“ঠান্ডা” নাটক রিভিউ।। দারুন হাঁসির এক কমেডি নাটক।।
সাজাও মন, রাঙাও হৃদয়,ভালোবাসার বন্ধনে-
অনেক দিন যাবৎ নাটক রিভিউ করা হয় না। তার কারন নাটক দেখার সুযোগ পায় না। কি ধরনের প্যারাময় জীবন অতিবাহিত করছি, সেটা আমি আর সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানে না। তারপরেও সব জাগায় হাঁসি মুখে সব কিছু মেইনটিন করার চেষ্টা করছি। অনেক বড় একটি জামেলায় আছি। সেই ঝামেলার ৭০% সমাধান হয়েছে। বাকি ৩০% সমাধান করতে পারলে ভারতের গঙ্গা জলে গিয়ে স্নান করে আসবো। রাতদিন চেষ্টা করে যাচ্ছি, আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।
এত কিছুর মধ্যেও কলিগের মাধ্যমে দারুন হাঁসির একটি নাটকের লিংক পেলাম। নাটকের নাম হলো “ঠান্ডা”। এই প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা নাটক দেখে প্রচুর হেঁসেছি। এখন চিন্তা করলাম আপনাদের হাঁসানোর দরকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই বছরের মত এত গরম উপভোগ করি নাই। সেই গরমের অবস্থা নিয়েই নাটকটি র্নিমাণ করা হয়েছে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য
- নাটকের নাম- ঠান্ডা
- পরিচালক-কাজল আরেফিন অমি
- অভিনয়-জিয়াউল হক পলাশ,চাষী আলম (হাবু ভাই),মিশু সাব্বির,মারজুক রাসেল,নিশাত প্রিয়ম এবং আরো অনেকে।
- মুক্তির তারিখ:১২ জুলাই ২০২১
- সময়: ৪৫ মিনিট
- দেশ: বাংলাদেশ
- ভাষা: বাংলা
- ধরন: কমেডি
পরিচালক কাজল আরেফিন অমি ২০২১ সালের গরমকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা নাটকটি নির্মাণ করেছিলেন। তখনও প্রচুর গরম ছিল। তবে ২০২৪ সালে এসে নাটকটি নতুন করে ভাইরাল হয়। তার কারন হলো এই বছরের গরম। এই বছরের গরমের তুলনায় তখনের গরম কিছুই ছিল না। তারপরেও পরিচালক গরমকে কেন্দ্র করেই নাটকটা তৈরী করেন। গরমে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা তখই সন্ধার পরে নাটকটি দেখেছিলাম। নাটকটি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে প্রায় ষাট মিলিয়নের উপরে ভিউ হয়েছে। চিন্তা করেন কতটা জনপ্রিয় হলে এত পরিমানে ভিউ হয়ে থাকে। নাটকটিতে অভিনয় করেছে, এই সময়ের সব থেকে আলোচিত কমেডিয়ান এক ঝাঁক নাটক অভিনেতা। তবে দুই জন নতুন নাটক অভিনেত্রীর অভিনয় দেখতে পেলাম। তারা হলেন নিশাত প্রিয়ম,সানজিদা সরকার রিয়া। নাটকটির প্রত্যেকটা স্টেপে হাঁসি আর হাঁসি।
নাটকটি শুরু হয় শহরের কিছু গরম অবস্থার চিত্র দিয়ে। গরমের কারনে শহরের মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা। মানুষ লাইন ধরে রাস্তার পাশের ঠান্ডা শরবত খায়। এই নাটকের মধ্যে রাসেল ভাই এক ঔষুধ কোম্পানির মার্কেটিং এর চাকরি করে। সে যখন বাসায় থাকে তখন এলার্ম ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে। সাব্বির, পলাশ, রাসেল ও হাবু ভাই একটি ফ্লাটে ব্যাচেলর হিসাবে ভাড়া থাকে। পলাশ একটি এড নির্মাতা কোম্পানিতে কাজ করে,হাবু ভাইয়ের নিজের কাপড় আইরন করার দোকান আছে আর সাব্বির বাসায় থেকে অনলাইনে লাইভে গিয়ে টি-শার্ট সেল করে। তো চারজনই ইনকাম করে।
আরেক কমেডিয়ান হলো মিশু সাব্বির। সে সবসময় বাসায় থেকে অনলাইনে টি-শার্ট সেল করে। তবে কারেন্ট চলে গেলে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সে গরম থেকে বাঁচতে নিজে একটি টেবিল ফ্যান কিনে নিয়েছে। সে সব সময় এই চার্জার ফ্যানটা তার সাথে রাখে। এমনকি ওয়াশ রুমেও চার্জার ফ্যানটা নিয়ে যায়। কাপড় ধোয়ার সময় একটি কাপড় ধোয়েই কিছুক্ষন ফ্যানের বাতাস নেয়। তাদের ঘরে ফ্রিজ নাই,যার ফলে পাশের ফ্লাটের আপু থেকে ঠান্ডা পানি এনে অল্প অল্প করে খায়। সেই আপু আবার এক বিবাহিত লোকের সাথে কন্ট্রাকে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। সেটা নাটকটি দেখলে বুঝতে পারবেন।
এখন গরম থেকে বাঁচতে চার জন মিলে একটি এসি কেনার সিদ্ধান্ত করলো। প্রথমে চারজন দশ হাজার করে চল্লিশ হাজার টাকার প্রস্তাব দিলেও পরে পাঁচ হাজার করে ২০ হাজার টাকা দিয়ে এসি কেনার সিদ্ধান্ত হয়। একদিন চারজন মিলে এসি কিনতে শোরুমে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে একেকটি এসির প্রাইস ষাট হাজার,সত্তর হাজার ও আশি হাজার টাকা। তাদের বিশ হাজার টাকা বাজেটে শোরুমে কোন এসি নাই। সাব্বির বলে বিশ হাজার টাকা নিয়ে শোরুমে ঘুরলে আমরা জীবনেও এসি কিনতে পারবো না। বরং কোন অলিগলি থেকে পুরাতন এসি কিনে বাসায় নিয়ে যায়।
