একটি ফলের দোকানে গিয়ে একটি ফলের মধ্যে ফরমালিন মিশিয়ে ঐ ফল বিক্রেতাতে খেতে বলে। তখন ফল বিক্রেতা বলে ভাই মাফ করে দেন। আমি আর ফরমালিন মেশানো ফল বিক্রয় করবো না। তখন ফল বিক্রেতা দোকান ফেলে দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। তারপর অফিসের মধ্যে নিলয়ের বস নিলয়কে অনেক গুলো ফাইল দিয়ে দুইদিনে চেক করে সাবমিট করতে বলে। তখন নিলয় বলে স্যার আমি দুই দিনে এই ফাইল গুলো চেক করে শেষ করতে পারব না কারণ আমি মানুষ, কোন রোবট না। তখন বস নিলয় কে বলে যে এ যুগে চাকরি করতে হলে রোবটই হতে হবে। তারপর নিলয় ২ কেজি মুড়ি আর দুই লাখ টাকা এনে তার স্যারকে বলে স্যার আপনি যদি এই দুই কেজি মুড়ি ৫ মিনিটে খেতে পারেন তাহলে আমি আপনাকে এই দুইলাখ টাকা দিয়ে দিবো। তখন বস নিলয়কে বলে দুই কেজি মুড়ি কখনো ৫ মিনিটে খাওয়া সম্ভব নয় কারণ আমি মানুষ, কোন রোবট নয়। তখন নিলয় বলে তাহলে আমি কিভাবে পাঁচ দিনের কাজ দুই দিনে করবো। একথা বলে বসের সাথে রাগারাগি করে নিলয় চাকরী ছেড়ে চলে আসে।
চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর নিলয়ের বউ শ্বশুর বাড়িতে নিলয়ের রাগের কথা বললে নিলয়ের শাশুড়ি নিলয়কে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে।নিলয়ের বউ নিলয় কে নিয়ে যখন ডাক্তারের কাছে যায় তখন নিলয় ডাক্তারের সাথেও রাগারাগি চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। তারপর নিলয়ের বউ তাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে। বাসায় আসার পর বাসার কাজের মেয়ে নিলয়ের বউকে বলে যে ভাইয়াকে মনে হয় কোন জীন-ভূতে আছর করেছে। যার জন্য ভাইয়ার মাথা সবসময় গরম থাকে এবং রাগারাগি করে। নিলয় হঠাৎ করে কাজের মেয়ের এসব কথা শুনে মাথা গরম হয়ে যায় এবং বাসার মধ্যে একটি লাউ ছিল সেটা নিয়েই কাজের মেয়েকে দৌড়ানি দেয়। আর তখন মেয়েটা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তারপর দেখা যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথাবার্তা নিয়ে নিলয় তার বউয়ের সাথে রাগারাগি ও চেঁচামেচি করে। একসময় নিলয়ের মাথা অনেক গরম হয়ে যায় এবং সে বলে ফ্রিজ থেকে বরফ এনে যেন তার মাথায় দিয়ে মাথা ঠান্ডা করে। সে অনুযায়ী বড় একটি বরফের টুকরা এনে নিলয়ের মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা না হলে নিলয় বলে ডিপ ফ্রিজটা খুলে সেখানে সে ঢুকে যাবে। এমন সময় নিলয়ের শালা আসে বাসায়। শালার সাথেও নিলয় রাগারাগি করে। রাগারগির এক পর্যায়ে নিলয় তার বউকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলে। তখন নিলয়ের বউ তার ছোট ভাইকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যায়।
তারপর নিলয় একা একা কিছুদিন বাসায় থেকে আর ভাল লাগে না। সে তখন বুঝতে পারে তার রাগটা বেশি হয়ে গেছে। এত রাগ করা ঠিক হয়নি। সে তার ভুল বুঝতে পেরে তার শশুর বাড়ি যায় বউকে আনতে। সেখানে গিয়ে তার বউকে তার রাগের কারনটা জানায়। নিলয় বলে আসলে সে অন্য মানুষের সাথে রাগের অভিনয় করতে করতে কখন যে নিজের আপন মানুষের সাথেও রাগ দেখানো শুরু করলো সেটা বুঝতে পারে নাই। নিলয়ের বউ বলে রাগ না দেখিয়ে ভালবাসা দিয়েও কাজ আদায় করা যায়। নিলয় বলে সে আর কখনো কারো সাথে রাগ দেখাবে না। আর এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকটি অনেক সুন্দর। শিক্ষনীয় একটি নাটক। নিলয় যেখানেই রাগ দেখাতো সেখানে সবাই তাকে গুরুত্ব দিতো। মাছওলা তাকে ফরমালিন মুক্ত মাছ দিতো। অফিসে রাগের কারনে তাকে অতিরিক্ত কোন কাজ দিতো না। সব জাগায় রাগের দেখাতে দেখাতে ঘরে বউয়ের সাথেও রাগ দেখানো শুরু করে দিলো। আর ঘরের রাগেই তার সব থেকে বড় ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ালো।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
