ফ্রম পলিউশন টু সলিউশন।।
আমাদের মাতৃভাষার কমিউনিটি-
আমাদের বাসা থেকে ঢাকা নারায়নগঞ্জ হাইওয়ে রোডে উঠতে এক থেকে দুই মিনিট সময় লাগে। তারপর রোডে উঠে অটো, সিএনজি, রিকশা বা বাসে সাইনবোর্ডের দিকে যেতেই খাঁন সাহেব উসমান আলী স্টেডিয়াম পার হওয়ার সময় রাস্তাও অপর পাশে মানে পূর্ব পাশে বিশাল বড় ময়লার স্তুপ দেখতে পাওয়া যায়। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় সবাই মুখে মাক্স পড়ে যায়। সবাই ঐ জায়গাটা দ্রুত পার হওয়ার চেষ্টা করে। কারন সে দিক দিয়ে গেলেই ময়লার দুর্গন্ধ নাকে আসে। অথচ এই ময়লার স্তুপের মধ্যেই কিছু লোক কাজ করতেছে। ময়লা গাড়ি খালি করছে। তারা কিন্তুু মানুষ। কিন্তুু তারা পেটের দায়ে এখানে কাজ করে। আর এই ময়লা গুলো আমরাই জমা করেছি।
আমাদের বাসার আশে পাশে কত জাগায় ময়লা পড়ে আছে। আমরাই সে গুলো ফেলতেছি। যে ময়লা গুলো থেকেই ডেঙ্গু মশার উৎপাদন হয়। আমাদের দেশের সব থেকে বড় ধরনের ময়লা হলো পলি আর প্লাস্টিক। বিশেষ করে এই দুটি ময়লা আমাদের বেশি ক্ষতি করছে। বছরের পর বছর এই ময়লা গুলো মাটির নিচে, পানির নিচে পরে থাকলেও পঁচে না। পুড়িয়ে ফেলা ছাড়া এই ময়লা গুলো ধ্বংস করা যায় না। আমাদের সমাজের চার পাশে এই ময়লা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমারা একজন চিন্তা করি, আমি একা এই ময়লা গুলো ফেললে মনে হয় কিছু হবে না। কিন্তুু আপনার আমার মত সবাই এই চিন্তা করে। কোন খাবার খেয়ে, ড্রিংক্স করে খালি বোতল যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। আর এগুলোই আমাদের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে।
আমাদের দেশের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্লাস্টিক ও পলি পরিহারের কথা বলছেন। মন্ত্রনালয় সহ সরকারি সব দপ্তর প্লাস্টিক ও পলি ব্যবহার বন্ধ করেছে। তবে এভাবে এগুলো পরিহার করলে কোন কাজে আসবে না। বর্হিবিশ্ব কিভাবে এগুলো নিয়ন্ত্রন করে সে গুলো দেখতে হবে। মানুষদেরকে পলিউশনের ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। তারা পলি ও প্লাস্টিকের বিপরীতে কি ব্যবহার করে সেটা প্রচার করতে হবে। বিপরীত জিনিষ বের করতে না পারলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোন লাভ হবে না।
আমাদের দেশে কিছু সামাজিক সংগঠন আছে, যারা আমাদের দেশের আনাচে কানাচে সেচ্ছায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে থাকে। এর মধ্যে বিডিক্লিন সংঘঠনটা সারা দেশে সারা ফেলেছে। তারা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গার ময়লা পরিষ্কার করে থাকে। তাদের দেখে আরো কিছু সংগঠন এই কাজে এগিয়ে আসতেছে। এখন তারা যে কষ্ট করে এই ময়লা আবর্জনা গুলো পরিষ্কার করছে, সেটা ধরে রাখতে হবে। বর্হিবিশ্বে কিভাবে মংলা গুলো কাজে লাগায়, কিভাবে ধ্বংস করে সে বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এসব বিষয়ে আমরা যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে আমাদেরকে কোন মেডিসিন, কোন ডাক্তার, কোন হস্পিটাল সুস্থ রাখতে পারবে না। আমাদের দেশের আনাচে কানাচে যেখানে যাবেন, সেখানেই ময়লা আবর্জনা দেখা যায়। রাজধানী শহর ঢাকা আরো বেশি নোংরা। মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে, পয়নিষ্কাশন ঠিক ভাবে হয় না। বৃষ্টি আসলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তার কারন হলো বৃষ্টির পানি ও ময়লা যাওয়া যে ড্রেন গুলো রয়েছে, সে গুলো ময়লা দিয়ে ভরে গেছে। আর সেই মংলা তুললে দেখা যায় ৯০% হলো পলি। সুতরাং বুঝা গেল যে আগে পলি পরিহার করতে হবে। যতক্ষন পর্যন্ত পলি আর প্লাস্টিক পরিহার না করা হবে,ততক্ষন বিডিক্লিন, সরকারি বেসরকারি কোন সংস্থার লোকই দেশকে পরিষ্কার রাখতে পারবে না। আগে আমাদের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। পলির পরিবর্তে কি ব্যবহার করবো, আগে সেটা বের করতে হবে। তা না হলে পলি ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP