“স্বামী ভক্ত বউ” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। নাটকটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও নাটকটি অনেক ভাল লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
নাম | স্বামী ভক্ত বউ |
---|---|
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | প্রীতি দত্ত। |
গল্প ও সহযোগী পরিচালক | বিশ্বজিৎ দত্ত |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিম, তুতিয়া ইয়াসমিন পাপিয়া, রিমু রোজা খন্দকার, ইমরান হোসেন আজান। এবং আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ০৫ই জানুয়ারি ২০২৩ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- নিলয় আলমগীর-রাজিব
- জান্নাতুল সুমাইয়া হিম-লিজা
নাটকের প্রথমে দেখা যায় রাজিব আর তার কলিগ মেহেদি রাজিবের বাসায় আসে ডিনার করতে। রাজিব বাসায় আসার সাথে সাথে তার বউ লিজা সেজে গুজে প্লাস্টিকের বলে ফুলের পানি দিয়ে রাজিবের পা ধুয়ে দিলো। আর সেটা মেহেদি দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কারন তার বউ এমন আদর করে না। খাবার টেবিলে যাওয়ার পর দেখে টেবিল ভর্তি মজার মজার খাবার রান্না করা হয়েছে। মেহেদি রাজিবকে জিঙ্গেস করে বাসায় ভুয়া আছে না কি। রাজিব জানায় বাসায় কোন ভুয়া নেই। তার বউ লিজাই সবসময় এমন মজার মজার খাবার রান্না করে। মেহেদি এসব কথা শুনে অনেক আফসুস করে বলে যদি তার বউ এমন করতো। মেহেদি তার বাসায় গিয়ে তার বউকে রাজিবের বউয়ের মত হতে বলে। মেহেদির বউ বলে তুমিও রাজিবের মত ঘুষের টাকা এনে দিলে তখন সেও এমন আদর করবে।
রাজিব অফিসে ঘুষ খেয়ে খেয়ে ফাইল ছাড়ে। ঘুষের টাকা দিয়ে রাজিব তার বউকে আর শাশুড়িকে অনেক স্বর্ণ গয়না কিনে দেয়। আর বেশি বেশি টাকা পয়সা থাকার কারনে পাশের বাসার একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া করে। একদিন সিড়িতে দাড়িয়ে ঘুষের টাকা দিয়ে ঐ মেয়েটাকে একটি আইফোন গিফট দেয়। এমন সময় সেখানে তার বউ লিজা ঐ মেয়ের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে হাজির হয়ে যায়। তখন রাজিব ঐমেয়েকে গিফট দেওয়া আইফোনটা তার থেকে নিয়ে তার বউকে দিয়ে দেয়। এছাড়াও রাজিব অফিসে তার পিএসের সাথেও পরকিয়া করে। রাজিব একদিন তার অফিসের কলিগ লতাকে নিয়ে ডিনার করতে যায়। তখন মেহেদি আর তার বউ দেখে ফেলে। মেহেদির বউ আবার লিজার কাছে তার স্বামীর পরকিয়ার কথা বলে দেয়।
লিজা তার স্বামী আসার পরে মেহেদির বউ যা কিছু বলেছে সব কিছু তার কাছে বলে দেয়। আর এটাও বলে সে যেন তার কলিগকে বাসায় নিয়ে আসে। যদি বাসায় না নিয়ে আসে তাহলে সে অন্য কিছু ধারনা করবে। রাজিব কোন উপায় না পেয়ে তার কলিগকে ডিনার করতে তার বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় আসার পরে লিজা তার কলিগকে বলে যে তাকে রাজিবের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। যেহেতো তারা একজন অন্যজনকে পছন্দ করে বিয়ে ছাড়া আর কোন উপায় নেই। একথা রাজিব আর তার কলিগ শুনে তারা যেন আকাশ থেকে পড়লো। তারপর লিজা দুইজনকে এক সাথে দাড়িয়ে ছবি তুলে। তারপর একজন অপরজনকে কিস করতে বলে। একথা শুনে রাজিবের কলিগ দৌড়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
লিজা দুইজনকে বিয়ে দিয়েই ছাড়বে। কিন্তুু রাজিব বিয়ে করবে না। অবশেষে লিজা রাজিবকে হুমকি দেয় সে যদি বিয়ে না করে তাহলে সে সুইসাইট করবে। তখন রাজিবকে বর সাজিয়ে স্টেজ সাজানো হয়। এখানে আসল ঘটনা পাস হয়। অফিস থেকে রাজিবের বড় বস এসে রাজিবকে জনায় যে, সে অফিস থেকে যত ঘুষ খেয়েছে সব তথ্য তার কাছে আছে। এখন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। তবে তার অবস্থার কথা চিন্তা করে তার জাগায় মেহেদিকে বসিয়ে মেহেদির জাগায় সে চাকরি করতে পারবে। এখন আর তার ঘুষ খাওয়ার সুযোগ থাকবে না। এই কথা গুলো আবার বিয়েতে মেহমান হয়ে আসা মেহেদি আর তার বউ শুনেছে। মেহেদি তার বউকে বলে এখন আমি রাজিব ভাইয়ের পোষ্ট পেয়ে গেছি। আমি এখন থেকে ঘুষ খেয়ে তোমাকে স্বর্ণ গয়না কিনে দিবো। তখন মেহেদির বউ বলে আমার কোন স্বর্ণ গয়নার দরকার নেই। তুমি যেমন আছো তেমনই থাকবা। আমি এমনই তোমাকে আদর যত্ন করবো।