সেই চিন্তা থেকে এক দোকান থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরাতন এসি নিয়ে বাসার মধ্যে লাগায়। প্রথম এক ঘন্টা এসি দিয়ে এত ঠান্ডা বাতাস বের হয় যে,সবাই কাথা গায়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে এক ঘন্টা পরেই এসি দিয়ে গরম বাতাস বের হতে থাকে। আবার গরম শুরু হয়ে যায়। যার ফল পরের দিন যার থেকে এসি এনেছিল তাকে ডেকে নিয়ে আসে। সে এসে এসি দেখে বলে এসি নষ্ট হয়ে গেছে ঠিক করতে ১৬ হাজার টাকা লাগবে। এই কথা শুনে সবাই এসিওলাকে মারতে যায়। এমন সময় এসির পানি মাল্টিফ্লাকে পড়ে এসি ব্লাস্ট হয়ে আগুন লেগে যায়। তারপর বৃষ্টি নামে।
নিজের মতামত-
এইযে গরম আবহাওয়া,বৃষ্টি হয় না। এগুলো আমাদের হাতের কামায়। আমরা পরিবেশ ধ্বংস করি,গাছ লাগাই না। বনাঞ্চল ধ্বংস করি। যার ফলে দিনে দিনে গরম বাড়ছে। এর ফলে যাদের সামর্থ আছে তারা এসি কিনে ঠান্ডা বাতাস খায়। আর গরম বাতাস গরিবদের দিকে ঠেলে দেয়। এভাবে সবাই এসি ব্যবহার করলে কেউ আর ঘর থেকে বের হতে পারবে না। সবাইকে ঘরে বন্দি থাকতে হবে। আর যাদের এসি কেনার সামর্থ নেই, তারা সস্তায় এমন নষ্ট এসি লাগাবে। পরে ব্লাস্ট হয়ে আগুন লেগে দূর্ঘটনা ঘটবে। এসি কোন গরমের স্থায়ী সমাধান নয়। তাই গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, নিজে বাচুঁন।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই অনেক কমেডি একটা নাটক ছিলো এটা।আমি একবার দেখেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিলো।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া দেখে হাঁসতে হাঁসতে শেষ। ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি আজকে অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হলেন সবার মাঝে। এই নাটকের নামটা দেখেই তো আমার কাছে একেবারে অদ্ভুত লেগেছে। তারা চারজন তো দেখছি শুধুমাত্র বিশ হাজার টাকা নিয়ে এসি কিনবে বলে গিয়েছিল। কিন্তু এসির দাম তো তার থেকে আরো বেশি দ্বিগুণ। পরে পুরনো এসি কিনলেও, ওইটা দিয়ে তো দেখছি কিছুক্ষণ পর গরম বাতাস বের হচ্ছিল। এই নাটকটা কিন্তু আমার কাছে দারুণ লেগেছে। নাটকটা আমি দেখবো ভাবছি।
জী আপু পুরনো এসি কিনেই তো জামেলাটা লাগাইছে। ধন্যবাদ।
ঠান্ডা নাটক আমি দেখবো ভেবেছিলাম, কিন্তু সময়ের কারণে এখনো পর্যন্ত এই নাটকটা আমার দেখা হয়নি। এই নাটকটার পুরো কাহিনীটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণটা আপনি অসম্ভব সুন্দরভাবে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আমার কাছে সব থেকে বেশি হাস্যকর ব্যাপার এটাই লেগেছে, তারা ২০ হাজার টাকা নিয়ে এসি কেনার জন্য গিয়েছিল। যেখানে এসির দাম ৬০ হাজারেরও আরো বেশি। শেষ পর্যন্ত পুরনো এসি কিনলেও সেই এসিটার এরকম ব্যবহার দেখে তো আরো হাসি পেয়েছে।
জী ভাইয়া ১২ হাজার টাকা দিয়ে এসি কিনে ১৬ হাজার টাকা চাই ঠিক করতে,হা হা হা।
শেষে এসি থেকে যে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায় এই ব্যাপার টা চমৎকার ছিল বেশ হাস্যকর। এবং এই নাটকের প্লট টাও আলাদা। এটা যেন এখন বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে একেবারে অসহনীয় অবস্থা। দারুণ করেছেন নাটকের রিভিউ টা ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। নাটক টা আগে দেখেছিলাম।
জী ভাইয়া লাষ্টে এসি বিস্ফোরণ হয়ে সব গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
https://x.com/ArianKh29670721/status/1798999869920800832
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিও দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে৷ আগে কখনো আমি নাটকটি দেখিনি৷ আজকে এই প্রথম আপনার কাছ থেকে রিভিউ এর মাধ্যমে নাটকটি দেখতে পেলাম৷ খুবই ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর নাটকটি দেখে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