যেকোনো জায়গায় গিয়ে রাগারাগি করলেও ঘরে এসে রাগারাগি কর একেবারেই ঠিক না। যার জন্য পরিবারে এবং সংসারে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। আমার কাছে এমনিতে নিলয় এর নাটক ভীষণ ভালো লাগে। তার নাটকে সব সময় হাসির কান্ড ছাড়া আর কিছুই থাকে না। কিছু কিছু জায়গায় রাগারাগি করলে কিন্তু বেশ ভালোই হয়। যেমন মাছের দোকানে গেলে তাকে ফরমালিন মুক্ত মাছ দেয় মাছের দোকানদার। এটা কিন্তু খুবই শিক্ষণীয় একটি নাটক ছিল। ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
জী ভাইয়া তবে সব জাগায় রাগটা ঠিক হয় নি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বর্তমান সময়ে নিলয় আলমগীর এবং তানিয়া বৃষ্টি এই দুজন অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক করছে বিশেষ করে তানিয়া বৃষ্টির নাটক আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ সে অনেক সুন্দর অ্যাক্টিং করে। সেই সাথে নিলয় আলমগীর একজন দক্ষ মাপের অভিনেতা বলে আমার মনে হয় কারণ সে সকল রকম অভিনয় পারদর্শী। সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যদিও এই নাটকটি এখন পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখব বলে আশা রাখি।
জী ভাইয়া বর্তমানে নিলয় আলমগীরের নাটক প্রচুর মার্কটে চলছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রাগী জামাই নাটকের রিভিউ সত্যি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। নাটকের রিভিউ প্রথমেই দেখে বুঝেছিলাম দেখতে বেশ ভালোই লাগবে। যদিও এখনো এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি কিন্তু ভাবছি সময় পেলে এই নাটকটি দেখে নেব। নিলয় মাছের বাজারে এবং বিভিন্ন জায়গায় রাগ দেখিয়েছে এটা কিন্তু ঠিক আছে ঘরে রাগ দেখালে কিন্তু অনেক বড়ই অসন্তি হয়ে যায়। আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
জী আপু বাহিরের রাগটা বাহিরে রাখলেই ভাল হতো। ঘরে রাগ দেখানো ঠিক হয়নি। ধন্যবাদ আপু।
এটা সঠিক জবাব হয়েছে। হা হা হা... যদিও অতিরিক্ত রাগী লোক আমার পছন্দ না।
আপনার রিভিউ পড়ে মনে হল নাটকটা বেশ ইন্টারেস্টিং হবে। দেখি যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব।
জী ভাইয়া একবার দেখে নিবেন। অনেক সুন্দর নাটকটি। ধন্যবাদ।
আসলে ভাই বাংলাদেশের নাটক গুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও আমি নিল এবং তানিয়ার নাটক গুলো খুব একটা বেশি দেখি না। তারপরও কিছু কিছু সময় কিছু অংশ দেখি যা বেশ ভালই লাগে এবং অনেক হাসিরও।আপনার নাটকের রিভিউটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ২ কেজি মুড়ি খাওয়ার কথা পড়েএকটা কথা মনে পড়ল। নিলয় যেমন স্যারের সাথে বিট ধরেছে ঠিক তেমনি আমার এক বন্ধুর সাথে আমিও বিট ধরেছিলাম। এটা কি সম্ভব ২ কেজি মুড়ি খাওয়া?
অহ তাই আপনি আপনার বন্ধুর সাথে কি নিয়ে বিট ধরেছিলেন ভাই..?