এমন সময় লিজা বউ এসে গেছে, বউ এসে গেছে বলে নাচতে শুরু করে। তখন রাজিব তার বউয়ের পায়ে ধরে ক্ষমা চাই। আর বলে সে বিয়ে করবে না এবং আর কোন দিন কারো সাথে পরকিয়া করবে না। তখন জানা যায় বিয়েটা একটা নাটক ছিল। রাজিবকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই লিজা বিয়ের নাটক করেছে। আর রাজিবের ঘুষ খাওয়ার সব তথ্য তার কলিগের মাধ্যমে সংগ্রহ করে রাজিবের বসের কাছে পেশ করেছে। আর তার বসও লিজার কথা অনুযায়ী রাজিবের জাগায় মেহেদির প্রমোশন দিয়েছে। রাজিব যেন আর ঘুষ খেতে না পারে সে জন্য লিজা এই ব্যবস্থা করেছে। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকটি অনেক সুন্দর। শিক্ষনীয় একটি নাটক। নাটকটিতে বুঝানো হয়েছে অবৈধ ভাবে টাকা ইনকাম করলে একদিন না একদিন তা প্রকাশ পাবেই। আর কিছু কিছু পুরুষ তার বউয়ের ভালবাসাকে অবহেলা করে পরকিয়া করে। এক সময় সেই পরকিয়ার কারনে লজ্জিত হতে হয়। আর যে সৎ পথে থাকবে শেষ হাঁসিটা সেই হাঁসবে।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কি ব্যাপার ভাই? আমি ভাবলাম নাটকটির রিভিউ করবো আমি। আর এখনি দেখছি আপনিই রিভিউটা করে ফেললেন। এটা কেমন হলো? যাক নাটকটি কিন্তু বেশ ছিল । এমন স্বামীদের এইভাবেই শিক্ষা দিতে হয়। তা না হলে সমাজে এই রকমের অসভ্য লোকের সংখ্যা শুধুই বেড়েই যাবে । তাই না ভাইয়া।
শুধু স্বামীর অপরাধটা দেখলেন। বউ তো এসব করে ঘুষের টাকার জন্য। বউতো তার স্বামীতে ঘুষ খেতে নিষেধ করলো না। ধন্যবাদ আপু।
আসলে ভাইয়া নাটক তেমন দেখা হয় না, তবে আপনার নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি ভাইয়া কথায় আছে না পাপে ছাড়ে না বাপেরে।লিজা ঠিক করেছে, তার বসের কাছে সব বলে দিয়ে, তা না হলে রাজিবের মতো মানুষ শিক্ষা পেত না। ধন্যবাদ আপনাকে।
রাজিব যখন অন্য দিকে হাত বাড়ালো তখন বউয়ের খুব টনক নড়লো। আর ঘুষের টাকা দিয়ে গয়না কিনতে খুব ভাল লাগে,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
যদিও এই নাটকগুলো আমার দেখা হয় না কিন্তু আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই নাটকটি কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই শিক্ষনীয় একটি নাটক ছিল। আমরা এরকম নাটক গুলো থেকেও কিন্তু অনেক শিক্ষা নিতে পারি।যেগুলো আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন আমাদের জন্যই ভালো হয় সেই শিক্ষাগুলো নিলে। ভালোই লেগেছে পুরো পোস্ট পড়ে।
জী আপু খুব শিক্ষনীয় একটি নাটক। দেখলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। স্বামীকে শিক্ষা দিতে পারবেন,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
স্বামী ভক্ত বউ এই নাটকটি আমি দেখছি। নিলয়ের সঙ্গে হিমুর জুটি ভীষণ ভালো লাগে। তবে নাটকটি থেকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে। আপনার রিভিউ দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
জী ভাইয়া নিলয়ের সঙ্গে হিমুর জুটি অসাধারন লাগে। তারা দুইজন মিলে অনেক নাটক করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাটকের রিভিউ আমি ভীষণ পছন্দ করি দেখতে। আমি তো দেখছি এই নাটকটির নাম খুবই অন্যরকম। এই নাটকটির নাম স্বামী ভক্ত বউ না দিয়ে যদি বউ ভক্ত স্বামী দেওয়া হতো তাহলে কিন্তু আরও বেশি ইন্টারেস্টিং হতো হাহাহা। যাইহোক এরকম মানুষজন কিন্তু এখন একটু বেশি বেড়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। এমন স্বামীকে এরকম শাস্তি দেওয়াই উচিত। নাটক থেকে কিন্তু বেশ ভালই শিক্ষা পাওয়া যায়। ভালো খিললেন পুরো রিভিউ টা।
আপু বউ স্বামীর ভক্ত হয়েছে ঘুষের টাকার জন্য সেটা কিন্তুু ভুলে গেলে চলবে না। ধন্যবাদ আপু।
আমার নাটক দেখা হয় না।কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভাল লাগলো। আপনি নাটকটাকে ১০ এ ৯ দিলেন।খুব ভাল নাটকটি বুঝতে পারলাম।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
জী আপু নাটকটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে তাই ১০ থেকে ৯ দিয়েছি। ধন্যবাদ আপু।